আবেগপূর্ণ বক্তৃতার মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন কমলা হ্যারিস। তবে দেশকে নিয়ে তাদের যে স্বপ্ন রয়েছে তার জন্য লড়াই অব্যাহত রাখতে তার সমর্থকদের উৎসাহিত করেছেন। ডেমোক্র্যাটিক ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, এই লড়াই চলতে থাকবে 'নির্বাচনী বুথে, আদালতে এবং জনগণের চত্বরে।'তিনি যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চ শিক্ষা নিয়েছেন এবং যেখানে তিনি আশা করেছিলেন তার বিজয়ের ভাষণ দেবেন, সেই হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে দেয়া নির্বাচন-পরবর্তী ভাষণে তিনি বলেন, 'কখনো কখনো লড়াইয়ে সময় লাগে। তার অর্থ এ নয় যে আমরা জয়লাভ করবো না।'কমলা হ্যারিসের এই পরিষ্কার পরাজয় এমন আশাকে ধূলিস্মাৎ করে দিয়েছে যে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পুনর্নিবাচনের প্রচেষ্টা থেমে যাওয়ার পর তিনি যখন নিজেকে এই শীর্ষ পদের প্রার্থী করেন, তখন মনে করা হয়েছিল যে তিনি ডেমোক্র্যাটদের রক্ষা করবেন।
তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রতিটি রাজ্যে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের তুলনায় পিছিয়ে ছিলেন। তিনি ট্রাম্পকে দেশের মৌলিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বিরাজমান বিপদ বলে বর্ণনা করেন। তবে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের পদের জন্য তার তিনটি নির্বাচনী প্রচার অভিযানে এই প্রথম জনগণের প্রদত্ত প্রত্যক্ষ ভোটেও এগিয়ে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দু’টি অভিশংসন, গুরুতর অপরাধ এবং এর আগের নির্বাচনে তার পরাজয়ের ফল পাল্টানোর প্রচেষ্টার জন্য তিনি অভিযুক্ত থাকলেও জয়ী হন।ট্রাম্প সম্পর্কে কমলার কড়া সতর্কতা সত্ত্বেও বুধবারের বক্তব্যে তিনি ছিলেন আশাবাদী। তিনি তার সমর্থকদের বলেন, 'দুঃখ পাওয়া এবং হতাশ হওয়াতো হতেই পারে কিন্তু অনুগ্রহ করে জানবেন সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।' এই সময়ে তার সমর্থকদের কেউ কেউ চোখের পানি মুছছিলেন।
হ্যারিসের সাথে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী টিম ওয়ালজ তার পরিবারসহ দর্শকদের মাঝে ছিলেন। তাছাড়া হাউসের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলসি এবং বারবারা লিও ছিলেন। তারা উভয়ই হ্যারিসের নিজের রাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা।কমলা তার ভাষণের আগে ট্রাম্পের বিজয়ের জন্য তিনি ট্রাম্পকে ফোন করে অভিনন্দন জানান। তিনি সমবেত দর্শকদের বলেন, 'আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকব।'ভোটদাতারা আমেরিকান গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগকে নাকচ করে দিয়ে সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টকে হোয়াইট হাউসে ফেরত পাঠাচ্ছেন।বাইডেন নির্বাচনের ফলাফল বৃহস্পতিবার ঘোষণা করবেন বলে কথা আছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বুধবার তিনি কমলা হ্যারিস ও ট্রাম্পের সাথে কথা বলেছেন এবং নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে তিনি তার সাথে দেখা করতে বলেছেন।
বাইডেন ট্রাম্পের সাথে ২৭ জুনের বিতর্কে বার বার থমকে যাওয়ার পর তিনি ভোটদাতাদের এ কথা আর বোঝাতে পারেননি যে ৮৬ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি প্রেসিডেন্টের কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। আর কমলা হ্যারিস তখনই ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী হন।তবে তিনিও প্রথম থেকেই নানা অসুবিধার মুখে পড়েন। তিনি বাইডেনের রাজনৈতিক তৎপরতার উত্তরাধিকার হয়ে যান। যদিও তিনি নিজের সাথে বাইডেনের অর্থবহ পার্থক্য দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু এই প্রতিযোগিতায় কমলা হ্যারিস টিকতে পারেননি।
সূত্র : ভিওএ
তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রতিটি রাজ্যে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের তুলনায় পিছিয়ে ছিলেন। তিনি ট্রাম্পকে দেশের মৌলিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বিরাজমান বিপদ বলে বর্ণনা করেন। তবে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের পদের জন্য তার তিনটি নির্বাচনী প্রচার অভিযানে এই প্রথম জনগণের প্রদত্ত প্রত্যক্ষ ভোটেও এগিয়ে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দু’টি অভিশংসন, গুরুতর অপরাধ এবং এর আগের নির্বাচনে তার পরাজয়ের ফল পাল্টানোর প্রচেষ্টার জন্য তিনি অভিযুক্ত থাকলেও জয়ী হন।ট্রাম্প সম্পর্কে কমলার কড়া সতর্কতা সত্ত্বেও বুধবারের বক্তব্যে তিনি ছিলেন আশাবাদী। তিনি তার সমর্থকদের বলেন, 'দুঃখ পাওয়া এবং হতাশ হওয়াতো হতেই পারে কিন্তু অনুগ্রহ করে জানবেন সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।' এই সময়ে তার সমর্থকদের কেউ কেউ চোখের পানি মুছছিলেন।
হ্যারিসের সাথে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী টিম ওয়ালজ তার পরিবারসহ দর্শকদের মাঝে ছিলেন। তাছাড়া হাউসের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলসি এবং বারবারা লিও ছিলেন। তারা উভয়ই হ্যারিসের নিজের রাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা।কমলা তার ভাষণের আগে ট্রাম্পের বিজয়ের জন্য তিনি ট্রাম্পকে ফোন করে অভিনন্দন জানান। তিনি সমবেত দর্শকদের বলেন, 'আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকব।'ভোটদাতারা আমেরিকান গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগকে নাকচ করে দিয়ে সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টকে হোয়াইট হাউসে ফেরত পাঠাচ্ছেন।বাইডেন নির্বাচনের ফলাফল বৃহস্পতিবার ঘোষণা করবেন বলে কথা আছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বুধবার তিনি কমলা হ্যারিস ও ট্রাম্পের সাথে কথা বলেছেন এবং নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে তিনি তার সাথে দেখা করতে বলেছেন।
বাইডেন ট্রাম্পের সাথে ২৭ জুনের বিতর্কে বার বার থমকে যাওয়ার পর তিনি ভোটদাতাদের এ কথা আর বোঝাতে পারেননি যে ৮৬ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি প্রেসিডেন্টের কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। আর কমলা হ্যারিস তখনই ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী হন।তবে তিনিও প্রথম থেকেই নানা অসুবিধার মুখে পড়েন। তিনি বাইডেনের রাজনৈতিক তৎপরতার উত্তরাধিকার হয়ে যান। যদিও তিনি নিজের সাথে বাইডেনের অর্থবহ পার্থক্য দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু এই প্রতিযোগিতায় কমলা হ্যারিস টিকতে পারেননি।
সূত্র : ভিওএ