
নেত্রকোণায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বন্যায় ২০০ কিলোমিটার পাকা সড়ক ও সেতু ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে। বৃষ্টির পাশাপাশি পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট এই বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি, খারনৈ, বড়খাপন, পোগলা এবং কৈলাটি ইউনিয়নের বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক। বিকল্প সড়ক না থাকায় রাজধানী ঢাকা ও দূরপাল্লার ভারী যানবাহন প্রতিদিন মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে চলাচল করছে।
বরুয়াকোনা এলাকার বাসিন্দা বলেন, “আমাদের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ভাঙন চলছে, যা আমাদের জন্য বড় দুর্ভোগের কারণ। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের জন্য এ পরিস্থিতি খুবই সমস্যা তৈরি করেছে। অনেক সময় বাচ্চাদের স্কুল ও প্রাইভেট পড়তে যেতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এখানকার রাস্তা নির্মাণের সময় ঠিকমতো কাজ না হওয়ায় বারবার ভেঙে যায়। যদি সরকার একটি ভালো বাঁধ বা ব্রিজ নির্মাণ করে দেয়, তবে আমাদের এলাকার ভোগান্তি কমে যাবে।”
অন্যদিকে, একই গ্রামের আরেক বাসিন্দা বলেন, “চিনাহালা মোড় থেকে বরুয়াকোনা বাজার পর্যন্ত পাকা রাস্তার বর্তমান অবস্থা এতটাই খারাপ যে আগের ভালো রাস্তার চিহ্ন খুঁজে পাওয়া কঠিন। যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, সেখানেও একাধিকবার মাটি দিয়ে বাঁধ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তা কখনো স্থায়ী হয়নি। আমাদের এলাকাবাসী প্রতিদিন অসহনীয় ভোগান্তির মধ্যে পড়ছে। আমরা সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, যেন রাস্তার দ্রুত মেরামত করা হয়।”
পাহাড়ি ঢলের তীব্র স্রোতে কলমাকান্দা উপজেলার মহাদেও নদীর ওপর নির্মিত রসুর সেতুর সংযোগ স্থলের মাটি সরে যাওয়ার কারণে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করলেও তাদের জীবন এবং নিরাপত্তা বিপন্ন হচ্ছে। স্থানীয়রা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, যে কোনো সময় সেতুটি ধসে পড়তে পারে।
এলাকাবাসী জানান, বিকল্প সড়ক না থাকায় ঢাকাগামী বাসসহ দূরপাল্লার ভারী যানবাহন সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করছে, যা জীবন ঝুঁকিতে ফেলছে। জরুরি রোগী নিয়ে উপজেলা সদরে যেতে অসুবিধা হচ্ছে। তারা অভিযোগ করেছেন, প্রতি বছরই বন্যায় সড়কগুলোর এই বিপর্যয় ঘটে, তবে সঠিক ও টেকসই উন্নয়ন করা হয় না, যার ফলে বছরজুড়ে ভোগান্তিতে থাকতে হয়।
নেত্রকোণা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম জানান, “বিগত বন্যায় রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, বিশেষ করে কলমাকান্দা উপজেলার সীমান্ত রোডের সঙ্গে কানেক্টিং পাঁচ গাওয়ের রাস্তাটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি কমলে আমরা মেরামতের কাজ শুরু করব এবং একটি নতুন ব্রিজের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এ কাজে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার প্রয়োজন হতে পারে।”
বরুয়াকোনা এলাকার বাসিন্দা বলেন, “আমাদের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ভাঙন চলছে, যা আমাদের জন্য বড় দুর্ভোগের কারণ। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের জন্য এ পরিস্থিতি খুবই সমস্যা তৈরি করেছে। অনেক সময় বাচ্চাদের স্কুল ও প্রাইভেট পড়তে যেতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এখানকার রাস্তা নির্মাণের সময় ঠিকমতো কাজ না হওয়ায় বারবার ভেঙে যায়। যদি সরকার একটি ভালো বাঁধ বা ব্রিজ নির্মাণ করে দেয়, তবে আমাদের এলাকার ভোগান্তি কমে যাবে।”
অন্যদিকে, একই গ্রামের আরেক বাসিন্দা বলেন, “চিনাহালা মোড় থেকে বরুয়াকোনা বাজার পর্যন্ত পাকা রাস্তার বর্তমান অবস্থা এতটাই খারাপ যে আগের ভালো রাস্তার চিহ্ন খুঁজে পাওয়া কঠিন। যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, সেখানেও একাধিকবার মাটি দিয়ে বাঁধ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তা কখনো স্থায়ী হয়নি। আমাদের এলাকাবাসী প্রতিদিন অসহনীয় ভোগান্তির মধ্যে পড়ছে। আমরা সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, যেন রাস্তার দ্রুত মেরামত করা হয়।”
পাহাড়ি ঢলের তীব্র স্রোতে কলমাকান্দা উপজেলার মহাদেও নদীর ওপর নির্মিত রসুর সেতুর সংযোগ স্থলের মাটি সরে যাওয়ার কারণে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করলেও তাদের জীবন এবং নিরাপত্তা বিপন্ন হচ্ছে। স্থানীয়রা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, যে কোনো সময় সেতুটি ধসে পড়তে পারে।
এলাকাবাসী জানান, বিকল্প সড়ক না থাকায় ঢাকাগামী বাসসহ দূরপাল্লার ভারী যানবাহন সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করছে, যা জীবন ঝুঁকিতে ফেলছে। জরুরি রোগী নিয়ে উপজেলা সদরে যেতে অসুবিধা হচ্ছে। তারা অভিযোগ করেছেন, প্রতি বছরই বন্যায় সড়কগুলোর এই বিপর্যয় ঘটে, তবে সঠিক ও টেকসই উন্নয়ন করা হয় না, যার ফলে বছরজুড়ে ভোগান্তিতে থাকতে হয়।
নেত্রকোণা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম জানান, “বিগত বন্যায় রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, বিশেষ করে কলমাকান্দা উপজেলার সীমান্ত রোডের সঙ্গে কানেক্টিং পাঁচ গাওয়ের রাস্তাটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি কমলে আমরা মেরামতের কাজ শুরু করব এবং একটি নতুন ব্রিজের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এ কাজে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার প্রয়োজন হতে পারে।”