
মার্কিন প্রশাসনের অন্তত ৪১টি দেশের নাগরিকদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুমকির পাশাপাশি নানা বিধিনিষেধের কারণে বিপাকে পড়েছে ভিনদেশি শিক্ষার্থীরা। যাদের ভিসা আর ইমিগ্রেশন ফি জমা দেয়া হয়েছে গেছে, তারা পড়ে গেছেন আরো বিপদে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের তরুণরা। এর মধ্যে আফগানিস্তানকে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাখায় পাকিস্তানে আশ্রয় নেয়া বাস্তুচ্যুতরা পড়েছেন আরো কঠিন পরিস্থিতিতে।
যুক্তরাষ্ট্রের নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয় এশিয়ার অনেক দেশের শিক্ষার্থীদের। পাকিস্তানও তার ব্যতিক্রম নয়। তাদেরই একজন ২৯ বছর বয়সী ইসলামাবাদের নাগরিক সৈয়দ আব্বাস হায়দার। স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা নিয়ে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে ব্যয় করেছেন লাখ লাখ রুপি। এতো অর্থ খরচ করেও যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যাওয়া নিয়ে এখন তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। কারণ, পাকিস্তানের নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে বিধিনিষেধ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। অথচ যুক্তরাষ্ট্রকে মিত্র দেশই ভাবতো পাকিস্তান।
পাকিস্তানিদের একজন বলেন, ‘পাকিস্তানিদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টা দুর্ভাগ্যজনক আর অবাক করার মতো বিষয়। পাকিস্তানের সরকার যুক্তরাষ্ট্রকে মিত্রই মনে করতো।’
আরেকজন বলেন, ‘পাকিস্তানি তরুণরা, যারা যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চতর শিক্ষা নিতে চায়, তারা অনেক অর্থ এরমধ্যেই ব্যয় করে ফেলেছে ভিসা আর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়ার জন্য। পুরো বিনিয়োগ আর সময়টা নষ্ট।’
শনিবার ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশগুলোর তালিকা প্রকাশ করা হয় তিন ভাগে বিভক্ত করে। এরমধ্যে পুরোপুরি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে, আফগানিস্তান, ইরান, লিবিয়া, সিরিয়া, উত্তর কোরিয়াসহ কয়েকটি দেশের ওপর।
শিক্ষার্থী, পর্যটকসহ নতুন করে ভিসায় স্থগিতাদেশ দেয়া হচ্ছে মিয়ানমার, দক্ষিণ সুদান, হাইতিসহ পাঁচ দেশে। এছাড়াও নিরাপত্তা তথ্য সংক্রান্ত দিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্বেগ দূর করার জন্য ৬০ দিনের সময় দেয়া হচ্ছে পাকিস্তান, বেলারুশ, ভুটান, তুর্কমেনিস্তানসহ মোট ২৬ টি দেশে। যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের চরম বিরোধিতা করছে পাকিস্তান।
লাল তালিকাভুক্ত ১০ দেশের ভিসা পুরোপুরি বাতিল হচ্ছে। কমলা তালিকাভুক্ত ৫ দেশের ভিসায় বিধিনিষেধ দেয়া হচ্ছে। আর হলুদ তালিকাভুক্ত দেশগুলোকে ৬০ দিনের মধ্যে নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এভাবে মোট ৪১ টি দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এমন অবস্থায় লাল তালিকায় থাকা আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষ বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য প্রয়োজন তাদের, এমন বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে থাকা মানুষের জন্য প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা সমীচীন নয়।
শুধু পাকিস্তানিদের ওপর নয়, নিষেধাজ্ঞার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে পাকিস্তানে আশ্রয় নেয়া হাজার হাজার আফগানিস্তানের নাগরিকের ওপর। যাদের শরণার্থী কিংবা বিশেষ অভিবাসন ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ছিল, কারণ মার্কিন সরকারের হয়ে ২০ বছর কাজ করায় তারা এখন তালেবান সরকারের চক্ষুশূল।
২০ জানুয়ারি ক্ষমতায় আসার পরপরই বিদেশিদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ইস্যুতে নির্বাহী আদেশে সই করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যেখানে বলা হয়, দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়, এমন ভিনদেশিদের দেশে পড়াশোনা করতে ভর্তি নেয়া যাবে না। কয়েকজন কেবিনেট সদস্য গেলো ১২ মার্চ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসতে পারা দেশগুলোর তালিকা প্রকাশ করে। এরপর শনিবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে সেই তালিকা প্রকাশ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয় এশিয়ার অনেক দেশের শিক্ষার্থীদের। পাকিস্তানও তার ব্যতিক্রম নয়। তাদেরই একজন ২৯ বছর বয়সী ইসলামাবাদের নাগরিক সৈয়দ আব্বাস হায়দার। স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা নিয়ে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে ব্যয় করেছেন লাখ লাখ রুপি। এতো অর্থ খরচ করেও যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যাওয়া নিয়ে এখন তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। কারণ, পাকিস্তানের নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে বিধিনিষেধ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। অথচ যুক্তরাষ্ট্রকে মিত্র দেশই ভাবতো পাকিস্তান।
পাকিস্তানিদের একজন বলেন, ‘পাকিস্তানিদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টা দুর্ভাগ্যজনক আর অবাক করার মতো বিষয়। পাকিস্তানের সরকার যুক্তরাষ্ট্রকে মিত্রই মনে করতো।’
আরেকজন বলেন, ‘পাকিস্তানি তরুণরা, যারা যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চতর শিক্ষা নিতে চায়, তারা অনেক অর্থ এরমধ্যেই ব্যয় করে ফেলেছে ভিসা আর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়ার জন্য। পুরো বিনিয়োগ আর সময়টা নষ্ট।’
শনিবার ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশগুলোর তালিকা প্রকাশ করা হয় তিন ভাগে বিভক্ত করে। এরমধ্যে পুরোপুরি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে, আফগানিস্তান, ইরান, লিবিয়া, সিরিয়া, উত্তর কোরিয়াসহ কয়েকটি দেশের ওপর।
শিক্ষার্থী, পর্যটকসহ নতুন করে ভিসায় স্থগিতাদেশ দেয়া হচ্ছে মিয়ানমার, দক্ষিণ সুদান, হাইতিসহ পাঁচ দেশে। এছাড়াও নিরাপত্তা তথ্য সংক্রান্ত দিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্বেগ দূর করার জন্য ৬০ দিনের সময় দেয়া হচ্ছে পাকিস্তান, বেলারুশ, ভুটান, তুর্কমেনিস্তানসহ মোট ২৬ টি দেশে। যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের চরম বিরোধিতা করছে পাকিস্তান।
লাল তালিকাভুক্ত ১০ দেশের ভিসা পুরোপুরি বাতিল হচ্ছে। কমলা তালিকাভুক্ত ৫ দেশের ভিসায় বিধিনিষেধ দেয়া হচ্ছে। আর হলুদ তালিকাভুক্ত দেশগুলোকে ৬০ দিনের মধ্যে নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এভাবে মোট ৪১ টি দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এমন অবস্থায় লাল তালিকায় থাকা আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষ বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য প্রয়োজন তাদের, এমন বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে থাকা মানুষের জন্য প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা সমীচীন নয়।
শুধু পাকিস্তানিদের ওপর নয়, নিষেধাজ্ঞার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে পাকিস্তানে আশ্রয় নেয়া হাজার হাজার আফগানিস্তানের নাগরিকের ওপর। যাদের শরণার্থী কিংবা বিশেষ অভিবাসন ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ছিল, কারণ মার্কিন সরকারের হয়ে ২০ বছর কাজ করায় তারা এখন তালেবান সরকারের চক্ষুশূল।
২০ জানুয়ারি ক্ষমতায় আসার পরপরই বিদেশিদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ইস্যুতে নির্বাহী আদেশে সই করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যেখানে বলা হয়, দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়, এমন ভিনদেশিদের দেশে পড়াশোনা করতে ভর্তি নেয়া যাবে না। কয়েকজন কেবিনেট সদস্য গেলো ১২ মার্চ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসতে পারা দেশগুলোর তালিকা প্রকাশ করে। এরপর শনিবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে সেই তালিকা প্রকাশ করা হয়।