দেশব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে গতি এসেছে। বাড়ানো হয়েছে অভিযানের পরিধি ও সংখ্যা। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, ছিনতাই, মাদক, কিশোর গ্যাং, ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে চলমান বিশেষ অভিযান জোরদার করতে পুলিশের সব ইউনিটকে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে প্রতিনিয়ত নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। জোরদার অভিযান চলছে উত্তরা, টঙ্গী, মোহাম্মদপুরসহ রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায়। বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ বিভাগীয় ও জেলা শহরেও অভিযানের সংখ্যা বেড়েছে। কিছু এলাকায় ব্লক রেইড ও কম্বিং অপারেশন (চিরুনি অভিযান) পরিচালনা করা হচ্ছে। বিগত সময়ে রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় যারা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে লিপ্ত ছিল, তাদের বিরুদ্ধেও মামলা, গ্রেফতারসহ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যা চলমান রয়েছে বলে পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে পুলিশি ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। তাৎক্ষণিক সেনাবাহিনীর সহায়তায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে থানাগুলোর কার্যক্রম শুরু করা হয়। পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যরা কাজে যোগ না দিয়ে বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার বিষয়ে আন্দোলন শুরু করে। ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা নানামুখী কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ায় পরিস্থিতির দ্রুত উত্তরণ ঘটে। কিছু অপেশাদার উচ্চাভিলাষী পুলিশ সদস্য ছাড়া অন্য সবাই কাজে যোগ দিয়েছেন। পুলিশ তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী কাজ শুরু করায় অভিযানে গতির সঞ্চার হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, গত ১৮ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া বিশেষ অভিযানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারী, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, ছিনতাই, মাদক, কিশোর গ্যাং, হত্যা মামলার আসামিসহ অন্যান্য মামলার আসামিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। চলমান অভিযানে অপরাধপ্রবণ এলাকা অর্থাৎ ক্রাইম জোনে কম্বিং অপারেশন (চিরুনি অভিযান) পরিচালিত হচ্ছে। পুলিশের স্থায়ী তল্লাশিচৌকি বা চেকপোস্টের পাশাপাশি অস্থায়ী চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পুলিশি টহল জোরদার এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। টহল দল বাড়ানো হয়েছে।
দপ্তর সূত্র আরও জানায়, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) আওতাধীন এলাকায় ১৫০টি স্থায়ী ও অস্থায়ী চেকপোস্ট কার্যকর রয়েছে। ৩০০টি মোটরসাইকেল টিম এবং ২৫০টি টহল টিম কার্যকর রয়েছে। এ ছাড়া দেশব্যাপী অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে।আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অস্ত্র, মাদক ও অবৈধ সরঞ্জাম জব্দ এবং ছিনতাই প্রতিরোধে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিশেষ চেকপোস্ট কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসানের নির্দেশে গত সোমবার বিকাল ৪টা থেকে এই বিশেষ চেকপোস্ট কার্যক্রম শুরু হয়। ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, ঢাকা মহানগরীর বসিলা, বাবুবাজার, পোস্তগোলা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ীর সাইনবোর্ড, ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টার, সবুজবাগের বাসাবো, গাবতলী, ৩০০ ফিট, আব্দুল্লাহপুর ব্রিজ, কামারপাড়া ও তুরাগের ধৌড় ব্রিজ এলাকায় ডিএমপির বিশেষ এই চেকপোস্ট কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তিনি আরও জানান, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন দুই বার এ বিশেষ চেকপোস্ট কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। বিকাল ৪টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এবং রাত ১২টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত চেকপোস্ট পরিচালনা করা হবে। এই বিশেষ চেকপোস্ট কার্যক্রম চলাকালে নগরবাসী ও ঢাকায় প্রবেশকারী সব যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
এদিকে নোয়াখালীতে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদকসহ পাঁচ সন্ত্রাসী গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত সোমবার দিবাগত রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী থানা এলাকা থেকে পাঁচটি বিদেশি পিস্তল, আটটি দেশীয় তৈরি এলজি, চারটি একনলা বন্দুক, ৯টি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ২৭৭ রাউন্ড পিস্তলের গুলি এবং ১২ কেজি গাঁজা ও দুইটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে পুলিশি ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। তাৎক্ষণিক সেনাবাহিনীর সহায়তায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে থানাগুলোর কার্যক্রম শুরু করা হয়। পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যরা কাজে যোগ না দিয়ে বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার বিষয়ে আন্দোলন শুরু করে। ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা নানামুখী কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ায় পরিস্থিতির দ্রুত উত্তরণ ঘটে। কিছু অপেশাদার উচ্চাভিলাষী পুলিশ সদস্য ছাড়া অন্য সবাই কাজে যোগ দিয়েছেন। পুলিশ তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী কাজ শুরু করায় অভিযানে গতির সঞ্চার হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, গত ১৮ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া বিশেষ অভিযানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারী, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, ছিনতাই, মাদক, কিশোর গ্যাং, হত্যা মামলার আসামিসহ অন্যান্য মামলার আসামিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। চলমান অভিযানে অপরাধপ্রবণ এলাকা অর্থাৎ ক্রাইম জোনে কম্বিং অপারেশন (চিরুনি অভিযান) পরিচালিত হচ্ছে। পুলিশের স্থায়ী তল্লাশিচৌকি বা চেকপোস্টের পাশাপাশি অস্থায়ী চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পুলিশি টহল জোরদার এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। টহল দল বাড়ানো হয়েছে।
দপ্তর সূত্র আরও জানায়, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) আওতাধীন এলাকায় ১৫০টি স্থায়ী ও অস্থায়ী চেকপোস্ট কার্যকর রয়েছে। ৩০০টি মোটরসাইকেল টিম এবং ২৫০টি টহল টিম কার্যকর রয়েছে। এ ছাড়া দেশব্যাপী অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে।আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অস্ত্র, মাদক ও অবৈধ সরঞ্জাম জব্দ এবং ছিনতাই প্রতিরোধে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিশেষ চেকপোস্ট কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসানের নির্দেশে গত সোমবার বিকাল ৪টা থেকে এই বিশেষ চেকপোস্ট কার্যক্রম শুরু হয়। ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, ঢাকা মহানগরীর বসিলা, বাবুবাজার, পোস্তগোলা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ীর সাইনবোর্ড, ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টার, সবুজবাগের বাসাবো, গাবতলী, ৩০০ ফিট, আব্দুল্লাহপুর ব্রিজ, কামারপাড়া ও তুরাগের ধৌড় ব্রিজ এলাকায় ডিএমপির বিশেষ এই চেকপোস্ট কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তিনি আরও জানান, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন দুই বার এ বিশেষ চেকপোস্ট কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। বিকাল ৪টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এবং রাত ১২টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত চেকপোস্ট পরিচালনা করা হবে। এই বিশেষ চেকপোস্ট কার্যক্রম চলাকালে নগরবাসী ও ঢাকায় প্রবেশকারী সব যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
এদিকে নোয়াখালীতে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদকসহ পাঁচ সন্ত্রাসী গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত সোমবার দিবাগত রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী থানা এলাকা থেকে পাঁচটি বিদেশি পিস্তল, আটটি দেশীয় তৈরি এলজি, চারটি একনলা বন্দুক, ৯টি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ২৭৭ রাউন্ড পিস্তলের গুলি এবং ১২ কেজি গাঁজা ও দুইটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়।