একমাত্র সঞ্জয়কে দোষী করে আরজি কর মামলার রায় ঘোষণা

আপলোড সময় : ১৮-০১-২০২৫ ০৪:৫৩:৪৫ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৮-০১-২০২৫ ০৪:৫৩:৪৫ অপরাহ্ন
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বহুল সমালোচিত আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণের ঘটনার ১৬২ দিনের মাথায় রায় দিয়েছেন আদালত। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) শিয়ালদহ আদালত ঘোষণা করেছে, সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় এই ঘটনার জন্য দোষী। তিনিই ধর্ষক ও খুনি।আদালত জানিয়েছেন, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আগামী সোমবার তার সাজা ঘোষণা করা হবে।হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন বলছে, আজও আদালতে দাঁড়িয়ে সঞ্জয় দাবি করেছেন, তিনি নির্দোষ। যদিও তাতে আদালত কোনো কর্ণপাত করেননি। তার সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড আর সর্বনিম্ন সাজা হতে পারে যাবজ্জীবন।শিয়ালদহ আদালতে 'ইন-ক্যামেরা ট্রায়াল'-এ (রুদ্ধদ্বার বিচারপ্রক্রিয়া) বায়োলজিক্যাল প্রমাণের ওপর নির্ভর করে তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। ডিএনএ নমুনা, ভিসেরা রিপোর্ট, টক্সিলজি রিপোর্ট, লেয়ারড ভয়েস অ্যানালিসিসের মতো বিভিন্ন প্রমাণের উপরে ভিত্তি করে সঞ্জয়কে মূল অভিযুক্ত হিসেবে তুলে ধরে সংস্থাটি।


সিবিআই দাবি করেছে, ভুক্তভোগীর দেহে ডিএনএয়ের যে নমুনা পাওয়া গেছে, তা সঞ্জয়ের সঙ্গে মিলে যায়। ঘটনার সময় নিজেকে রক্ষার চেষ্টাও করেছিলেন ভুক্তভোগী, সঞ্জয়ের শরীরে সেরকম পাঁচটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। অপরাধস্থল থেকে যে চুল উদ্ধার করা হয়েছে, তাও সঞ্জয়ের বলে প্রমাণ মিলেছে।তাছাড়াও ফোনের লোকেশন, ব্লুটুথ ডিভাইসের মতো বিষয় থেকেও ঘটনাস্থলে সঞ্জয়ের উপস্থিতির বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সেসব পারিপার্শ্বিক এবং বায়োলজিক্যাল প্রমাণের ভিত্তিতে তদন্তকারী সংস্থা সুপারিশ করে, ‘বিরল থেকে বিরলতম’ একটি অপরাধ ঘটেছে। তাই সঞ্জয়কে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার আহ্বান করে সিবিআই।তবে সঞ্জয়ের আইনজীবী দাবি করেছেন, ৯ অগস্ট যেখান থেকে তরুণী চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, সেটি এমন একটি জায়গা যেখানে ২৪ ঘণ্টা লোক থাকেন। সেই পরিস্থিতিতে সকলের নজর এড়িয়ে চুপচাপ সেমিনার হলে ঢুকে কারও নজরে না পড়ে ২৮ মিনিটের মধ্যে ধর্ষণ এবং খুন করা সম্ভব নয়।

নির্যাতিতার বাবা-মা দাবি করে, সঞ্জয়ের পক্ষে একা সেই কাজ ঘটানো সম্ভব নয়। সেই ঘটনায় আরও অনেকে যুক্ত আছে। সিবিআইয়ের তদন্ত এখনো অর্ধেক হয়েছে। এমনকি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ আরও বেড়েছে ১৩ ডিসেম্বর থেকে। কারণ নির্ধারিত ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট পেশ করতে না পারায় সেদিন ধর্ষণ ও খুনের মামলায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল জামিন পেয়ে যান। সেই ঘটনায় চরম ক্ষোভ করেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মা এবং সাধারণ মানুষও।


অফিস :

MyTv Bhaban, 155, 150/3, Hatirjheel, Dhaka-1219

Phone. ☎ +880255128896 ; Fax. +880255128899

Email. admin@mytvbd.tv