সীমান্তে আর কোনো লাশ ঝুলে থাকলে কাঁটাতার অভিমুখে মার্চ: সারজিস

আপলোড সময় : ১৬-০১-২০২৫ ০১:৩৯:৪০ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৬-০১-২০২৫ ০১:৩৯:৪০ অপরাহ্ন
সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিকদের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে "মার্চ ফর ফেলানী" কর্মসূচির যাত্রা শুরু করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের স্বাধীনতার বিজয় স্তম্ভে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

সমাবেশে সারজিস আলম বলেন, "আমরা বাংলাদেশের সীমান্তে আর কোনো লাশ দেখতে চাই না। আজকের পর থেকে যদি আবার কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের প্রতি কেউ শকুনের দৃষ্টিতে তাকায়, তবে সেই দৃষ্টি উপড়ে ফেলার জন্য বাংলাদেশে ছাত্র জনতাই যথেষ্ট।" তিনি আরও বলেন, “যদি সীমান্তে আর কোনো লাশ ঝুলে থাকে, তাহলে কাঁটাতার অভিমুখে মার্চ করা হবে। কাঁটাতার ভেদ করে যতদূর দৃষ্টি যায়, ততদূর যাবে।”

সারজিস আলম ফেলানী হত্যাকাণ্ডকে একটি প্রতীকী চিত্র হিসেবে উল্লেখ করেন, যা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে ভারতের হাতে নিপীড়িত থাকার মতো দেখায়। তিনি বলেন, "বিগত ৫৩ বছর ধরে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ভারতীয় কর্তৃত্বের অধীনে ছিল। যদি দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে সমতা, ন্যায্যতা এবং আত্মসম্মানমূলক সম্পর্ক থাকে, তবে কোনো রাষ্ট্র আরেকটি রাষ্ট্রের নাগরিককে সীমান্তে হত্যা করতে পারে না।"

তিনি আরও দাবি করেন, “বাংলাদেশের সীমান্তে ঘটে যাওয়া সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে এবং সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে।” তিনি কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের নাম ফেলানীর নামে নামকরণের প্রস্তাবও দেন।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আতিক মুজাহিদ, সংগঠক সুজাউদ্দীন, আবু সাইদ লিয়ন, গোলাম মর্তুজা সেলিম, সাকিব মাহাদী এবং কুড়িগ্রাম জেলা সংগঠক মুকুল মিয়া সহ আরো অনেকে।

পরে একটি মিছিল নাখারগঞ্জ এলাকায় ফেলানীর বাড়ি অভিমুখে যাত্রা শুরু করে, যাত্রাপথে কয়েকটি পথসভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।


অফিস :

MyTv Bhaban, 155, 150/3, Hatirjheel, Dhaka-1219

Phone. ☎ +880255128896 ; Fax. +880255128899

Email. admin@mytvbd.tv