
১১ বছর আগে ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জে সাত বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে মো. আরশাদ (৩৩) নামে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাঁকে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। আসামির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে জরিমানার টাকা আদায় করে ভুক্তভোগী ও তাঁর পরিবারকে দেওয়ার জন্য ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ট্রাইবুনালের বিশেষ পিপি এরশাদ আলম (জর্জ) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।রায় ঘোষণার সময় আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাঁকে আবার কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় আসামি আরশাদ ওই শিশুকে পার্শ্ববর্তী দোকান থেকে সিগারেট ও শ্যাম্পু আনতে বলেন। শিশুটি সিগারেট ও শ্যাম্পু নিয়ে আসলে তাকে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন করেরগাঁওয়ের একটি বাড়ির ফাঁকা ঘরে নিয়ে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করা হয়। শিশুটি বাড়িতে গিয়ে তাঁর মাকে এ ঘটনা জানায়। শিশুটিকে প্রথমে মিটফোর্ড হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘটনার তিন দিন পর ৫ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন শিশুটির বাবা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট থানার এসআই মো. হামিদুল ইসলাম মামলা তদন্ত করে একই বছরের ১৬ নভেম্বর আরশাদকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলায় বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাঁকে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। আসামির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে জরিমানার টাকা আদায় করে ভুক্তভোগী ও তাঁর পরিবারকে দেওয়ার জন্য ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ট্রাইবুনালের বিশেষ পিপি এরশাদ আলম (জর্জ) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।রায় ঘোষণার সময় আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাঁকে আবার কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় আসামি আরশাদ ওই শিশুকে পার্শ্ববর্তী দোকান থেকে সিগারেট ও শ্যাম্পু আনতে বলেন। শিশুটি সিগারেট ও শ্যাম্পু নিয়ে আসলে তাকে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন করেরগাঁওয়ের একটি বাড়ির ফাঁকা ঘরে নিয়ে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করা হয়। শিশুটি বাড়িতে গিয়ে তাঁর মাকে এ ঘটনা জানায়। শিশুটিকে প্রথমে মিটফোর্ড হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘটনার তিন দিন পর ৫ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন শিশুটির বাবা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট থানার এসআই মো. হামিদুল ইসলাম মামলা তদন্ত করে একই বছরের ১৬ নভেম্বর আরশাদকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলায় বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।