যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রয়োজনে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে গ্রিনল্যান্ড দখলে নিতে চাওয়ার ইঙ্গিত দেওয়ার পর এবার দ্বীপদেশটির সুরক্ষা জোরদারের দিকে মনোনিবেশ করছে ডেনমার্ক।গ্রিনল্যান্ডে প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর পরিকল্পনা ছাড়াও ডেনমার্ক দ্বীপটিতে সামরিক উপস্থিতি বাড়াতে দুটো নতুন টহল জাহাজ কেনা এবং কুকুরের স্লেজগাড়ি দিয়ে পাহারা বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে।৮০ শতাংশই বরফে ঢাকা দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডে আছে বিশাল এক মার্কিন সামরিক ঘাঁটি। গ্রিনল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিমে পিটুফিক স্পেস বেজে মার্কিন সামরিক বাহিনী স্থায়ী উপস্থিতি বজায় রেখেছে।
মস্কো ও নিউ ইয়র্কের মাঝামাঝি অবস্থিত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে গ্রিনল্যান্ড নিয়ে সতর্ক অবস্থান ধরে রেখেছে।রাশিয়ার কাছ থেকে হামলার যে কোনও হুমকির ক্ষেত্রে চটজলদি এর জবাব দেওয়ার জন্য সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত এবং সুবিধাজনক অবস্থান হচ্ছে উত্তর মেরু এবং গ্রিনল্যান্ড।সেকারণে পিটুফিক স্পেস বেজ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এটিই গ্রিনল্যান্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের সবচেয়ে বড় কারণ বলে অভিমত ডেনিশ ডিফেন্স কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মার্কের।ট্রাম্প দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই গ্রিনল্যান্ড কিনতে চাওয়ার ইচ্ছা বারবারই প্রকাশ করে আসছেন ট্রাম্প।তবে প্রতিবারই তিনি প্রত্যাখ্যাত হচ্ছেন। এই প্রত্যাখ্যানের মুখে ইদানিং গ্রিনল্যান্ড দখলে নিতে কড়া হুমকি-ধামকি দেওয়া শুরু করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড দিতে না চাইলে ডেনমার্কের ওপর খুবই চড়া শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। এমনকি প্রয়োজনে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে গ্রিনল্যান্ড নিয়ে নেওয়ার সম্ভাাবনাও তিনি নাকচ করেননি।আর এই হুমকির মুখেই ডেনমার্ক নড়েচড়ে বসেছে। তাদের গ্রিনল্যান্ডের সুরক্ষা বাড়ানোর পরিকল্পনার মধ্যে আছে দ্বীপটির পশ্চিমাঞ্চলে সাবেক মার্কিন ঘাঁটি কাঙ্গারলুসুয়াকে অবস্থিত বিমানবন্দর আরও উন্নত করে গড়ে তোলা, যাতে সেখানে এফ-৩৫ জঙ্গি বিমানও রাখা যায়। শুক্রবার ডেনমার্কের সম্প্রচারমাধ্যম ডিআর টিভি২ একথা জানিয়েছে।
১৯৭৯ সালে গণভোটের মাধ্যমে গ্রিনল্যান্ড স্বায়ত্তশাসন লাভ করেছিল। তবে দ্বীপটির পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষানীতি এখনও ডেনমার্কই দেখভাল করে। তারপরও এতদিন বিশালাকার এই দ্বীপাঞ্চলটির সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে খুব বেশি মনোযোগী ছিল না ডেনমার্ক।
গ্রিনল্যান্ডের সামরিক প্রতিরক্ষায় বর্তমানে আছে চারটি পুরোনো টহল জাহাজ, একটি চ্যালেঞ্জার নজরদারি বিমান, এবং কুকুরের ১২ টি টহল স্লেজগাড়ি। সবই বিশাল এই দ্বীপটি পর্যবেক্ষণে রাখতে ব্যবহার হয়।
ডেনমার্ক গত এক দশকের বেশি সময় ধরে নিজেদের প্রতিরক্ষাব্যয় অনেক কাটছাঁট করেছে। কেবল গতবছরই ডেনমার্ক তাদের সামরিক বাহিনীর জন্য ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলার (১৯ হাজার কোটি ড্যানিশ ক্রাউন) বরাদ্দ করেছে, যার সামান্য একটি অংশ রাখা হয়েছে গ্রিনল্যান্ডের জন্য।
কিন্তু এখন এই প্রতিরক্ষা তহবিল গ্রিনল্যান্ডের সঙ্গে কীভাবে ভাগ করে নেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন ডেনমার্কের আইনপ্রণেতারা। শুক্রবার তারা এই বাজেটের কতটুকু গ্রিনল্যান্ডের জন্য বরাদ্দ করা উচিত তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বৃহস্পতিবার ডেনিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্বীকার করেছেন যে, বহু বছর ধরেই গ্রিনল্যান্ডে সামরিক খাতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের দিকটিতে আমল দেননি তারা। গত মাসে তিনি বলেছিলেন, আর্কটিক দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডে ডেনমার্কের সামরিক উপস্থিতি বাড়াতে আরও অর্থ বরাদ্দ করা উচিত।
মস্কো ও নিউ ইয়র্কের মাঝামাঝি অবস্থিত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে গ্রিনল্যান্ড নিয়ে সতর্ক অবস্থান ধরে রেখেছে।রাশিয়ার কাছ থেকে হামলার যে কোনও হুমকির ক্ষেত্রে চটজলদি এর জবাব দেওয়ার জন্য সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত এবং সুবিধাজনক অবস্থান হচ্ছে উত্তর মেরু এবং গ্রিনল্যান্ড।সেকারণে পিটুফিক স্পেস বেজ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এটিই গ্রিনল্যান্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের সবচেয়ে বড় কারণ বলে অভিমত ডেনিশ ডিফেন্স কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মার্কের।ট্রাম্প দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই গ্রিনল্যান্ড কিনতে চাওয়ার ইচ্ছা বারবারই প্রকাশ করে আসছেন ট্রাম্প।তবে প্রতিবারই তিনি প্রত্যাখ্যাত হচ্ছেন। এই প্রত্যাখ্যানের মুখে ইদানিং গ্রিনল্যান্ড দখলে নিতে কড়া হুমকি-ধামকি দেওয়া শুরু করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড দিতে না চাইলে ডেনমার্কের ওপর খুবই চড়া শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। এমনকি প্রয়োজনে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে গ্রিনল্যান্ড নিয়ে নেওয়ার সম্ভাাবনাও তিনি নাকচ করেননি।আর এই হুমকির মুখেই ডেনমার্ক নড়েচড়ে বসেছে। তাদের গ্রিনল্যান্ডের সুরক্ষা বাড়ানোর পরিকল্পনার মধ্যে আছে দ্বীপটির পশ্চিমাঞ্চলে সাবেক মার্কিন ঘাঁটি কাঙ্গারলুসুয়াকে অবস্থিত বিমানবন্দর আরও উন্নত করে গড়ে তোলা, যাতে সেখানে এফ-৩৫ জঙ্গি বিমানও রাখা যায়। শুক্রবার ডেনমার্কের সম্প্রচারমাধ্যম ডিআর টিভি২ একথা জানিয়েছে।
১৯৭৯ সালে গণভোটের মাধ্যমে গ্রিনল্যান্ড স্বায়ত্তশাসন লাভ করেছিল। তবে দ্বীপটির পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষানীতি এখনও ডেনমার্কই দেখভাল করে। তারপরও এতদিন বিশালাকার এই দ্বীপাঞ্চলটির সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে খুব বেশি মনোযোগী ছিল না ডেনমার্ক।
গ্রিনল্যান্ডের সামরিক প্রতিরক্ষায় বর্তমানে আছে চারটি পুরোনো টহল জাহাজ, একটি চ্যালেঞ্জার নজরদারি বিমান, এবং কুকুরের ১২ টি টহল স্লেজগাড়ি। সবই বিশাল এই দ্বীপটি পর্যবেক্ষণে রাখতে ব্যবহার হয়।
ডেনমার্ক গত এক দশকের বেশি সময় ধরে নিজেদের প্রতিরক্ষাব্যয় অনেক কাটছাঁট করেছে। কেবল গতবছরই ডেনমার্ক তাদের সামরিক বাহিনীর জন্য ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলার (১৯ হাজার কোটি ড্যানিশ ক্রাউন) বরাদ্দ করেছে, যার সামান্য একটি অংশ রাখা হয়েছে গ্রিনল্যান্ডের জন্য।
কিন্তু এখন এই প্রতিরক্ষা তহবিল গ্রিনল্যান্ডের সঙ্গে কীভাবে ভাগ করে নেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন ডেনমার্কের আইনপ্রণেতারা। শুক্রবার তারা এই বাজেটের কতটুকু গ্রিনল্যান্ডের জন্য বরাদ্দ করা উচিত তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বৃহস্পতিবার ডেনিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্বীকার করেছেন যে, বহু বছর ধরেই গ্রিনল্যান্ডে সামরিক খাতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের দিকটিতে আমল দেননি তারা। গত মাসে তিনি বলেছিলেন, আর্কটিক দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডে ডেনমার্কের সামরিক উপস্থিতি বাড়াতে আরও অর্থ বরাদ্দ করা উচিত।