ভারতে নির্বাচন নিয়ে মার্ক জাকারবার্গের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইল মেটা ইন্ডিয়া। অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।জাকারবার্গ সম্প্রতি জো রোগানের পডকাস্টে মন্তব্য করেছিলেন, করোনার পর শাসকদের হার শুধু যুক্তরাষ্ট্রের প্রবণতা নয়, ভারতসহ বেশির ভাগ গণতান্ত্রিক দেশেই করোনা-পরবর্তী ভোটে ক্ষমতাসীনরা হেরেছে।তার এই মন্তব্য নিয়ে ভারতে প্রবল বিতর্ক হয়।কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ‘জাকারবার্গ ভারত নিয়ে যে দাবি করেছেন, তা তথ্যগতভাবে ঠিক নয়। সুশাসন ও মানুষের আস্থা থাকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। এটা খুবই দুঃখজনক যে জাকারবার্গ ভুল তথ্য দিচ্ছেন।’অশ্বিনী জানিয়েছেন, ‘করোনার সময়ে মোদি ৮০ কোটি মানুষকে বিনা পয়সায় রেশন দিয়েছেন, ২২০ কোটি ফ্রি কভিড ভ্যাকসিন দিয়েছেন, তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
এরপর তথ্য-প্রযুক্তি ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান নিশিকান্ত দুবে জানান, তারা মেটা ইন্ডিয়ার কর্মকর্তাদের কমিটির বৈঠকে ডাকবেন ও জেরা করবেন।মেটা ক্ষমা চাওয়ার পর নিশিকান্ত বলেছেন, ‘ভারতের ১৪০ কোটি মানুষের জয় হলো।’কী বলেছিলেন জাকারবার্গ?জাকারবার্গ এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বলেছিলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে প্রচুর মানুষ মনে করে, এটা যুক্তরাষ্ট্রের ঘটনা। কিন্তু আমি মনে করি, কভিডের প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বজুড়ে অনেক সরকারের ওপর থেকে মানুষের আস্থা কমে গিয়েছিল।২০২৪ সালে অনেকগুলো দেশে নির্বাচন হয়েছে। আপনারা জানেন সেখানে কী হয়েছে। অনেক দেশের মতো ভারতেও ভোট হয়েছে। প্রতিটিতেই ক্ষমতাসীনরা হেরে গেছেন।’জাকারবার্গ বলেছেন, কভিডের সময় জিনিসের দাম বাড়ার জন্য, আর্থিক নীতির জন্য, কভিড নিয়ন্ত্রণে সরকারি নীতির কারণে মনে হয় বিশ্বজুড়ে এই প্রবণতা দেখা গিয়েছে।
মেটা ইন্ডিয়ার বক্তব্য মেটা ইন্ডিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট শিবনাথ টুকরাল বলেছেন, ‘আমরা এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমা চাইছি। মেটার কাছে ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ।’তিনি আরো বলেছেন, ‘মার্কের পর্যবেক্ষণ অন্য অনেক দেশের ক্ষেত্রে সত্যি। কিন্তু ভারতের ক্ষেত্রে নয়।’
‘এনডিএ জিতেছে’এদিকে প্রবীণ সাংবাদিক শরদ গুপ্তা বলেছেন, ‘২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে এনডিএ জিতেছে। বিজেপির আসন কমে গেছে। বিজেপি একার ক্ষমতায় সরকার গঠনের মতো অবস্থায় আর নেই। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এনডিএ জিতে তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করেছে।’তিনি আরো বলেন, ‘এর আগের দুইবার বিজেপি একার ক্ষমতায় সরকার গঠনের অবস্থায় থাকলেও এনডিএর শরিক দলগুলোকে নিয়েই চলেছিল। তারাও সরকারে ছিল। ফলে প্রথম দুইবারও মোদির নেতৃত্বে এনডিএ সরকার ছিল। এবারও তা-ই হয়েছে। মোদি তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। ফলে মোদি হেরে গেছেন, এটা কোনোভাবেই বলা যাবে না।’
এরপর তথ্য-প্রযুক্তি ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান নিশিকান্ত দুবে জানান, তারা মেটা ইন্ডিয়ার কর্মকর্তাদের কমিটির বৈঠকে ডাকবেন ও জেরা করবেন।মেটা ক্ষমা চাওয়ার পর নিশিকান্ত বলেছেন, ‘ভারতের ১৪০ কোটি মানুষের জয় হলো।’কী বলেছিলেন জাকারবার্গ?জাকারবার্গ এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বলেছিলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে প্রচুর মানুষ মনে করে, এটা যুক্তরাষ্ট্রের ঘটনা। কিন্তু আমি মনে করি, কভিডের প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বজুড়ে অনেক সরকারের ওপর থেকে মানুষের আস্থা কমে গিয়েছিল।২০২৪ সালে অনেকগুলো দেশে নির্বাচন হয়েছে। আপনারা জানেন সেখানে কী হয়েছে। অনেক দেশের মতো ভারতেও ভোট হয়েছে। প্রতিটিতেই ক্ষমতাসীনরা হেরে গেছেন।’জাকারবার্গ বলেছেন, কভিডের সময় জিনিসের দাম বাড়ার জন্য, আর্থিক নীতির জন্য, কভিড নিয়ন্ত্রণে সরকারি নীতির কারণে মনে হয় বিশ্বজুড়ে এই প্রবণতা দেখা গিয়েছে।
মেটা ইন্ডিয়ার বক্তব্য মেটা ইন্ডিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট শিবনাথ টুকরাল বলেছেন, ‘আমরা এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমা চাইছি। মেটার কাছে ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ।’তিনি আরো বলেছেন, ‘মার্কের পর্যবেক্ষণ অন্য অনেক দেশের ক্ষেত্রে সত্যি। কিন্তু ভারতের ক্ষেত্রে নয়।’
‘এনডিএ জিতেছে’এদিকে প্রবীণ সাংবাদিক শরদ গুপ্তা বলেছেন, ‘২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে এনডিএ জিতেছে। বিজেপির আসন কমে গেছে। বিজেপি একার ক্ষমতায় সরকার গঠনের মতো অবস্থায় আর নেই। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এনডিএ জিতে তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করেছে।’তিনি আরো বলেন, ‘এর আগের দুইবার বিজেপি একার ক্ষমতায় সরকার গঠনের অবস্থায় থাকলেও এনডিএর শরিক দলগুলোকে নিয়েই চলেছিল। তারাও সরকারে ছিল। ফলে প্রথম দুইবারও মোদির নেতৃত্বে এনডিএ সরকার ছিল। এবারও তা-ই হয়েছে। মোদি তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। ফলে মোদি হেরে গেছেন, এটা কোনোভাবেই বলা যাবে না।’