
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আত্তারি-ওয়াঘায় বহু বছরের রেওয়াজ ভেঙে শনিবার (২৬ এপ্রিল) করমর্দন ছাড়া অনুষ্ঠিত হলো যৌথ অনুষ্ঠান। ১৯৫৯ সাল থেকে চলে আসা প্রতিদিনের আনুষ্ঠানিকতায় এই ব্যত্যয় নজর কেড়েছে। খবর জিও নিউজের।
আটারি-ওয়াঘা সীমান্তে প্রতিদিন দুই দেশের নিরাপত্তা বাহিনী—ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এবং পাকিস্তান রেঞ্জার্স—সংঘবদ্ধ কুচকাওয়াজ ও করমর্দনসহ একগুচ্ছ আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে। তবে সাম্প্রতিক উত্তেজনার কারণে এবার সৈনিকরা অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা করলেও করমর্দন থেকে বিরত থাকেন।
সাম্প্রতিক সময়ে কাশ্মিরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর ভয়াবহ হামলার জন্য ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে। বহু বছর পর এত বড় হামলায় বেসামরিক মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েন বেড়ে গেছে। পাকিস্তান অবশ্য এই অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে। এর পর থেকেই কূটনৈতিক উত্তেজনা, ভিসা বাতিল, সীমান্তে চলাচল সীমিত করা ইত্যাদি পদক্ষেপের খবর আসছে।
পরিস্থিতির উত্তাপ বাড়তে থাকায় ভারত আত্তারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা দেয়। বর্তমানে দুই দেশের সীমান্তবর্তী লোহার ফটক তালাবদ্ধ রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই আত্তারি-ওয়াঘা সীমান্ত ছিল পর্যটকদের জন্য আকর্ষণের কেন্দ্র। প্রতিদিনের অনুষ্ঠানে দুই দেশের সৈনিকরা কুচকাওয়াজ শেষে করমর্দন করতেন এবং দর্শকরাও করতালিতে অংশ নিতেন। তবে এদিনের আয়োজন ছিল কিছুটা ভিন্ন। ভারতীয় অংশে প্রায় পাঁচ হাজার দর্শক উপস্থিত থাকলেও পাকিস্তানি অংশ তুলনামূলকভাবে অনেক ফাঁকা ছিল।
আসাম থেকে অনুষ্ঠান দেখতে আসা পর্যটক রীনা দেবী ও পি কে নাথ জানান, "অনুষ্ঠানটি দেখার জন্য আমরা এতদূর এসেছি, খুব ভালো লাগছে।" তবে পি কে নাথ জানান, তারা জম্মু ও কাশ্মিরে একটি মন্দির দর্শনে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন, কিন্তু সাম্প্রতিক হামলার প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা নিয়ে কিছুটা চিন্তিত।
আটারি-ওয়াঘা সীমান্তে প্রতিদিন দুই দেশের নিরাপত্তা বাহিনী—ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এবং পাকিস্তান রেঞ্জার্স—সংঘবদ্ধ কুচকাওয়াজ ও করমর্দনসহ একগুচ্ছ আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে। তবে সাম্প্রতিক উত্তেজনার কারণে এবার সৈনিকরা অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা করলেও করমর্দন থেকে বিরত থাকেন।
সাম্প্রতিক সময়ে কাশ্মিরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর ভয়াবহ হামলার জন্য ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে। বহু বছর পর এত বড় হামলায় বেসামরিক মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েন বেড়ে গেছে। পাকিস্তান অবশ্য এই অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে। এর পর থেকেই কূটনৈতিক উত্তেজনা, ভিসা বাতিল, সীমান্তে চলাচল সীমিত করা ইত্যাদি পদক্ষেপের খবর আসছে।
পরিস্থিতির উত্তাপ বাড়তে থাকায় ভারত আত্তারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা দেয়। বর্তমানে দুই দেশের সীমান্তবর্তী লোহার ফটক তালাবদ্ধ রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই আত্তারি-ওয়াঘা সীমান্ত ছিল পর্যটকদের জন্য আকর্ষণের কেন্দ্র। প্রতিদিনের অনুষ্ঠানে দুই দেশের সৈনিকরা কুচকাওয়াজ শেষে করমর্দন করতেন এবং দর্শকরাও করতালিতে অংশ নিতেন। তবে এদিনের আয়োজন ছিল কিছুটা ভিন্ন। ভারতীয় অংশে প্রায় পাঁচ হাজার দর্শক উপস্থিত থাকলেও পাকিস্তানি অংশ তুলনামূলকভাবে অনেক ফাঁকা ছিল।
আসাম থেকে অনুষ্ঠান দেখতে আসা পর্যটক রীনা দেবী ও পি কে নাথ জানান, "অনুষ্ঠানটি দেখার জন্য আমরা এতদূর এসেছি, খুব ভালো লাগছে।" তবে পি কে নাথ জানান, তারা জম্মু ও কাশ্মিরে একটি মন্দির দর্শনে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন, কিন্তু সাম্প্রতিক হামলার প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা নিয়ে কিছুটা চিন্তিত।