
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব বাস্তবায়নে সরকার যদি এগিয়ে যায় তাহলে ৫ মিনিটও সময় পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম।বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিটিউশনে জাতীয় উলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে চরমোনাই পীর বলেন, আপনারা নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন করে নারী নীতিকে বাহবা দিচ্ছেন। আপনাদের মনে রাখতে হবে, আপনারা কিন্তু এমনিতেই জনগণের ভোটের সরকার নন। আপনারা জনগণের ভোটের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করছেন না।তিনি বলেন, আমরা তো সবসময় আপনাদের সহযোগিতায় ছিলাম, এখনো আছি, কিন্তু আমাদের রাস্তায় নামিয়ে আপনাদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে ওই ফ্যাসিস্ট এবং ঘাপটি মারা শত্রুরা যেন সুযোগ না নিতে পারে। এটা আপনাদের মাথায় রাখার অনুরোধ করেছি। এরপরও যদি আপনারা সামনে পা বাড়াতে চান, পরিষ্কার মেসেজ, কে জানি বলছে না যে ৫ মিনিটে আপনারা আপনাদের অবস্থান থেকে সরে জান। সেই ৫ মিনিটও সময় পাবেন না।
নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশে আওয়ামী লীগের হাত রয়েছে মন্তব্য করে চরমোনাই পীর বলেন, তারা (আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী) তো ৫ আগস্ট ভাত পাক (রান্না) করেও খেয়ে যেতে পারেনি। ওরা তো বসে নেই। আমাদের বিভিন্ন পাশে চোখ খুলে যারা নজর রাখছে তারাও তো বসে নেই।তিনি বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) হয়তোবা এই সংস্কার, নারী কমিশনের এটার মাধ্যমে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করবে। এরপর যখন ওলামায়ে কেরাম রাস্তায় নামবে তখন হয়তো এই ঘাপটি মারা, যারা দেশের শত্রু তারা বিভিন্ন জায়গায় অপেক্ষা করছে এই সুযোগে রাস্তায় নামার জন্য। এমন নীলনকশা তৈরি করতে পারে।
এসময় নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের সমালোচনা করেন চরমোনাই পীর। প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এই যে নারী কমিশন, আমার কাছে আশ্চর্য মনে হচ্ছে। বিগত সময়ে নাস্তিকরা যে চক্রান্ত করেছে আল্লাহর রহমতে কখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। আজ বর্তমানে দেশে অন্তর্বর্তী সরকার, তাদের মাধ্যমে এমন হীন চিন্তা বাস্তবায়ন করবে- কিন্তু তারা তো জানে এটার বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, কখনোই এটা (নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ) বাস্তবায়ন হবে না। তারপরও তারা এই পথ বেছে নিলো কারণটা কী?
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু প্রমুখ।সেমিনারে ইসলামী আন্দোলনের সহযোগী সংগঠনে জাতীয় উলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ চারটি দাবি জানায়। সেগুলো হলো-
১. নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত প্রস্তাব অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
২. কমিশন সরকারিভাবে বাতিল করতে হবে।
৩. নতুন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে দ্বিনদার, শিক্ষিত, দেশীয় চিন্তায় বিশ্বাসী নারীদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৪. পরিবার ও নারী বিষয়ে প্রস্তাবের ভিত্তি হতে হবে কোরআন-সুন্নাহ, সংবিধান এবং সামাজিক বাস্তবতা।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে চরমোনাই পীর বলেন, আপনারা নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন করে নারী নীতিকে বাহবা দিচ্ছেন। আপনাদের মনে রাখতে হবে, আপনারা কিন্তু এমনিতেই জনগণের ভোটের সরকার নন। আপনারা জনগণের ভোটের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করছেন না।তিনি বলেন, আমরা তো সবসময় আপনাদের সহযোগিতায় ছিলাম, এখনো আছি, কিন্তু আমাদের রাস্তায় নামিয়ে আপনাদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে ওই ফ্যাসিস্ট এবং ঘাপটি মারা শত্রুরা যেন সুযোগ না নিতে পারে। এটা আপনাদের মাথায় রাখার অনুরোধ করেছি। এরপরও যদি আপনারা সামনে পা বাড়াতে চান, পরিষ্কার মেসেজ, কে জানি বলছে না যে ৫ মিনিটে আপনারা আপনাদের অবস্থান থেকে সরে জান। সেই ৫ মিনিটও সময় পাবেন না।
নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশে আওয়ামী লীগের হাত রয়েছে মন্তব্য করে চরমোনাই পীর বলেন, তারা (আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী) তো ৫ আগস্ট ভাত পাক (রান্না) করেও খেয়ে যেতে পারেনি। ওরা তো বসে নেই। আমাদের বিভিন্ন পাশে চোখ খুলে যারা নজর রাখছে তারাও তো বসে নেই।তিনি বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) হয়তোবা এই সংস্কার, নারী কমিশনের এটার মাধ্যমে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করবে। এরপর যখন ওলামায়ে কেরাম রাস্তায় নামবে তখন হয়তো এই ঘাপটি মারা, যারা দেশের শত্রু তারা বিভিন্ন জায়গায় অপেক্ষা করছে এই সুযোগে রাস্তায় নামার জন্য। এমন নীলনকশা তৈরি করতে পারে।
এসময় নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের সমালোচনা করেন চরমোনাই পীর। প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এই যে নারী কমিশন, আমার কাছে আশ্চর্য মনে হচ্ছে। বিগত সময়ে নাস্তিকরা যে চক্রান্ত করেছে আল্লাহর রহমতে কখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। আজ বর্তমানে দেশে অন্তর্বর্তী সরকার, তাদের মাধ্যমে এমন হীন চিন্তা বাস্তবায়ন করবে- কিন্তু তারা তো জানে এটার বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, কখনোই এটা (নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ) বাস্তবায়ন হবে না। তারপরও তারা এই পথ বেছে নিলো কারণটা কী?
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু প্রমুখ।সেমিনারে ইসলামী আন্দোলনের সহযোগী সংগঠনে জাতীয় উলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ চারটি দাবি জানায়। সেগুলো হলো-
১. নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত প্রস্তাব অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
২. কমিশন সরকারিভাবে বাতিল করতে হবে।
৩. নতুন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে দ্বিনদার, শিক্ষিত, দেশীয় চিন্তায় বিশ্বাসী নারীদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৪. পরিবার ও নারী বিষয়ে প্রস্তাবের ভিত্তি হতে হবে কোরআন-সুন্নাহ, সংবিধান এবং সামাজিক বাস্তবতা।