অবশেষে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে চলা এক আইনি লড়াইয়ে হেরে গেল জায়ান্ট সার্চ ইঞ্জিন গুগল। ২০১০ সালে গুগলের বিরুদ্ধে সার্চ ফলাফল অপব্যবহারের অভিযোগে মামলা করেছিলেন পণ্যের দাম পর্যালোচনাবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ফাউন্ডেম’–এর দুই প্রতিষ্ঠাতা শিভান রাফ ও অ্যাডাম রাফ। ব্রিটিশ ওই দম্পতির অভিযোগ ছিল, নিজেদের আধিপত্যের অপব্যবহার করেছে গুগল। বাজারকে প্রভাবিত করে নির্দিষ্ট পণ্য কিনতে ক্রেতাকে বাধ্য করেছে ওই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। এই মামলায় গুগল হেরে যাওয়ায় ব্রিটিশ এই দম্পতিকে জরিমানা হিসেবে দিতে হচ্ছে ২০০ কোটি পাউন্ড। বিবিসি জানিয়েছে, ২০১৭ সালে ইউরোপীয় কমিশন গুগলকে জরিমানাস্বরূপ ওই অর্থ মেটানোর নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশ খারিজের আবেদন জানিয়ে ‘ইউরোপিয়ান কোর্ট অফ জাস্টিস’-এর দ্বারস্থ হয়েছিল গুগল। গত সেপ্টেম্বরে গুগলের আবেদন খারিজ করে দেয় ইউরোপের শীর্ষ আদালত। আদালত জানিয়েছে, ইউরোপীয় কমিশনের নির্দেশ মতো জরিমানার অর্থ দম্পতির হাতে তুলে দিতে হবে গুগলকে। তবে প্রতিক্রিয়ায় গুগল বলেছে, এই রায় ‘হতাশার।’
জানা গেছে, ২০০৬ সালে চাকরি ছেড়ে নিজেদের স্টার্টআপ ব্যবসা শুরু করেন তারা। ‘ফাউন্ডেম’ নামে ওই ওয়েবসাইটের কাজ ছিল, গ্রাহকদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন সংস্থার একই পণ্যের দামের তুলনা করা। যাতে গ্রাহকেরা ওই পণ্য কোন সংস্থা থেকে কিনবেন, তা ঠিক করতে পারেন। ওই দম্পতির অভিযোগ, গুগল আচমকাই সার্চ রেজাল্টের দিক থেকে নিচে নামাতে শুরু করে তাদের ওয়েবসাইটকে। কোনও গ্রাহক গুগলে সার্চ করলেও সহজে তাদের সংস্থার নাম দেখাচ্ছিল না। পুরো বিষয়টিকে ‘স্প্যাম’ ভেবে এই নিয়ে উদ্বিগ্ন দম্পতি চিঠি পাঠায় গুগলকে।
তাদের সংস্থার ওপর আরোপিত বিধিনিষেধও তুলে নেওয়ার আবেদন জানান। কিন্তু কোনও সদুত্তর দেয়নি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা গুগল। এদিকে গুগলে ওই ওয়েবসাইটির ‘র্যাঙ্ক’ ক্রমেই নিচে নামছিল। ২০০৮ সালে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে দম্পতি বুঝতে পারেন, তাদের সঙ্গে অন্যায় হচ্ছে। এর পরই আদালতের দ্বারস্থ হন ব্রিটিশ দম্পতি। তাদের অভিযোগ ছিল, বাজারকে প্রভাবিত করে নির্দিষ্ট পণ্য কিনতে ক্রেতাকে বাধ্য করছে গুগল। আর সেই কারণেই পণ্যের দামের তুলনা করতে সক্ষম ওয়েবসাইটটিকে সার্চের উপরের দিকে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না।
জানা গেছে, ২০০৬ সালে চাকরি ছেড়ে নিজেদের স্টার্টআপ ব্যবসা শুরু করেন তারা। ‘ফাউন্ডেম’ নামে ওই ওয়েবসাইটের কাজ ছিল, গ্রাহকদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন সংস্থার একই পণ্যের দামের তুলনা করা। যাতে গ্রাহকেরা ওই পণ্য কোন সংস্থা থেকে কিনবেন, তা ঠিক করতে পারেন। ওই দম্পতির অভিযোগ, গুগল আচমকাই সার্চ রেজাল্টের দিক থেকে নিচে নামাতে শুরু করে তাদের ওয়েবসাইটকে। কোনও গ্রাহক গুগলে সার্চ করলেও সহজে তাদের সংস্থার নাম দেখাচ্ছিল না। পুরো বিষয়টিকে ‘স্প্যাম’ ভেবে এই নিয়ে উদ্বিগ্ন দম্পতি চিঠি পাঠায় গুগলকে।
তাদের সংস্থার ওপর আরোপিত বিধিনিষেধও তুলে নেওয়ার আবেদন জানান। কিন্তু কোনও সদুত্তর দেয়নি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা গুগল। এদিকে গুগলে ওই ওয়েবসাইটির ‘র্যাঙ্ক’ ক্রমেই নিচে নামছিল। ২০০৮ সালে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে দম্পতি বুঝতে পারেন, তাদের সঙ্গে অন্যায় হচ্ছে। এর পরই আদালতের দ্বারস্থ হন ব্রিটিশ দম্পতি। তাদের অভিযোগ ছিল, বাজারকে প্রভাবিত করে নির্দিষ্ট পণ্য কিনতে ক্রেতাকে বাধ্য করছে গুগল। আর সেই কারণেই পণ্যের দামের তুলনা করতে সক্ষম ওয়েবসাইটটিকে সার্চের উপরের দিকে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না।