
ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহরাম দাবিরিকে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। নববর্ষের ছুটিতে ব্যক্তিগতভাবে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে ভ্রমণ করায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এ খবর জানানো হয়েছে।ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান শনিবার (৫ এপ্রিল) এক আদেশে ভাইস-প্রেসিডেন্ট শাহরাম দাবিরিকে বরখাস্ত করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘দাবিরির সফরের একটি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করার পরই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’
দাবিরি পেশায় একজন চিকিৎসক ও ফুটবল প্রশাসক। এক সময় তাবরিজ সিটি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। গত বছরের আগস্টে তাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নিযুক্ত করা হয়।সম্প্রতি শাহরাম দাবিরি ও তার স্ত্রীর একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা যায়, তারা অ্যান্টার্কটিকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া এমভি প্ল্যানসিয়াসের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।এমভি প্ল্যানসিয়াসে অ্যান্টার্কটিকা অভিযানের খরচ সর্বনিম্ন ৬ হাজার ৬৮৫ ডলার। যা ইরানি মুদ্রায় ২৮ কোটি ১৪ লাখেরও বেশি। সাধারণত বিশ্বের সবচেয়ে শীতলতম ও কম জনবহুল এই মহাদেশে বিজ্ঞানী ও অভিজ্ঞ অভিযাত্রীরাই ভ্রমণ করে থাকেন।
ভাইস প্রেসিডেন্টের ওই ছবি ইরানিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এরপরই তাকে বরখাস্ত করা হলো। হামাস ও হিজবুল্লাহসহ বিভিন্ন গোষ্ঠীকে সমর্থন করার কারণে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার শিকার ইরানের অর্থনীতি এই মুহূর্তে বেশ চাপের মধ্যে রয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালের অক্টোবরে ইরানের বেকারত্বের হার ছিল ৮.৪ শতাংশ, যেখানে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ২৯.৫ শতাংশ।ইরানের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘জনসাধারণের অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তার ব্যবয়বহুল বিদেশ সফর গ্রহণযোগ্য নয়। যদি সেটা ব্যক্তিগত খরচেও হয়ে থাকে। কারণ এটি ইরানি কর্মকর্তাদের প্রত্যাশিত সাদাসিধা জীবনযাপনের পরিপন্থি।’
ভাইস প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেন, ‘আমাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব রয়েছে। তবে সংসদীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে আপনি যা করেছেন তা জনগণের কাছে দেয়া প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ।’ভাইস প্রেসিডেন্টেকে বরখাস্ত করার বিষয়ে ইরান সরকারের মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের এমন পদক্ষেপ প্রমাণ করে, তিনি ভ্রতৃত্বসম্পর্কের চেয়ে ন্যায়বিচার, সততা এবং জনসাধারণকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।’
ইরানের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত দেশটির প্রশাসনে শৃঙ্খলা ও জবাবদিহির বার্তা দিচ্ছে। একই সঙ্গে এটা এক প্রকার সতর্ক সংকেত যে, সরকারি পদে থেকে কোনো প্রকার বিলাসিতা কিংবা দায়িত্বহীন আচরণ আর সহজে মেনে নেয়া হবে না।
দাবিরি পেশায় একজন চিকিৎসক ও ফুটবল প্রশাসক। এক সময় তাবরিজ সিটি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। গত বছরের আগস্টে তাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নিযুক্ত করা হয়।সম্প্রতি শাহরাম দাবিরি ও তার স্ত্রীর একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা যায়, তারা অ্যান্টার্কটিকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া এমভি প্ল্যানসিয়াসের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।এমভি প্ল্যানসিয়াসে অ্যান্টার্কটিকা অভিযানের খরচ সর্বনিম্ন ৬ হাজার ৬৮৫ ডলার। যা ইরানি মুদ্রায় ২৮ কোটি ১৪ লাখেরও বেশি। সাধারণত বিশ্বের সবচেয়ে শীতলতম ও কম জনবহুল এই মহাদেশে বিজ্ঞানী ও অভিজ্ঞ অভিযাত্রীরাই ভ্রমণ করে থাকেন।
ভাইস প্রেসিডেন্টের ওই ছবি ইরানিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এরপরই তাকে বরখাস্ত করা হলো। হামাস ও হিজবুল্লাহসহ বিভিন্ন গোষ্ঠীকে সমর্থন করার কারণে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার শিকার ইরানের অর্থনীতি এই মুহূর্তে বেশ চাপের মধ্যে রয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালের অক্টোবরে ইরানের বেকারত্বের হার ছিল ৮.৪ শতাংশ, যেখানে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ২৯.৫ শতাংশ।ইরানের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘জনসাধারণের অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তার ব্যবয়বহুল বিদেশ সফর গ্রহণযোগ্য নয়। যদি সেটা ব্যক্তিগত খরচেও হয়ে থাকে। কারণ এটি ইরানি কর্মকর্তাদের প্রত্যাশিত সাদাসিধা জীবনযাপনের পরিপন্থি।’
ভাইস প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেন, ‘আমাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব রয়েছে। তবে সংসদীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে আপনি যা করেছেন তা জনগণের কাছে দেয়া প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ।’ভাইস প্রেসিডেন্টেকে বরখাস্ত করার বিষয়ে ইরান সরকারের মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের এমন পদক্ষেপ প্রমাণ করে, তিনি ভ্রতৃত্বসম্পর্কের চেয়ে ন্যায়বিচার, সততা এবং জনসাধারণকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।’
ইরানের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত দেশটির প্রশাসনে শৃঙ্খলা ও জবাবদিহির বার্তা দিচ্ছে। একই সঙ্গে এটা এক প্রকার সতর্ক সংকেত যে, সরকারি পদে থেকে কোনো প্রকার বিলাসিতা কিংবা দায়িত্বহীন আচরণ আর সহজে মেনে নেয়া হবে না।