
ইয়েমেনি হুথিদের অবস্থান লক্ষ্য করে ফের বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গেল দু'দিন ধরে চলা এ হামলায় এখন পর্যন্ত পাঁচ শিশুসহ নিহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক বেসামরিক নাগরিক। হামলার জবাবে লোহিত সাগরে মার্কিন বিমানবাহী রণতরীতে পাল্টা আক্রমণের দাবি করেছেন হুথি মুখপাত্র। এদিকে ইয়েমেনে হামলা বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া।
গাজায় সহায়তা পৌঁছাতে না দিলে লোহিত সাগরে ইসরাইলি জাহাজে একযোগে আক্রমণ- হুথি বিদ্রোহীগোষ্ঠীর এমন হুঁশিয়ারির পরপরই ইয়েমেনে ফের বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
ট্রাম্পের কথামতো ইয়েমেনি হুথিদের লক্ষ্য করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান অব্যাহত রেখেছে মার্কিন সেনারা। রোববার (১৬ মার্চ) রাজধানী সানা ও অন্যতম শহর সাদায় ফের বিমান হামলা চালানো হয়। এবার লোহিত সাগরের হুদেইদা বন্দরে হুথিদের হাইজ্যাক করা ইসরাইলের বাণিজ্যিক জাহাজ গ্যালাক্সি লিডার লক্ষ্য করে অভিযান চালিয়েছে ওয়াশিংটন। মার্কিন আগ্রাসনের শিকার হয়েছে দেশটির আল-হাজেম অঞ্চলের সরকারি স্থাপনাও।
এর আগে শনিবার (১৫ মার্চ) রাত থেকে সানা ও সাদায় মিসাইল ও বোমা ছোঁড়ে যুক্তরাষ্ট্র। ধংসযজ্ঞে পরিণত হয় শহর দু'টির বেশ কিছু অঞ্চল। নিহত হন শিশুসহ অর্ধশতাধিক বেসামরিক নাগরিক।
ইয়েমেনের স্থানীয় একজন বলেন, 'গতকাল যা হয়েছে তা অনেক বড় অপরাধ। এখানকার মানুষের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র কেবল বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে আঘাত করেছে।'
হুথি বিদ্রোহীদের মধ্যে একজন বলেন, 'যা ঘটেছে তার জন্য নিন্দা জানাই। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল যতই আগ্রাসী হোক না কেন ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াবোই।'
যদিও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছে ওয়াশিংটন।
মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ বলেন, 'বেশ কিছু হুথি সদস্যকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। হুথিদের পাশাপাশি ইরান একটা বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হুথিদের অর্থ ও প্রশিক্ষণ সহায়তা দিচ্ছে ইরান। হুথিরা কেবলমাত্র মার্কিন যুদ্ধজাহাজ আক্রমণ করছে তা নয়, এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বৈশ্বিক অর্থনীতিও।'
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার পাল্টা জবাবে লোহিত সাগরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে পাল্টা আক্রমণের দাবি করেছে হুথিরা। এমনকি মার্কিন বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস হ্যারি ট্রুম্যানেও হামলার দাবি তাদের। জাহাজগুলো লক্ষ্য করে ১৮টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ মিসাইল ও ড্রোন দিয়ে হামলা চালানোর দাবি যৌথ বাহিনী। যদিও এর কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি তারা।
হুথি সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেন, 'লোহিত সাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ আক্রমণ করতে দ্বিতীয়বার ভাববে না হুথিরা। তাদের আগ্রাসনের কড় জবাব দেয়া হবে। গাজায় সহায়তা পৌঁছাতে না দেয়া পর্যন্ত লোহিত সাগরে ইসরাইলি জাহাজ লক্ষ্য করে হুথিদের হামলা অব্যাহত থাকবে।'
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রকে ইয়েমেনে হামলার মাশুল গুণতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। দেশটির রেভ্যুলুশনারি গার্ডের কমান্ডার হোসেন সালামি বলেন, ইরানকে দেয়া মার্কিন হুঁশিয়ারিরও উপযুক্ত জবাব পাবে তারা।
এদিকে ইয়েমেনে হামলা বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে রাশিয়াও। শনিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও'র সঙ্গে এই ইস্যুতে ফোনালাপ করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। এসময় কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের আহ্বানও জানান তিনি।
গাজায় সহায়তা পৌঁছাতে না দিলে লোহিত সাগরে ইসরাইলি জাহাজে একযোগে আক্রমণ- হুথি বিদ্রোহীগোষ্ঠীর এমন হুঁশিয়ারির পরপরই ইয়েমেনে ফের বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
ট্রাম্পের কথামতো ইয়েমেনি হুথিদের লক্ষ্য করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান অব্যাহত রেখেছে মার্কিন সেনারা। রোববার (১৬ মার্চ) রাজধানী সানা ও অন্যতম শহর সাদায় ফের বিমান হামলা চালানো হয়। এবার লোহিত সাগরের হুদেইদা বন্দরে হুথিদের হাইজ্যাক করা ইসরাইলের বাণিজ্যিক জাহাজ গ্যালাক্সি লিডার লক্ষ্য করে অভিযান চালিয়েছে ওয়াশিংটন। মার্কিন আগ্রাসনের শিকার হয়েছে দেশটির আল-হাজেম অঞ্চলের সরকারি স্থাপনাও।
এর আগে শনিবার (১৫ মার্চ) রাত থেকে সানা ও সাদায় মিসাইল ও বোমা ছোঁড়ে যুক্তরাষ্ট্র। ধংসযজ্ঞে পরিণত হয় শহর দু'টির বেশ কিছু অঞ্চল। নিহত হন শিশুসহ অর্ধশতাধিক বেসামরিক নাগরিক।
ইয়েমেনের স্থানীয় একজন বলেন, 'গতকাল যা হয়েছে তা অনেক বড় অপরাধ। এখানকার মানুষের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র কেবল বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে আঘাত করেছে।'
হুথি বিদ্রোহীদের মধ্যে একজন বলেন, 'যা ঘটেছে তার জন্য নিন্দা জানাই। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল যতই আগ্রাসী হোক না কেন ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াবোই।'
যদিও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছে ওয়াশিংটন।
মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ বলেন, 'বেশ কিছু হুথি সদস্যকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। হুথিদের পাশাপাশি ইরান একটা বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হুথিদের অর্থ ও প্রশিক্ষণ সহায়তা দিচ্ছে ইরান। হুথিরা কেবলমাত্র মার্কিন যুদ্ধজাহাজ আক্রমণ করছে তা নয়, এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বৈশ্বিক অর্থনীতিও।'
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার পাল্টা জবাবে লোহিত সাগরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে পাল্টা আক্রমণের দাবি করেছে হুথিরা। এমনকি মার্কিন বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস হ্যারি ট্রুম্যানেও হামলার দাবি তাদের। জাহাজগুলো লক্ষ্য করে ১৮টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ মিসাইল ও ড্রোন দিয়ে হামলা চালানোর দাবি যৌথ বাহিনী। যদিও এর কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি তারা।
হুথি সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেন, 'লোহিত সাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ আক্রমণ করতে দ্বিতীয়বার ভাববে না হুথিরা। তাদের আগ্রাসনের কড় জবাব দেয়া হবে। গাজায় সহায়তা পৌঁছাতে না দেয়া পর্যন্ত লোহিত সাগরে ইসরাইলি জাহাজ লক্ষ্য করে হুথিদের হামলা অব্যাহত থাকবে।'
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রকে ইয়েমেনে হামলার মাশুল গুণতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। দেশটির রেভ্যুলুশনারি গার্ডের কমান্ডার হোসেন সালামি বলেন, ইরানকে দেয়া মার্কিন হুঁশিয়ারিরও উপযুক্ত জবাব পাবে তারা।
এদিকে ইয়েমেনে হামলা বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে রাশিয়াও। শনিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও'র সঙ্গে এই ইস্যুতে ফোনালাপ করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। এসময় কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের আহ্বানও জানান তিনি।