ইলন মাস্কের কানাডিয়ান নাগরিকত্ব বাতিলের দাবিতে আড়াই লাখের বেশি স্বাক্ষর  

আপলোড সময় : ২৬-০২-২০২৫ ০৩:০১:৩০ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২৬-০২-২০২৫ ০৩:০১:৩০ অপরাহ্ন
মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও ধনকুবের ইলন মাস্কের কানাডিয়ান নাগরিকত্ব বাতিলের দাবিতে আড়াই লাখের বেশি মানুষ স্বাক্ষর করেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, তিনি কানাডার সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করছেন। ইলন মাস্ক দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ায় এক ধনী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পরে তার মা মে মাস্কের মাধ্যমে কানাডার নাগরিকত্ব লাভ করেন। কিন্তু বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবেও পরিচিত। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি একটি বিদেশি সরকারের অংশ হয়ে কানাডার সার্বভৌমত্ব দুর্বল করার চেষ্টা করছেন। বিশেষ করে তিনি ট্রাম্পকে শক্তভাবে সমর্থন করছেন, যার অতীত বক্তব্যে কানাডার সার্বভৌমত্ব নিয়ে সংশয় প্রকাশ পেয়েছে।  

ট্রাম্প একাধিকবার কানাডার রাজনৈতিক নেতাদের উপহাস করেছেন এবং যুক্তি দিয়েছেন যে, কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্য হওয়া উচিত। এই বক্তব্যের জেরে কানাডার অনেক নাগরিক ক্ষুব্ধ হয়ে ইলন মাস্কের নাগরিকত্ব বাতিলের দাবিতে স্বাক্ষর করেছেন। কানাডার ফেডারেল আইন প্রণেতা চার্লি অ্যাঙ্গাস এ বিষয়ে বলেন, 'এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ অলিগার্ক ও চরমপন্থিদের ক্রমবর্ধমান শক্তির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশের সুযোগ পাচ্ছে।বামপন্থি নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (NDP) সদস্য অ্যাঙ্গাস আরও বলেন, 'ইলন মাস্কের মতো ব্যক্তিরা আমাদের দেশের জন্য হুমকি।কানাডার আইন অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যক্তি অভিবাসন প্রক্রিয়ায় জালিয়াতি করেন, মিথ্যা তথ্য দেন অথবা কানাডার বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংঘাতে বিদেশি বাহিনীতে যোগ দেন, তাহলে তার নাগরিকত্ব বাতিল হতে পারে।  

এই আবেদনের বিপরীতে ইলন মাস্ক বা কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষ এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। তবে বিষয়টি নিয়ে কানাডার রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা চলছে।  


অফিস :

MyTv Bhaban, 155, 150/3, Hatirjheel, Dhaka-1219

Phone. ☎ +880255128896 ; Fax. +880255128899

Email. admin@mytvbd.tv