জিম্মি মুক্তি চুক্তির আলোচনা অগ্রগতি হচ্ছে: নেতানিয়াহু

আপলোড সময় : ২৪-১২-২০২৪ ০১:১৭:৩৮ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২৪-১২-২০২৪ ০১:১৭:৩৮ অপরাহ্ন
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসের সঙ্গে জিম্মি বিনিময়ের আলোচনায় কিছুটা অগ্রগতি হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ইসরাইলের পার্লামেন্ট নেসেটের অধিবেশনে আইনপ্রণেতাদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

নেতানিয়াহু বলেন, “জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা চলছে, তবে আমি সব কিছু এখানে বলতে পারব না। তবে আমি পার্লামেন্টে বলতে পারি যে, আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিচ্ছি।” 

গাজায় হামাসের সঙ্গে জিম্মি চুক্তি নিয়ে নেতানিয়াহু দাবি করেন, হামাসের অবস্থান পরিবর্তনের পেছনে তিনটি প্রধান কারণ রয়েছে—হামাসের সাবেক রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের নিহত হওয়া, ইরান ও হিজবুল্লাহর কাছ থেকে প্রত্যাশিত সমর্থন না পাওয়া, এবং গাজায় চলমান ইসরাইলি সামরিক অভিযান। 

তিনি আরও বলেন, “তবে আমি সতর্কতার সঙ্গে বলছি, আমরা জানি না এই পরিস্থিতি কতদিন স্থায়ী হবে। যতক্ষণ না সব জিম্মি শত্রু এলাকা থেকে ফিরে না আসছে, হামলা অব্যাহত থাকবে।”

ইসরাইলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, হামাসের সঙ্গে একটি দুই পর্বের যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রথম পর্বে হামাস নারী, বয়স্ক এবং আহত জিম্মিদের মুক্তি দেবে, এবং দ্বিতীয় পর্বে বাকি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার পর যুদ্ধ শেষ হবে এবং গাজা থেকে ইসরাইলি সেনাদের প্রত্যাহার করা হবে।

এছাড়া, এক জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি চুক্তির আলোচনা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। বর্তমানে ৯০ শতাংশ আলোচনা সম্পন্ন হলেও কিছু মূল বিষয় এখনও আলোচনা করার প্রয়োজন রয়েছে। 

অন্যদিকে, মিশরের সীমান্তের কাছের দক্ষিণ গাজার ফিলাডেলফি করিডোরে ইসরাইলি সামরিক উপস্থিতি অব্যাহত রাখা একটি প্রধান সমস্যা হিসেবে উঠছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে গাজার সঙ্গে ইসরাইলের সীমান্তে একটি বাফার জোন তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে, যার মধ্যে ইসরাইলি সেনাদের সামরিক উপস্থিতি বজায় থাকবে। এসব বিষয় যদি সমাধান হয়, তবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কয়েক দিনের মধ্যে সম্পন্ন হতে পারে।


অফিস :

MyTv Bhaban, 155, 150/3, Hatirjheel, Dhaka-1219

Phone. ☎ +880255128896 ; Fax. +880255128899

Email. admin@mytvbd.tv