মেট্রোরেলের দুই লাখ টিকিট স্টেশন থেকে খোয়া যাওয়ার ঘটনায় বিপাকে পড়ছেন যাত্রীরা। প্রতিটি স্টেশনে একমুখী যাত্রার টিকিট (সিঙ্গেল টিকিট) কাটার যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। সৃষ্ট সংকটের মধ্যে এমআরটি পাসও দিচ্ছে না মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। ফলে পিক আওয়ারে টিকিটের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের।জানা গেছে, মেট্রো রেলে দুই লাখ টিকিটের সংকট দেখা দিয়েছে। একমুখী যাত্রার টিকিট ছিল ৩ লাখ ১৩ হাজার। ১৩ হাজার টিকিট নষ্ট হয়ে গেছে। এখন আছে এক লাখ টিকিট। বাকি দুই লাখ টিকিট খোয়া গেছে; টিকিট হারিয়ে যাওয়ায় সংকট তৈরি হয়েছে। টিকিট কম থাকায় অনেক ভেন্ডিং মেশিন বন্ধ থাকছে। লম্বা সময় ধরে টিকিটের অপেক্ষায় যাত্রীদের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। তবে যাদের কাছে এমআরটি পাস ও র্যাপিড পাস আছে, তারা রিচার্জ করে ট্রেনে চড়তে পারেন।
একমুখী যাত্রার টিকিটের (সিঙ্গেল টিকিট) যাত্রীর স্টেশনে ঢোকার বা বের হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট গেট আছে। এটাকে বলে অটোমেটেড ফেয়ার কালেকশন (এএফসি) গেট। গেটগুলো টিকিট পাঞ্চ করার পরও কিছু সময়ের জন্য খোলা থাকে। এ সুযোগে বের হওয়ার সময় অনেক যাত্রী টিকিট পাঞ্চ না করেই অন্য যাত্রীর পিছু পিছু বেরিয়ে যান। এ কারণেও কিছু টিকিট খোয়া গিয়ে থাকতে পারে, আরও অনেক কারণ থেকে থাকতে পারে। মূলত এ ঘটনা স্টেশন কর্তৃপক্ষের মনিটরিংয়ের ঘাটতির কারণে হয়। মনিটরিংয়ের ঘাটতির কারণগুলো কী কী তা-ই খোঁজার চেষ্টা করছে মেট্রোরেল কর্র্তৃপক্ষ।সরেজমিন গত মঙ্গলবার মেট্রোরেলের মতিঝিল থেকে উত্তরা পর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, পিক আওয়ারে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। টিকিট সংকট থাকায় এমআরটি ও র্যাপিড পাস যাদের নেই, তাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘মেট্রোরেলে সিঙ্গেল টিকিট নিয়ে যখন যাত্রীরা অটোমেটেড ফেয়ার কালেকশন (এএফসি) গেট পার হয় তখন কয়েক সেকেন্ড গেটটি খোলা থাকে। এ সুযোগে কিছু যাত্রী বের হয়ে যেতে পারে। এএফসি নষ্ট হয়ে গেলেও অনেক যাত্রী টিকিট জমা না দিয়েও বেরিয়ে যেতে পারে। তবে দুই লাখ টিকিট স্টেশন থেকে খোয়া যাওয়ার সংখ্যাটা অনেক বড়। এটা প্রায় অবিশ্বাস্য। বলা যায়, স্টেশনে মনিটরিংয়ের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে।’তিনি বলেন, ‘দিনশেষে কত যাত্রী সিঙ্গেল টিকিট নিয়েছেন আর কত টিকিট জমা পড়েছে, তা মিলিয়ে দেখতে হবে। দুই লাখ টিকিটের লাপাত্তা হওয়ার বিষয়টির অনুসন্ধান করা উচিত।’
ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বলেন, ‘মেট্রোরেলের শুরু থেকে এ পর্যন্ত দুই লাখের মতো সিঙ্গেল টিকিট স্টেশন থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমাদের লোকবলে অনেক ঘাটতি রয়েছে। যাত্রীদের বেশি চাপ হলে হিমশিম খেতে হয়। আর অনেক যাত্রী এএফসি গেট কিছু সময় খোলা থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে টিকিট না রেখেই চলে যায়। লোকবল কম থাকায় অনেক সময় মনিটরিং করা সম্ভব হয় না। এটিও একটা কারণ হতে পারে। আর কী কী কারণ তা খোঁজা হচ্ছে; কীভাবে এতগুলো কার্ড বাইরে চলে গেছে। মনিটরিং আরও বাড়ানো হবে, যাতে এগুলো না হয়। যাত্রীদেরও আরও সচেতন হতে হবে। কেউ যেন কার্ড বাইরে না নিয়ে যায়।’তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে কিউআর কোড ব্যবহার করে মেট্রোরেলে মনিটরিং বাড়ানো যায় কি না, আমরা ভাবছি। সিস্টেম আরও মোডিফাই করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
একমুখী যাত্রার টিকিটের (সিঙ্গেল টিকিট) যাত্রীর স্টেশনে ঢোকার বা বের হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট গেট আছে। এটাকে বলে অটোমেটেড ফেয়ার কালেকশন (এএফসি) গেট। গেটগুলো টিকিট পাঞ্চ করার পরও কিছু সময়ের জন্য খোলা থাকে। এ সুযোগে বের হওয়ার সময় অনেক যাত্রী টিকিট পাঞ্চ না করেই অন্য যাত্রীর পিছু পিছু বেরিয়ে যান। এ কারণেও কিছু টিকিট খোয়া গিয়ে থাকতে পারে, আরও অনেক কারণ থেকে থাকতে পারে। মূলত এ ঘটনা স্টেশন কর্তৃপক্ষের মনিটরিংয়ের ঘাটতির কারণে হয়। মনিটরিংয়ের ঘাটতির কারণগুলো কী কী তা-ই খোঁজার চেষ্টা করছে মেট্রোরেল কর্র্তৃপক্ষ।সরেজমিন গত মঙ্গলবার মেট্রোরেলের মতিঝিল থেকে উত্তরা পর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, পিক আওয়ারে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। টিকিট সংকট থাকায় এমআরটি ও র্যাপিড পাস যাদের নেই, তাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘মেট্রোরেলে সিঙ্গেল টিকিট নিয়ে যখন যাত্রীরা অটোমেটেড ফেয়ার কালেকশন (এএফসি) গেট পার হয় তখন কয়েক সেকেন্ড গেটটি খোলা থাকে। এ সুযোগে কিছু যাত্রী বের হয়ে যেতে পারে। এএফসি নষ্ট হয়ে গেলেও অনেক যাত্রী টিকিট জমা না দিয়েও বেরিয়ে যেতে পারে। তবে দুই লাখ টিকিট স্টেশন থেকে খোয়া যাওয়ার সংখ্যাটা অনেক বড়। এটা প্রায় অবিশ্বাস্য। বলা যায়, স্টেশনে মনিটরিংয়ের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে।’তিনি বলেন, ‘দিনশেষে কত যাত্রী সিঙ্গেল টিকিট নিয়েছেন আর কত টিকিট জমা পড়েছে, তা মিলিয়ে দেখতে হবে। দুই লাখ টিকিটের লাপাত্তা হওয়ার বিষয়টির অনুসন্ধান করা উচিত।’
ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বলেন, ‘মেট্রোরেলের শুরু থেকে এ পর্যন্ত দুই লাখের মতো সিঙ্গেল টিকিট স্টেশন থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমাদের লোকবলে অনেক ঘাটতি রয়েছে। যাত্রীদের বেশি চাপ হলে হিমশিম খেতে হয়। আর অনেক যাত্রী এএফসি গেট কিছু সময় খোলা থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে টিকিট না রেখেই চলে যায়। লোকবল কম থাকায় অনেক সময় মনিটরিং করা সম্ভব হয় না। এটিও একটা কারণ হতে পারে। আর কী কী কারণ তা খোঁজা হচ্ছে; কীভাবে এতগুলো কার্ড বাইরে চলে গেছে। মনিটরিং আরও বাড়ানো হবে, যাতে এগুলো না হয়। যাত্রীদেরও আরও সচেতন হতে হবে। কেউ যেন কার্ড বাইরে না নিয়ে যায়।’তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে কিউআর কোড ব্যবহার করে মেট্রোরেলে মনিটরিং বাড়ানো যায় কি না, আমরা ভাবছি। সিস্টেম আরও মোডিফাই করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’