গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে ভারত পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে বৈরিতা দেখা গিয়েছে প্রতিবেশি দেশ ভারতের। রাজনৈতিক এ বৈরীতা ছড়িয়েছে বিনোদন অঙ্গনেও। বিগত কয়েক বছর ধরেই ভারত বাংলাদেশের বিনোদন অঙ্গন যৌথভাবে কাজ করছে। ওপার বাংলার তারকারা যেমন বাংলাদেশে এসে কাজ করছেন তেমনি বাংলাদেশের শিল্পীরাও সমানতালে কাজ করেছেন ওপার বাংলায়।
তবে ৫ আগস্টের পর থেকে এই চিরচেনা দৃশ্যে দেখা দিয়েছে ফাটল। দুই দেশের মধ্যে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে। যত দিন যাচ্ছে, বিদ্বেষ বাড়ছে। যে বিদ্বেষ ছড়িয়ে যাচ্ছে শোবিজ অঙ্গনে।
এর জের ধরে বাংলাদেশি অভিনয় শিল্পীদের কলকাতায় অভিনয়ে নিষেধাজ্ঞার দাবিও তুলেছেন ক্ষমতাসীন দল বিজেপির নেতারা।
জয়া আহসান হোক বা চঞ্চল চৌধুরী, অপু বিশ্বাস হোক বা ফিরদৌস বহু অভিনেতা নিয়মিত কাজ করেন টলিউডে। কিছুদিন আগেই যেমন মধ্যগ্রাম উৎসবে গাইতে আসার কথা ছিল রেজওয়ান চৌধুরী বন্যার। তবে দুই দেশের বৈরী পরিস্থিতিতে বিজেপির দাবি, বাংলাদেশি শিল্পীদের বয়কট করা হোক।
রবিবার বিজেপি সাংসদ শামীক ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে বয়কট করতে হবে ওপার বাংলার শিল্পীদের। বাংলাদেশের শিল্পীদের এদেশে আসা থেকে আটকাতে হবে। প্রতিবাদ করতে হবে। প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী, গৌতম ঘোষরা কেন প্রতিবাদ করছেন না? এটা কোনো রাজনীতি নয়, তবে বাংলাদেশের ঘটনার প্রতিবাদ আমাদের সবাইকে করতেই হবে।’
তবে এই দাবির সঙ্গ একমত নয় পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল।
যেমন তৃনমুল দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বাংলাদেশের সবাই তো আমাদের শত্রু নয়। কিছু অশুভ লোক ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করছে। এই অবস্থায় ভারতের কোনো শিল্পী যদি বাংলাদেশের মানুষকে গান শোনাতে চায় বা আমাদের বাংলার শিল্পী বাংলাদেশের মানুষকে গান শোনাতে চায়, আর দর্শকও গান শুনতে প্রস্তুত থাকে, তাহলে আমরা কেন আটকাব। কেন এসব অশুভ ঘটনার সঙ্গে সংস্কৃতিকে জড়াব।’
কুণাল আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি আন্তর্জাতিক ইস্যু, তাই সেটা নিয়ে তাঁর কিছু করার নেই। এমনকী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও সেকথা বলেছেন। তবে কুণালের অভিযোগ, বাংলাদেশের মৌলবাদীদের করা এই কাজগুলো নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। হিন্দু ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে, ধর্মীয় ভেদাভেদ তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপি।
কুণাল আরও যুক্তি দেন, বহুসময় ধরে ওপার বাংলার শিল্পীরা আসছেন বাংলায়। ফলত তাদের সঙ্গে এক আত্মীয়তার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এই অস্থির অবস্থাকে সামনে রেখে, বাংলাদেশের শিল্পীদের বয়কট করা অন্তত যুক্তিসঙ্গত লাগেনি তার কাছে।
তবে ৫ আগস্টের পর থেকে এই চিরচেনা দৃশ্যে দেখা দিয়েছে ফাটল। দুই দেশের মধ্যে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে। যত দিন যাচ্ছে, বিদ্বেষ বাড়ছে। যে বিদ্বেষ ছড়িয়ে যাচ্ছে শোবিজ অঙ্গনে।
এর জের ধরে বাংলাদেশি অভিনয় শিল্পীদের কলকাতায় অভিনয়ে নিষেধাজ্ঞার দাবিও তুলেছেন ক্ষমতাসীন দল বিজেপির নেতারা।
জয়া আহসান হোক বা চঞ্চল চৌধুরী, অপু বিশ্বাস হোক বা ফিরদৌস বহু অভিনেতা নিয়মিত কাজ করেন টলিউডে। কিছুদিন আগেই যেমন মধ্যগ্রাম উৎসবে গাইতে আসার কথা ছিল রেজওয়ান চৌধুরী বন্যার। তবে দুই দেশের বৈরী পরিস্থিতিতে বিজেপির দাবি, বাংলাদেশি শিল্পীদের বয়কট করা হোক।
রবিবার বিজেপি সাংসদ শামীক ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে বয়কট করতে হবে ওপার বাংলার শিল্পীদের। বাংলাদেশের শিল্পীদের এদেশে আসা থেকে আটকাতে হবে। প্রতিবাদ করতে হবে। প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী, গৌতম ঘোষরা কেন প্রতিবাদ করছেন না? এটা কোনো রাজনীতি নয়, তবে বাংলাদেশের ঘটনার প্রতিবাদ আমাদের সবাইকে করতেই হবে।’
তবে এই দাবির সঙ্গ একমত নয় পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল।
যেমন তৃনমুল দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বাংলাদেশের সবাই তো আমাদের শত্রু নয়। কিছু অশুভ লোক ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করছে। এই অবস্থায় ভারতের কোনো শিল্পী যদি বাংলাদেশের মানুষকে গান শোনাতে চায় বা আমাদের বাংলার শিল্পী বাংলাদেশের মানুষকে গান শোনাতে চায়, আর দর্শকও গান শুনতে প্রস্তুত থাকে, তাহলে আমরা কেন আটকাব। কেন এসব অশুভ ঘটনার সঙ্গে সংস্কৃতিকে জড়াব।’
কুণাল আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি আন্তর্জাতিক ইস্যু, তাই সেটা নিয়ে তাঁর কিছু করার নেই। এমনকী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও সেকথা বলেছেন। তবে কুণালের অভিযোগ, বাংলাদেশের মৌলবাদীদের করা এই কাজগুলো নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। হিন্দু ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে, ধর্মীয় ভেদাভেদ তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপি।
কুণাল আরও যুক্তি দেন, বহুসময় ধরে ওপার বাংলার শিল্পীরা আসছেন বাংলায়। ফলত তাদের সঙ্গে এক আত্মীয়তার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এই অস্থির অবস্থাকে সামনে রেখে, বাংলাদেশের শিল্পীদের বয়কট করা অন্তত যুক্তিসঙ্গত লাগেনি তার কাছে।