কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হলেও জাতীয় সংগীত রাখতে পারবে: ট্রাম্প

আপলোড সময় : ২৩-০২-২০২৫ ১১:০৪:১৪ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ২৩-০২-২০২৫ ১১:০৪:১৪ পূর্বাহ্ন
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা বিশ্বের অন্যতম ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী এবং গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার। দীর্ঘদিন ধরে এই দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান থাকলেও মাঝে মাঝে বাণিজ্য নীতি ও শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়ে মতপার্থক্য দেখা যায়।

সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক ফোরামে দুই দেশের অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা নিয়ে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও গভীর করা গেলে উভয় দেশের জন্যই লাভজনক হতে পারে।” যদিও এটি আনুষ্ঠানিক কোনো রাজনৈতিক প্রস্তাব নয়, তবে অনেক বিশ্লেষকই মনে করেন, এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি মূলত দুই দেশের মধ্যে আরও দৃঢ় সহযোগিতার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

ট্রাম্পের বক্তব্যের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীও মন্তব্য করেন, “কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ভৌগোলিক, সাংস্কৃতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক এতটাই দৃঢ় যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পেলে দুই দেশের জনগণই উপকৃত হবে।”

এদিকে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, “আমরা প্রতিবেশী ও অংশীদার হিসেবে নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেও একসঙ্গে উন্নয়ন করতে পারি।” তিনি আরও যোগ করেন, “কানাডা সবসময় স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বৈশ্বিক মঞ্চে নিজেদের অবস্থান বজায় রাখবে, তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের ভিত্তিতে কাজ করতে আগ্রহী।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই দেশের মধ্যে কিছু বাণিজ্যিক জটিলতা থাকলেও, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সেসব সমাধান সম্ভব। সাম্প্রতিক ক্রীড়া ইভেন্ট কিংবা সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচিও দুই দেশের জনগণের মধ্যে সৌহার্দ্য বাড়াচ্ছে।

পর্যটন খাতের উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, এবং উত্তর আমেরিকার নিরাপত্তা রক্ষায় কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক সহযোগিতাই ভবিষ্যতের জন্য সবচেয়ে কার্যকর পথ হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।


অফিস :

MyTv Bhaban, 155, 150/3, Hatirjheel, Dhaka-1219

Phone. ☎ +880255128896 ; Fax. +880255128899

Email. admin@mytvbd.tv