ভারতের সংসদে আজ, মঙ্গলবার, দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ করা হয়েছে, যা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় বিপ্লবী পরিবর্তন আনতে পারে। 'এক দেশ এক ভোট' নীতির বাস্তবায়ন উদ্দেশ্যে পেশ করা এই বিল দুটি হল ১২৯তম সংবিধান সংশোধন বিল এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইন সংশোধন বিল।
কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন মেঘাওয়াল জানিয়েছেন, সরকার বিল দুটি নিয়ে আরও আলোচনা করতে আগ্রহী এবং তাই এটি যুগ্ম সংসদীয় কমিটিতে (জেপিসি) পাঠানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বিশেষত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই প্রস্তাবটি দেন।
এই বিলে একযোগে দেশের সব নির্বাচন (লোকসভা, বিধানসভা, পৌরসভা, পঞ্চায়েত) করার সুযোগ দেওয়া হবে। সরকারের যুক্তি হলো, একসঙ্গে নির্বাচন হলে অর্থের অপচয় কমবে এবং উন্নয়নমূলক কাজ ব্যাহত হবে না। সরকার মনে করছে, একসঙ্গে নির্বাচন হলে অর্থনীতির ওপর ভোটের প্রভাব কমবে এবং উন্নয়ন থমকে যাবে না।
বিরোধীরা এই বিলে গভীর আপত্তি জানিয়েছে, তাদের মতে এটি সংবিধানের মূল কাঠামোর ক্ষতি করবে এবং ভারতের সংসদীয় গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে। তারা মনে করছেন, এই বিল একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নেওয়া হচ্ছে। বিরোধীদের মতে, সরকার লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে করলে রাজ্যগুলোর স্বায়ত্তশাসন ক্ষুণ্ন হবে।
এই বিল পাস করতে গেলে দেশের দুই কক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন এবং রাজ্যগুলোর অর্ধেকের অনুমোদন প্রয়োজন। তবে, সরকারের দৃঢ় বিশ্বাস, তারা এসব সমর্থন সংগ্রহ করতে পারবে।
নতুন ব্যবস্থায়, লোকসভার পরবর্তী নির্বাচন ২০২৯ সালে হবে এবং তার পরের ৫ বছরের মধ্যে সব রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচন একযোগে করা হবে, যা কার্যকর হবে ২০৩৪ সাল থেকে।
এটি বিজেপির দীর্ঘদিনের দাবি, যার মধ্যে লালকৃষ্ণ আদভানি ও অটল বিহারি বাজপেয়ীও একে সমর্থন করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখন এই নীতির বাস্তবায়ন করতে চান, এবং এর জন্য তিনি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছিলেন।
কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন মেঘাওয়াল জানিয়েছেন, সরকার বিল দুটি নিয়ে আরও আলোচনা করতে আগ্রহী এবং তাই এটি যুগ্ম সংসদীয় কমিটিতে (জেপিসি) পাঠানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বিশেষত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই প্রস্তাবটি দেন।
এই বিলে একযোগে দেশের সব নির্বাচন (লোকসভা, বিধানসভা, পৌরসভা, পঞ্চায়েত) করার সুযোগ দেওয়া হবে। সরকারের যুক্তি হলো, একসঙ্গে নির্বাচন হলে অর্থের অপচয় কমবে এবং উন্নয়নমূলক কাজ ব্যাহত হবে না। সরকার মনে করছে, একসঙ্গে নির্বাচন হলে অর্থনীতির ওপর ভোটের প্রভাব কমবে এবং উন্নয়ন থমকে যাবে না।
বিরোধীরা এই বিলে গভীর আপত্তি জানিয়েছে, তাদের মতে এটি সংবিধানের মূল কাঠামোর ক্ষতি করবে এবং ভারতের সংসদীয় গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে। তারা মনে করছেন, এই বিল একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নেওয়া হচ্ছে। বিরোধীদের মতে, সরকার লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে করলে রাজ্যগুলোর স্বায়ত্তশাসন ক্ষুণ্ন হবে।
এই বিল পাস করতে গেলে দেশের দুই কক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন এবং রাজ্যগুলোর অর্ধেকের অনুমোদন প্রয়োজন। তবে, সরকারের দৃঢ় বিশ্বাস, তারা এসব সমর্থন সংগ্রহ করতে পারবে।
নতুন ব্যবস্থায়, লোকসভার পরবর্তী নির্বাচন ২০২৯ সালে হবে এবং তার পরের ৫ বছরের মধ্যে সব রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচন একযোগে করা হবে, যা কার্যকর হবে ২০৩৪ সাল থেকে।
এটি বিজেপির দীর্ঘদিনের দাবি, যার মধ্যে লালকৃষ্ণ আদভানি ও অটল বিহারি বাজপেয়ীও একে সমর্থন করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখন এই নীতির বাস্তবায়ন করতে চান, এবং এর জন্য তিনি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছিলেন।