ব্রিটেনের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী (ইকোনমিক সেক্রেটারি) টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করেও সমালোচনার ঝড় থেকে মুক্তি পাননি। দুর্নীতির একাধিক অভিযোগের মুখে গত মঙ্গলবার তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর খালা এবং মা শেখ রেহানা ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার প্রেক্ষাপটে টিউলিপকে নতুন করে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে দেখা যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক নিবন্ধে উল্লেখ করে, টিউলিপ সিদ্দিক রাজনীতির খেলায় দুই দেশেই বিতর্কিত হয়ে উঠেছেন এবং পরিস্থিতি তাঁর জন্য ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে।
নিবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। তিনি এ অভিযোগকে ‘ডাকাতি’ আখ্যা দিয়ে টিউলিপকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
টিউলিপের বিরুদ্ধে ওঠা অর্থপাচারের অভিযোগের পর থেকে পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে যায়। জানা যায়, লন্ডনের একটি দুই-বেডরুমের ফ্ল্যাট তাঁর খালা শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ এক ডেভেলপার উপহার দিয়েছেন। যদিও টিউলিপ দাবি করেন, ফ্ল্যাটটি তাঁর মা-বাবার কাছ থেকে পাওয়া।
গার্ডিয়ানের নিবন্ধে আরও বলা হয়, ২০১৩ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বাংলাদেশের পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প চুক্তির অনুষ্ঠানে টিউলিপের উপস্থিতি নিয়েও ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, এটি স্রেফ একটি পারিবারিক সফর ছিল।
টিউলিপের বাড়িগুলোর বিষয়ে কোনো নিয়ম ভঙের প্রমাণ না পেলেও, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস মন্তব্য করেন, টিউলিপের পারিবারিক সম্পর্কের কারণে সৃষ্ট ভাবমূর্তির ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত ছিল।
টিউলিপ তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ‘ভিত্তিহীন’ দাবি করলেও, ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন। তবে বিতর্ক এখনও থামেনি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ পরিস্থিতি তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক নিবন্ধে উল্লেখ করে, টিউলিপ সিদ্দিক রাজনীতির খেলায় দুই দেশেই বিতর্কিত হয়ে উঠেছেন এবং পরিস্থিতি তাঁর জন্য ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে।
নিবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। তিনি এ অভিযোগকে ‘ডাকাতি’ আখ্যা দিয়ে টিউলিপকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
টিউলিপের বিরুদ্ধে ওঠা অর্থপাচারের অভিযোগের পর থেকে পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে যায়। জানা যায়, লন্ডনের একটি দুই-বেডরুমের ফ্ল্যাট তাঁর খালা শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ এক ডেভেলপার উপহার দিয়েছেন। যদিও টিউলিপ দাবি করেন, ফ্ল্যাটটি তাঁর মা-বাবার কাছ থেকে পাওয়া।
গার্ডিয়ানের নিবন্ধে আরও বলা হয়, ২০১৩ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বাংলাদেশের পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প চুক্তির অনুষ্ঠানে টিউলিপের উপস্থিতি নিয়েও ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, এটি স্রেফ একটি পারিবারিক সফর ছিল।
টিউলিপের বাড়িগুলোর বিষয়ে কোনো নিয়ম ভঙের প্রমাণ না পেলেও, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস মন্তব্য করেন, টিউলিপের পারিবারিক সম্পর্কের কারণে সৃষ্ট ভাবমূর্তির ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত ছিল।
টিউলিপ তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ‘ভিত্তিহীন’ দাবি করলেও, ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন। তবে বিতর্ক এখনও থামেনি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ পরিস্থিতি তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান