এনআইডি স্বরাষ্ট্রে নেওয়ার আইন বাতিল করতে সরকারকে ইসির প্রস্তাব

আপলোড সময় : ১৬-০১-২০২৫ ১০:৩৪:৩২ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ১৬-০১-২০২৫ ১০:৩৬:২৮ পূর্বাহ্ন
নির্বাচন কমিশন (ইসি) জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩ বাতিলের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এনআইডি কার্যক্রম পুনরায় ইসির অধীনে রাখার দাবি জানিয়েছে কমিশন।

ইসি বলেছে, ২০১০ সালের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন পুনর্বহাল করে এনআইডি কার্যক্রম তাদের অধীনেই রাখার প্রয়োজন। সংবিধানের ১১৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ভোটার তালিকা প্রস্তুত, হালনাগাদ এবং তা ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। জাতীয় পরিচয়পত্রও এই তালিকার বাইপ্রোডাক্ট। ফলে এটি অন্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়া সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে।

২০২১ সালে প্রথমবার এনআইডি কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়ার উদ্যোগ নেয় তৎকালীন সরকার। কিন্তু ২০১০ সালের আইনটি বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ২০২৩ সালে নতুন আইন প্রণয়ন করা হলেও, এটি কার্যকর করার মতো লোকবল বা অবকাঠামো তৈরি হয়নি। ফলে কার্যক্রম এখনও নির্বাচন কমিশনের অধীনেই পরিচালিত হচ্ছে।

২০২৩ সালের ২১ নভেম্বর এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নতুন নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর বিষয়টি নিয়ে প্রথম বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়। পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে চিঠি দিয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩ বাতিল এবং ২০১০ সালের আইন পুনর্বহালের প্রস্তাব জানানো হয়।

২০০৮ সালে ড. এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন প্রথমবার ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা তৈরি করে। এরপর জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু হয়। পরবর্তীতে স্মার্টকার্ড চালু করে সেটিকে আধুনিকায়ন করা হয়। ইসি বলছে, এনআইডি কার্যক্রম অন্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে গেলে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও ভোটার তালিকার স্বচ্ছতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।


অফিস :

MyTv Bhaban, 155, 150/3, Hatirjheel, Dhaka-1219

Phone. ☎ +880255128896 ; Fax. +880255128899

Email. admin@mytvbd.tv