
পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে। এদিকে জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের জেনিন ক্যাম্পে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের ওপর অবরোধ আরোপ করার ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ও সামাজিক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে, ওই শিবিরে ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনারা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে এবং পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করা অব্যাহত রেখেছে।ইসরাইলি বুলডোজারগুলো পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরের প্রধান এবং গৌণ সড়কগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। পার্সটুডে আরও জানায়, ফিলিস্তিনি সূত্রগুলো জানিয়েছে, এই অভিযানের ফলে প্রায় ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি একজন শরণার্থী আল-আলম নিউজ নেটওয়ার্কের সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন: আমরা আমাদের বাড়িঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। ইহুদিবাদী শত্রুরা মনে করছে স্থানচ্যুতির মাধ্যমে তারা ফিলিস্তিনিদের আকাঙ্ক্ষা ও মনোবল ভেঙে দিতে পারবে, কিন্তু এটা তারা ভুল করছে। ইহুদিবাদী ইসরাইলিরা যতই হামলা করুক, আমরা আমাদের জন্মভূমিতেই থাকতে চাই। তাদের সঙ্গে জেনিনের কোনো সম্পর্ক নেই, জেনিন ফিলিস্তিনিদের।এদিকে, শনিবার থেকে, ইসরাইলি সেনারা পশ্চিম তীরের উত্তরে তুলকারাম শহরের পূর্বে অবস্থিত নূর শামস ক্যাম্পে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। এরইমধ্যে তাদের বুলডোজারগুলো ক্যাম্পের ভেতরের প্রায় ৩০টি আবাসিক ইউনিট ভেঙে দিয়েছে।
পশ্চিম তীরে হামলার নিন্দা জানিয়েছে হামাস
ফিলিস্তিন ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস নূর শামস শিবিরে ইসরাইলি অভিযানে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর ধ্বংসের নিন্দা জানিয়েছে। এই পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং যুদ্ধাপরাধ বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি। হামাস জোর দিয়ে বলেছে, দখলদার সরকারের সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ড এবং ইসরাইলি নেতাদের বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী এবং যুদ্ধমন্ত্রীর বক্তব্য একযোগে ঘটেছে। এই ঘটনা থেকে প্রমাণ হয় যে পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলীয় শিবির থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের পরিকল্পনা ছিল পূর্ব-পরিকল্পিত।
গাজায় যুদ্ধের ধ্বংসাবশেষের ওপর ইফতার
পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিনে, ফিলিস্তিনিরা ইহুদিবাদী ইসরাইলি গণহত্যায় ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়িঘরের পাশে জড়ো হয়ে ইফতার করেছে। ফিলিস্তিনিরা তাদের প্রিয়জনদের হারানোর অসহনীয় যন্ত্রণা নিয়ে দুর্বিসহ ওই পরিস্থিতির মধ্যে ইফতার করে। গাজা উপত্যকার উত্তরে, যেখানে সমস্ত আবাসিক এলাকা ধ্বংস হয়ে গেছে, ফিলিস্তিনিরা সেখানে এমনসব তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছে যেখানে ন্যূনতম মৌলিক সুযোগ-সুবিধাও নেই এবং সাধারণ খাবার, প্রধানত টিনজাত খাবার দিয়ে তাদের ইফতার করতে হচ্ছে।দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনূস শহরের পরিস্থিতিও এরচেয়ে খুব একটা আলাদা ছিল না। সেখানেও হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শরণার্থী খাদ্য ও পানি সংকটের মধ্যে তাঁবুগুলোতে ইফতার করতে বাধ্য হয়েছিল। গাজাযুদ্ধে গণহত্যার ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা খাবারের অভাবে অভুক্ত মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করেছেন এবং তরুণরা স্বেচ্ছায় রোজাদারদের মাঝে খেজুর ও পানি বিতরণ করেছেন।
গাজা উপত্যকার দক্ষিণে অবস্থিত রাফাহ শহর এবং শুজাইয়া মহল্লায় গণ ইফতারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। গাজাযুদ্ধের ফলে ধ্বংসপ্রাপ্ত ঘরবাড়ির ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ঘর-বাড়িহারা শত শত ফিলিস্তিনি ওই ইফতারের দস্তরখানে জড়ো হয়। লক্ষ্যণীয় বিষয়টি হলো ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ সত্ত্বেও, গাজার মানুষ পুনরায় জীবন গড়ার চেষ্টায় আশাবাদী। তারা তাদের বাড়ির ধ্বংসপ্রাপ্ত দেয়ালে লণ্ঠন ঝুলিয়ে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আশার আলো জ্বালিয়ে তোলার চেষ্টা করছে।
ফিলিস্তিনি একজন শরণার্থী আল-আলম নিউজ নেটওয়ার্কের সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন: আমরা আমাদের বাড়িঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। ইহুদিবাদী শত্রুরা মনে করছে স্থানচ্যুতির মাধ্যমে তারা ফিলিস্তিনিদের আকাঙ্ক্ষা ও মনোবল ভেঙে দিতে পারবে, কিন্তু এটা তারা ভুল করছে। ইহুদিবাদী ইসরাইলিরা যতই হামলা করুক, আমরা আমাদের জন্মভূমিতেই থাকতে চাই। তাদের সঙ্গে জেনিনের কোনো সম্পর্ক নেই, জেনিন ফিলিস্তিনিদের।এদিকে, শনিবার থেকে, ইসরাইলি সেনারা পশ্চিম তীরের উত্তরে তুলকারাম শহরের পূর্বে অবস্থিত নূর শামস ক্যাম্পে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। এরইমধ্যে তাদের বুলডোজারগুলো ক্যাম্পের ভেতরের প্রায় ৩০টি আবাসিক ইউনিট ভেঙে দিয়েছে।
পশ্চিম তীরে হামলার নিন্দা জানিয়েছে হামাস
ফিলিস্তিন ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস নূর শামস শিবিরে ইসরাইলি অভিযানে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর ধ্বংসের নিন্দা জানিয়েছে। এই পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং যুদ্ধাপরাধ বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি। হামাস জোর দিয়ে বলেছে, দখলদার সরকারের সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ড এবং ইসরাইলি নেতাদের বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী এবং যুদ্ধমন্ত্রীর বক্তব্য একযোগে ঘটেছে। এই ঘটনা থেকে প্রমাণ হয় যে পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলীয় শিবির থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের পরিকল্পনা ছিল পূর্ব-পরিকল্পিত।
গাজায় যুদ্ধের ধ্বংসাবশেষের ওপর ইফতার
পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিনে, ফিলিস্তিনিরা ইহুদিবাদী ইসরাইলি গণহত্যায় ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়িঘরের পাশে জড়ো হয়ে ইফতার করেছে। ফিলিস্তিনিরা তাদের প্রিয়জনদের হারানোর অসহনীয় যন্ত্রণা নিয়ে দুর্বিসহ ওই পরিস্থিতির মধ্যে ইফতার করে। গাজা উপত্যকার উত্তরে, যেখানে সমস্ত আবাসিক এলাকা ধ্বংস হয়ে গেছে, ফিলিস্তিনিরা সেখানে এমনসব তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছে যেখানে ন্যূনতম মৌলিক সুযোগ-সুবিধাও নেই এবং সাধারণ খাবার, প্রধানত টিনজাত খাবার দিয়ে তাদের ইফতার করতে হচ্ছে।দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনূস শহরের পরিস্থিতিও এরচেয়ে খুব একটা আলাদা ছিল না। সেখানেও হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শরণার্থী খাদ্য ও পানি সংকটের মধ্যে তাঁবুগুলোতে ইফতার করতে বাধ্য হয়েছিল। গাজাযুদ্ধে গণহত্যার ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা খাবারের অভাবে অভুক্ত মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করেছেন এবং তরুণরা স্বেচ্ছায় রোজাদারদের মাঝে খেজুর ও পানি বিতরণ করেছেন।
গাজা উপত্যকার দক্ষিণে অবস্থিত রাফাহ শহর এবং শুজাইয়া মহল্লায় গণ ইফতারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। গাজাযুদ্ধের ফলে ধ্বংসপ্রাপ্ত ঘরবাড়ির ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ঘর-বাড়িহারা শত শত ফিলিস্তিনি ওই ইফতারের দস্তরখানে জড়ো হয়। লক্ষ্যণীয় বিষয়টি হলো ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ সত্ত্বেও, গাজার মানুষ পুনরায় জীবন গড়ার চেষ্টায় আশাবাদী। তারা তাদের বাড়ির ধ্বংসপ্রাপ্ত দেয়ালে লণ্ঠন ঝুলিয়ে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আশার আলো জ্বালিয়ে তোলার চেষ্টা করছে।