
গুজরাটে ‘বাংলাদেশি নাগরিক’ সন্দেহে সাড়ে ছয় হাজার মানুষকে আটক করেছে রাজ্য পুলিশ। গত শনিবার ভোর থেকে সোমবার রাত পর্যন্ত চালানো এই অভিযানে ৪৫০ জনকে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিচালক বিকাশ সহায়।
প্রথমে আহমেদাবাদ ও সুরাতে শুরু হওয়া অভিযান ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যজুড়ে। যদিও এখনো যাচাই চলছে, তবে অভিযোগ উঠেছে—পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ওড়িশা ও মহারাষ্ট্র থেকে আসা বাংলাভাষী মুসলমান ভারতীয়দেরও সন্দেহের ভিত্তিতে বেআইনিভাবে আটক করা হচ্ছে।
সুরাতের সাহিনা বিবি জানান, তার স্বামী ও দুই ভাগ্নে যথাযথ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও আটক হয়েছেন। আহমেদাবাদে একটি বিয়েবাড়িতে বরযাত্রীদেরও আটক করে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পশ্চিমবঙ্গের নূর শেখ বলেন, “আমরা ভারতীয়, তবুও এই ধরনের হেনস্থা সহ্য করতে হচ্ছে।”
পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চ জানায়, একই ধরণের ঘটনা ঘটছে উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা ও মহারাষ্ট্রে। সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক আসিফ ফারুক অভিযোগ করেন, ভাষা ও ধর্মের ভিত্তিতে নির্বিচারে আটক করা হচ্ছে।
তিনি জানান, “২০১৪ সাল থেকে এই প্রবণতা বেড়েছে।” ১৮ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশের কুশিনগরে এবং ২১ এপ্রিল ওড়িশার জসিপুরে বাংলাভাষী মুসলমানদের হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে, গুজরাট পুলিশ জানিয়েছে, নথি যাচাইয়ের জন্য সীমান্ত রাজ্যগুলো থেকে বিশেষ দল আনা হচ্ছে। পুলিশ সন্দেহ করছে, কিছু আধার ও ভোটার কার্ড জাল হতে পারে।
যদিও অভিযান অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে সহায়ক, তবে বিপুল সংখ্যক ভারতীয় নাগরিকের বেআইনি আটক ও হেনস্থার ঘটনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্ন তুলেছে এবং কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি উঠেছে।
প্রথমে আহমেদাবাদ ও সুরাতে শুরু হওয়া অভিযান ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যজুড়ে। যদিও এখনো যাচাই চলছে, তবে অভিযোগ উঠেছে—পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ওড়িশা ও মহারাষ্ট্র থেকে আসা বাংলাভাষী মুসলমান ভারতীয়দেরও সন্দেহের ভিত্তিতে বেআইনিভাবে আটক করা হচ্ছে।
সুরাতের সাহিনা বিবি জানান, তার স্বামী ও দুই ভাগ্নে যথাযথ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও আটক হয়েছেন। আহমেদাবাদে একটি বিয়েবাড়িতে বরযাত্রীদেরও আটক করে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পশ্চিমবঙ্গের নূর শেখ বলেন, “আমরা ভারতীয়, তবুও এই ধরনের হেনস্থা সহ্য করতে হচ্ছে।”
পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চ জানায়, একই ধরণের ঘটনা ঘটছে উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা ও মহারাষ্ট্রে। সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক আসিফ ফারুক অভিযোগ করেন, ভাষা ও ধর্মের ভিত্তিতে নির্বিচারে আটক করা হচ্ছে।
তিনি জানান, “২০১৪ সাল থেকে এই প্রবণতা বেড়েছে।” ১৮ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশের কুশিনগরে এবং ২১ এপ্রিল ওড়িশার জসিপুরে বাংলাভাষী মুসলমানদের হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে, গুজরাট পুলিশ জানিয়েছে, নথি যাচাইয়ের জন্য সীমান্ত রাজ্যগুলো থেকে বিশেষ দল আনা হচ্ছে। পুলিশ সন্দেহ করছে, কিছু আধার ও ভোটার কার্ড জাল হতে পারে।
যদিও অভিযান অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে সহায়ক, তবে বিপুল সংখ্যক ভারতীয় নাগরিকের বেআইনি আটক ও হেনস্থার ঘটনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্ন তুলেছে এবং কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি উঠেছে।