
ইউরোপের নর্থ মেসিডোনিয়ায় নাইট ক্লাবে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় প্রিয়জনকে হারিয়ে শোকে দিশেহারা পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নাইট ক্লাবের মালিকসহ ২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। দেশটিতে ঘোষণা করা হয়েছে সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোক।
মারিজা তাসেভা সাক্ষী হয়েছেন এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার, বেঁচে ফিরেছেন মৃত্যুর দ্বারপ্রান্ত থেকে। কিন্তু প্রাণ দিতে হয়েছে তার বোনকে। শনিবার (১৫ মার্চ) মধ্যরাতে নর্থ মেসিডোনিয়ার নাইট ক্লাবে লাগা ভয়াবহ আগুনে চোখের সামনে জ্বলে যেতে দেখেছেন পুরো কনসার্ট হল। হুড়োহুড়িতে লোকজন পালানোর সময় পদপিষ্ট হয়ে আহতও হন তিনি। জানান, শত মানুষের ভিড়ে কীভাবে হারিয়ে ফেলেছেন বোনকে, নিজেই বা কিভাবে বেঁচে ফিরেছেন, জানান নারকীয় সেই অভিজ্ঞতার কথা।
মারিজা তাসেভা বলেন, 'আগুন লাগতেই সবাই চিৎকার শুরু করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বাইরে যাওয়ার পথ একটি আর ভেতরে দেড় হাজার মানুষ। বের হওয়ার পথ খুঁজতে গিয়ে পড়ে গেলাম। এরপরও বেরিয়ে আসি। কিন্তু আমার বোনকে চিরতরে হারাই।'
নর্থ মেসিডেনিয়ার কোকানি শহরের নাইট ক্লাবে লাগা আগুনে সেদিন প্রাণ গেছে অর্ধশতাধিক মানুষের। আহত অন্তত দেড়শ মানুষ হাসপাতালে। এদের মধ্যে অনেকের শরীর ভয়াবহভাবে পুড়ে গেছে। স্থানীয় হাসপাতালের ডাক্তাররাও আপ্রাণ চেষ্টা করছেন পুড়ে যাওয়া রোগীদের বাঁচাতে। অনেককে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হচ্ছে দেশের বাইরে।
ডাক্তারদের মধ্যে একজন বলেন, '৭০ জনকে এই হাসপাতালে চিকিৎসা দিচ্ছি। অনেকের মৃত্যু হয়েছে। রোগীরা পুড়ে তো গেছেই, সঙ্গে কার্বন মনোক্সাইডের বিষক্রিয়া হয়েছে। আমরা অক্সিজেন দিচ্ছি। ক্ষতস্থানে চিকিৎসা দিচ্ছি।'
এদিকে হাসপাতালে পরিবারের সদস্যদের খুঁজতে এসে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন অনেকে। হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন জানান জন্য, পরিবারের সদস্য জীবিত আছেন না প্রাণ গেছে আগুনে। প্রিয়জনকে হারিয়ে অনেকেই হয়ে গেছেন বাকরুদ্ধ।
স্বজনদের মধ্যে একজন বলেন, 'পাঁচ-ছয় জনকে দেখলাম মারা গেছে। আমার এক বন্ধু বেঁচে আছে। তাকে বুলগেরিয়া নেয়া হচ্ছে। কিন্তু আরেকটা মেয়ে মারা গেলো। পুরো দেশের জন্য বিপর্যয়।'
অন্য একজন বলেন, 'আমার কিছু বলার নেই। ভাষা হারিয়েছি। এটা মানুষের তৈরি দুর্যোগ। ভাবতেই পারি না এমন কিছু আমার শহরে হয়েছে।'
এই ঘটনায় কারণ অনুসন্ধানে চলছে তদন্ত। গ্রেপ্তার করা হয়েছে নাইট ক্লাবের মালিককে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জানান, এই নাইট ক্লাবের লাইসেন্সই অবৈধ। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে সরকারি পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।
রাজধানী স্কোপজি থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরের শহর কোকানির একটি নাইট ক্লাবে শনিবার মধ্যরাতে আগুন লেগে ঘটে ভয়াবহ এই বিপর্যয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কনসার্ট হলে পাইরোটেকনিক ডিভাইস ব্যবহারের কারণে সিলিংয়ে আগুন লেগে ঘটেছে এতো বড় দুর্ঘটনা।
মারিজা তাসেভা সাক্ষী হয়েছেন এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার, বেঁচে ফিরেছেন মৃত্যুর দ্বারপ্রান্ত থেকে। কিন্তু প্রাণ দিতে হয়েছে তার বোনকে। শনিবার (১৫ মার্চ) মধ্যরাতে নর্থ মেসিডোনিয়ার নাইট ক্লাবে লাগা ভয়াবহ আগুনে চোখের সামনে জ্বলে যেতে দেখেছেন পুরো কনসার্ট হল। হুড়োহুড়িতে লোকজন পালানোর সময় পদপিষ্ট হয়ে আহতও হন তিনি। জানান, শত মানুষের ভিড়ে কীভাবে হারিয়ে ফেলেছেন বোনকে, নিজেই বা কিভাবে বেঁচে ফিরেছেন, জানান নারকীয় সেই অভিজ্ঞতার কথা।
মারিজা তাসেভা বলেন, 'আগুন লাগতেই সবাই চিৎকার শুরু করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বাইরে যাওয়ার পথ একটি আর ভেতরে দেড় হাজার মানুষ। বের হওয়ার পথ খুঁজতে গিয়ে পড়ে গেলাম। এরপরও বেরিয়ে আসি। কিন্তু আমার বোনকে চিরতরে হারাই।'
নর্থ মেসিডেনিয়ার কোকানি শহরের নাইট ক্লাবে লাগা আগুনে সেদিন প্রাণ গেছে অর্ধশতাধিক মানুষের। আহত অন্তত দেড়শ মানুষ হাসপাতালে। এদের মধ্যে অনেকের শরীর ভয়াবহভাবে পুড়ে গেছে। স্থানীয় হাসপাতালের ডাক্তাররাও আপ্রাণ চেষ্টা করছেন পুড়ে যাওয়া রোগীদের বাঁচাতে। অনেককে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হচ্ছে দেশের বাইরে।
ডাক্তারদের মধ্যে একজন বলেন, '৭০ জনকে এই হাসপাতালে চিকিৎসা দিচ্ছি। অনেকের মৃত্যু হয়েছে। রোগীরা পুড়ে তো গেছেই, সঙ্গে কার্বন মনোক্সাইডের বিষক্রিয়া হয়েছে। আমরা অক্সিজেন দিচ্ছি। ক্ষতস্থানে চিকিৎসা দিচ্ছি।'
এদিকে হাসপাতালে পরিবারের সদস্যদের খুঁজতে এসে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন অনেকে। হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন জানান জন্য, পরিবারের সদস্য জীবিত আছেন না প্রাণ গেছে আগুনে। প্রিয়জনকে হারিয়ে অনেকেই হয়ে গেছেন বাকরুদ্ধ।
স্বজনদের মধ্যে একজন বলেন, 'পাঁচ-ছয় জনকে দেখলাম মারা গেছে। আমার এক বন্ধু বেঁচে আছে। তাকে বুলগেরিয়া নেয়া হচ্ছে। কিন্তু আরেকটা মেয়ে মারা গেলো। পুরো দেশের জন্য বিপর্যয়।'
অন্য একজন বলেন, 'আমার কিছু বলার নেই। ভাষা হারিয়েছি। এটা মানুষের তৈরি দুর্যোগ। ভাবতেই পারি না এমন কিছু আমার শহরে হয়েছে।'
এই ঘটনায় কারণ অনুসন্ধানে চলছে তদন্ত। গ্রেপ্তার করা হয়েছে নাইট ক্লাবের মালিককে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জানান, এই নাইট ক্লাবের লাইসেন্সই অবৈধ। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে সরকারি পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।
রাজধানী স্কোপজি থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরের শহর কোকানির একটি নাইট ক্লাবে শনিবার মধ্যরাতে আগুন লেগে ঘটে ভয়াবহ এই বিপর্যয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কনসার্ট হলে পাইরোটেকনিক ডিভাইস ব্যবহারের কারণে সিলিংয়ে আগুন লেগে ঘটেছে এতো বড় দুর্ঘটনা।