
চীন সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েও তরুণ–তরুণীদের মধ্যে বিয়ের হার বাড়াতে পারছে না। গত বছর দেশটিতে বিয়ের হার কমেছে ১০ শতাংশ, যা ১৯৮০ সালের পর সবচেয়ে বড় পতন। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
চীনের বেসামরিকবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে, গত বছর দেশটিতে ৬১ লাখ তরুণ-তরুণী বিয়ে করেছে। ২০২৩ সালে এ সংখ্যা ছিল ৭৬ লাখ, যা আগের বছরের তুলনায় ২০ দশমিক ৫ শতাংশ কম। একই সময়ে বিবাহবিচ্ছেদের হার ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ লাখ ২০ হাজারে।
উইসকন ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনতত্ত্ববিদ ই ফুশিয়ান বলেন, ‘এটা অপ্রত্যাশিত। করোনা মহামারির সময়েও বিয়ের হার এতটা কমেনি। তখন বিয়ের হার কমেছিল মাত্র ১২ দশমিক ২ শতাংশ।’চীনের এই জনতত্ত্ববিদ আরও বলেন, ‘এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে চীন সরকারের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা তাদের জনসংখ্যাগত দুর্বলতার কারণে ভেস্তে যাবে।’বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ চীন। দেশটিতে বর্তমান জনসংখ্যা ১৪০ কোটি, যাদের বড় একটি অংশ দ্রুত বার্ধক্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চলা এক-সন্তান নীতির পাশাপাশি দ্রুত নগরায়ণের কারণে চীনের জন্মহার বছরের পর বছর ধরে কমে এসেছে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে প্রায় ৩০ কোটি চীনা নাগরিক অবসরে যাবেন।
জনসংখ্যার জন্মহার কমানো ঠেকাতে উঠে পড়ে লেগেছে চীন। এজন্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘লাভ এডুকেশন’ চালুর আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে চীনের তরুণ-তরুণীরা উপযুক্ত বয়সে পরিবার গঠন, বিয়ে এবং সন্তান নিতে আগ্রহী হয়।
গত বছরের নভেম্বরে চীনের স্টেট কাউন্সিল অথবা ক্যাবিনেট স্থানীয় সরকারকে জনসংখ্যার হার বাড়াতে তরুণ-তরুণীতে পরিণত বয়সে বিয়ে করার জন্য উৎসাহ যোগাতে নির্দেশনা দেয়।
চীনের বেসামরিকবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে, গত বছর দেশটিতে ৬১ লাখ তরুণ-তরুণী বিয়ে করেছে। ২০২৩ সালে এ সংখ্যা ছিল ৭৬ লাখ, যা আগের বছরের তুলনায় ২০ দশমিক ৫ শতাংশ কম। একই সময়ে বিবাহবিচ্ছেদের হার ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ লাখ ২০ হাজারে।
উইসকন ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনতত্ত্ববিদ ই ফুশিয়ান বলেন, ‘এটা অপ্রত্যাশিত। করোনা মহামারির সময়েও বিয়ের হার এতটা কমেনি। তখন বিয়ের হার কমেছিল মাত্র ১২ দশমিক ২ শতাংশ।’চীনের এই জনতত্ত্ববিদ আরও বলেন, ‘এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে চীন সরকারের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা তাদের জনসংখ্যাগত দুর্বলতার কারণে ভেস্তে যাবে।’বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ চীন। দেশটিতে বর্তমান জনসংখ্যা ১৪০ কোটি, যাদের বড় একটি অংশ দ্রুত বার্ধক্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চলা এক-সন্তান নীতির পাশাপাশি দ্রুত নগরায়ণের কারণে চীনের জন্মহার বছরের পর বছর ধরে কমে এসেছে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে প্রায় ৩০ কোটি চীনা নাগরিক অবসরে যাবেন।
জনসংখ্যার জন্মহার কমানো ঠেকাতে উঠে পড়ে লেগেছে চীন। এজন্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘লাভ এডুকেশন’ চালুর আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে চীনের তরুণ-তরুণীরা উপযুক্ত বয়সে পরিবার গঠন, বিয়ে এবং সন্তান নিতে আগ্রহী হয়।
গত বছরের নভেম্বরে চীনের স্টেট কাউন্সিল অথবা ক্যাবিনেট স্থানীয় সরকারকে জনসংখ্যার হার বাড়াতে তরুণ-তরুণীতে পরিণত বয়সে বিয়ে করার জন্য উৎসাহ যোগাতে নির্দেশনা দেয়।