অশ্রুবন্যা গাজায় মানবতার আহ্বান

আপলোড সময় : ০৭-০৪-২০২৫ ০৬:২৯:৫৯ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৭-০৪-২০২৫ ০৬:২৯:৫৯ অপরাহ্ন
অত্যাচার আর পশুত্ব যেন থামছেই না। ইয়াহুদীগোষ্ঠী এ লড়াইয়ে হায়নার হিংস্রতায় অবতীর্ণ হয়েছে। জীবন রক্ষার অধিকার নামের ফাঁকা বুলির ফাঁকে গুড়িয়ে দিয়েছে ফিলিস্তিনের পূর্ণ অবকাঠামো।শহিদ করেছে হাজার হাজার সাধারণ মানুষকে; যাদের বিরাট সংখ্যক নারী ও শিশু। পশ্চিমাদের কথিত মানবতায় আজ খরা লেগেছে। নিজেদের আত্মস্বীকৃত পিচাশ বন্ধুদের বাঁচাতে মুখে কুলুখ এঁটে বসেছে তারা। শুধু তাই নয়, মানবতাবিরোধী এই অপরাধে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে বিশ্বশান্তির 'অগ্রদূত' রাগব-বোয়ালরা। 

 

জাতিসংঘ নামক অভিনয় সংগঠনের শান্তিমিশনের তৈল যেন ফুরিয়ে গিয়েছে! দুর্ভিক্ষ লেগেছে সৈন্য-সেনার! দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় ধরে চলমান এ যুদ্ধে তারা শুধু নিজেদের পশুত্বের প্রকাশ ঘটিয়েছে।ফিলিস্তিন এখন অপেক্ষায় আছে একজন সালাহুদ্দিন আইয়ুবির, যিনি ইসরায়েলের দম্ভ ভেঙে চুরমার করে দিবেন। এগিয়ে আসবেন মুসলমানদের প্রথম কিবলার হেফাজতে। কিন্তু এখনো কি জন্ম হয়েছে সে স্বর্ণপ্রসবা মা'র, যার উদরে জন্ম নিবে এ যুগের বীর সালাহুদ্দিন! আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি, শীঘ্রই তিনি আমাদের জন্য একজন সালাহুদ্দিন আইয়ুবির ব্যবস্থা করেন। আর লাশের মিছিল দেখতে চাই না। শুনতে চাই না সন্তান হারানো মায়ের আর্তচিৎকার। মা-বাবাহীন ভাই-বোন একজন অপরজনের লাশ কাঁধে অজানায় ছুটে চলে 'আল্লাহ' বলে চিৎকার করুক; তা আর দেখতে চাই না।
 


আমরা আমাদের করণীয় ভুলে যাই বারবার। কিছুদিন তাল মিলিয়ে চলে বয়কট বা মিছিল-মিটিং, আবার ভুলে যাই! বয়কটের জোয়ারে কিছুদিন ভেসে কেমন যেন থমকে গিয়েছি। কিন্তু বাস্তবে এমনটা হওয়া উচিত নয়। আমাদের ভাইদের স্বার্থ রক্ষায় সর্বদা এই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। পণ্য বয়কটের এ যুদ্ধে আমরা সবাই অটল থাকি। বয়কটের প্রভাব সুদূরপ্রসারী। বিগত দিনের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, পণ্য বয়কটের কারণে এসব হায়নাদের কিছুটা হলেও টনক নড়েছে। অনেক সময় মাপ চেয়েছে করজোড়ে। তাই যেসব পণ্যের গায়ে ফিলিস্তিনি মুসলিম ভাইদের রক্ত মাখা, সেসব পণ্য নিজে বয়কট করি, অন্যদেরকেও উদ্বুদ্ধ করি। ইয়াহুদীবাদ, নিপাত যাক।গত মাসে গাজায় তীব্র বিমান ও স্থল হামলা চালানোর মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি ভেঙে দেয় ইসরাইল। গাজায় নতুন করে চালানো অভিযানে ১,০০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং লক্ষ লক্ষ লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।



অন্যদিকে, গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫০,৭০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ১,১৫,৩০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। গাজায় ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদে হওয়া মরক্কোর বিক্ষোভ মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। একই দাবিতে তিউনিসিয়া, ইয়েমেন এবং মরক্কোর অর্থনৈতিক কেন্দ্র কাসাব্লাঙ্কায় ফিলিস্তিনপন্থি সমাবেশ হয়।কয়েকমাস আগে গাজার পুনর্গঠনের জন্য ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের প্রস্তাব দেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের এই প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা হয় বিশ্বজুড়ে। আরব দেশগুলো এই পরিকল্পনার নিন্দা জানায় এবং অধিকার গোষ্ঠীগুলো এটিকে জাতিগত ‘নির্মূল’ বলে অভিহিত করে।
 


এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারীদের উপর মার্কিন দমন-পীড়নেরও নিন্দা জানান মরক্কোর বিক্ষোভকারীরা।অনেক বিক্ষোভকারী ট্রাম্পের এই অবস্থানকে তার পূর্বসূরি, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অধীনের নীতির ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখেন।বিক্ষোভকারী মোহাম্মদ তৌসি বলেন, ‘ট্রাম্প এই যুদ্ধকে শুধু আরও খারাপ অবস্থায় নিয়ে গেছেন।’ এক বার্তা সংস্থাকে এ কথা বলেন তৌসি। যিনি তার পরিবারের সাথে ক্যাসাব্লাংকা থেকে বিক্ষোভে যোগ দিতে এসেছিলেন।‘বাইডেন কিছু জিনিস লুকিয়েছিলেন, কিন্তু ট্রাম্প সব দেখিয়ে দিয়েছেন। তারা ভিন্ন ভিন্নভাবে একই পলিসি তুলে ধরেছেন। সেসবের সারবস্তু ভিন্ন নয়।’ বলেন তিনি। এদিকে, মরক্কোর সাবেক রক্ষণশীল প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা আবদেলহাক এল আরাবি বলেন, ‘যুদ্ধ যত দীর্ঘ হচ্ছে, জনসাধারণের ক্ষোভ ততই বাড়ছে।


 
অন্যদিকে, তামেসনার ৬২ বছর বয়সী বাসিন্দা বলেন, ‘এটি কোনো যুদ্ধ নয় - গাজাকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলা হচ্ছে।’ ২০২০ সালে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে মরক্কো। মরক্কোর এই সিদ্ধান্তে অনেক বিক্ষোভকারী এখনও ক্ষুব্ধ বলে জানান। এই পদক্ষেপটি সেই সময়ে চরম বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। 
 
সূত্র: আল জাজিরা


অফিস :

MyTv Bhaban, 155, 150/3, Hatirjheel, Dhaka-1219

Phone. ☎ +880255128896 ; Fax. +880255128899

Email. admin@mytvbd.tv