ছেলের বান্ধবীসহ তিন শতাধিক নারীকে যৌন নির্যাতন করা চিকিৎসকের বিচার শুরু

আপলোড সময় : ০৮-০৩-২০২৫ ০১:৫৭:২৮ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৮-০৩-২০২৫ ০১:৫৭:২৮ অপরাহ্ন
২৫ বছরের বেশি সময় ধরে ফ্রান্সে শল্যচিকিৎসা (সার্জন) দেয়া হিসেবে জো লু স্কোয়ারেনের বিরুদ্ধে নারী ও কিশোরীদের ওপর ভয়াবহ যৌন নির্যাতনের অভিযোগে বিচার শুরু হয়েছে।

৭৪ বছর বয়সী ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে স্থানীয় সময় শুক্রবার (৭ মার্চ) থেকে দেশটির এক আদালতে বিচার শুরু হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

জো লু স্কোয়ারেনের বিরুদ্ধে চিকিৎসা নিতে আসা অন্তত ৩০০ রোগীকে ধর্ষণ অথবা যৌন নিপীড়ন করার অভিযোগ আছে। এমনকি নিজের ছেলের বান্ধবীও বাদ যায়নি তার যৌন লালসার হাত থেকে।

ফ্রান্সের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ভানের ওই আদালতে বিচারের মুখোমুখি এই অভিযুক্ত আদালতে স্বীকার করেছেন, তিনি তার বাড়িতে আসা শিশুদেরও যৌন নির্যাতনের শিকার বানিয়েছিলেন এবং তার নির্যাতনের শিকার হওয়া বেশিরভাগ ভুক্তভোগীর বয়স ১৫ বছরের কম।

ফ্রান্সের ইতিহাসে শিশু যৌন নির্যাতনের অন্যতম বৃহত্তম মামলা এটি। তার বিরুদ্ধে ১৯৮৯ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে এক ডজন হাসপাতালের ২৯৯ জন রোগীকে নিপীড়ন বা ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব ভুক্তভোগীর বেশির ভাগকেই তিনি অজ্ঞান অবস্থায় বা জ্ঞান ফেরার পরপরই ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

শুক্রবার লে স্কোয়ার্নেক আরও স্বীকার করেছেন যে, তিনি তার ছেলের এক বান্ধবীকেও ধর্ষণ করেছিলেন। নির্যাতনের শিকার হওয়ার সময় ওই ভুক্তভোগী নারী শিশু ছিলেন। 

আদালতে ওই নারী জানান, ১৯৯০-এর দশকের শুরুর দিকে লে স্কোয়ার্নেকের বাড়িতে যাওয়ার সময় তিনি তার নিপীড়নের শিকার হন।

ওই নারী বলেন, যখন তার বয়স মাত্র ৬ বছর, তখন স্কোয়ার্নেক তাকে একটি কামরায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। সেই সময় তার মা ও স্কোয়ার্নেকের স্ত্রী বসার ঘরে কথা বলছিলেন। কয়েক সপ্তাহ পর স্কোয়ার্নেক একটি বাথরুমে একা পেয়ে তাকে আবারও ধর্ষণ করেন। এর কয়েক মাস পর স্কোয়ার্নেক আবারও তাকে আলাদা করার চেষ্টা করেন, কিন্তু তিনি সে সময় দৌড়ে পালিয়ে মায়ের কাছে ফিরে যান।

স্কোয়ার্নেক তাঁর বিরুদ্ধে আনা অনেক অভিযোগ মনে নেই বলে দাবি করেছেন। তবে আদালতে স্বীকার করেন যে, তিনি ‘বাথরুমের ঘটনাটি’ মনে করতে পারেন। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে যখন বান্ধবীদের বাড়িতে আনত, তখন আমি তাদের নিপীড়ন করতাম। সেদিন আমি সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম, আর তখনই ছোট্ট এস-কে (ভুক্তভোগী সেই নারীর নামের আদ্যক্ষর) টয়লেটে যেতে দেখি। আমি তখন টয়লেটে গিয়ে, ঠিক যেমনটা বর্ণনা করেছি সেই কাজগুলো করি।’

দীর্ঘ সময় চিকিৎসা পেশায় থাকলেও কর্মজীবনে স্কোয়ার্নেকের বিরুদ্ধে কখনো তদন্ত হয়নি। তবে ২০০৫ সালে শিশুদের যৌন নিপীড়নের ছবি রাখার দায়ে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। তিনি ২০১৭ সালে অবসর নেওয়ার আগ পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যান। এরপর এক ছয় বছর বয়সী শিশু তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করে এবং পুলিশ তার কম্পিউটারে সংরক্ষিত নির্যাতনের ডায়েরি ও অন্যান্য বিবরণ উদ্ধার করে।

আদালতে লে স্কোয়ার্নেক ব্যাখ্যা করেন, কীভাবে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে নির্যাতনের সময় কম কথা বলতেন, যাতে শিশুরা ভয় পেয়ে কথা না বলে। তিনি বলেন, ‘আমি শুধু নিজের কথাই ভাবতাম।’ 


অফিস :

MyTv Bhaban, 155, 150/3, Hatirjheel, Dhaka-1219

Phone. ☎ +880255128896 ; Fax. +880255128899

Email. admin@mytvbd.tv