
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি তিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো প্রথম প্রান্তিকে সংকুচিত হয়েছে। আসন্ন শুল্কের উচ্চ মাশুল এড়াতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রচুর পণ্য আমদানি করায় এবং প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রায় বিশৃঙ্খল বাণিজ্য নীতির কারণে সৃষ্ট অস্থিরতায় এমনটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।এ পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়ে এরজন্য পূর্ববর্তী বাইডেন প্রশাসনের ওপর দায় চাপিয়েছেন। আমদানি পণ্যে ব্যাপকভাবে শুল্ক আরোপ করায় তার জনপ্রিয়তাও হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু এতে না দমে শিগগিরই অর্থনীতি ও জনপ্রিয়তার ‘পুনরুত্থান’ ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অগ্রিম জিডিপির (গ্রস ডোমেস্টিক প্রডাক্ট) তথ্যে প্রথম প্রান্তিকে অর্থনীতি হ্রাস পাওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।তবে কিছু মার্কিন অর্থনীতিবিদ জোরদার ভোক্তা ব্যয় ও বেসরকারি বিনিয়োগকে শিগগিরই প্রবৃদ্ধি ফিরে আসার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন।
রয়টার্স লিখেছে, জিডিপির তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর ট্রাম্প ও তার সহযোগিরা এর ব্যাখ্যা দিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। তারা একযোগে বলছিলেন, পূর্ববর্তী বাইডেন প্রশাসনের নীতির জন্য এটি খারাপ হয়েছে আর ট্রাম্পের প্রচেষ্টার জন্য ভালোও হচ্ছে।বুধবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “আপনারা সম্ভবত আজ কিছু সংখ্যা দেখেছেন আর আমাকে শুরুতেই বলতে হবে যে এটা বাইডেন।তিনি তার ডেমোক্র্যাটিক পূর্বসূরীর কথা উল্লেখ করলেও বিস্তারিত আর কিছু বলেননি।
এরপর তিনি বলেন, এই সংখ্যাটি আমদানি, মজুদ ও সরকারি ব্যয়ের ‘বিকৃতির’ কারণে হয়েছে যা জিডিপি গণনার অংশ। এ সময় তিনি ব্যবসায়িক বিনিয়োগ বৃদ্ধির কথা তুলে ধরে আশাবাদও ব্যক্ত করেন। শুল্ক সম্পর্কিত ব্যয়ের কারণে বিনিয়োগের এই বৃদ্ধি ঘটছে বলে মত কিছু অর্থনীতিবিদের।মার্কিন মন্ত্রিসভার দীর্ঘ দুই ঘণ্টার এক বৈঠক চলাকালে ট্রাম্প বলেন, “আমরা হস্তান্তর করে দেওয়া সত্ত্বেও কিছু সংখ্যা ছিল যেগুলো আমরা ঘুরিয়ে দিয়েছিলাম আর আমরা সত্যিই সেগুলো ঘুরিয়ে দিচ্ছিলাম।”মন্ত্রিসভার এই বৈঠকটি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
এর আগে ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো অর্থনীতির সঙ্কোচন নিয়ে বলেন, এটি হ্রাস পেয়েছে কারণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে বিদেশ থেকে পণ্য কিনছে।তার এই বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে জানানো ট্রাম্পের আরেক দাবির সঙ্গে বিরোধ করে। ট্রাম্প বলেছিলেন, শেয়ার বাজারের দরপতনের ক্ষেত্রে শুল্কের কোনো ভূমিকা নেই।
ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম ১০০ দিন পার করেছেন। এ সময়টিতেই যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির সঙ্কোচন নিয়ে এসব বিভিন্ন ব্যাখ্যা দেওয়া হল। জনমত জরিপগুলোতে দেখা গেছে, রিপাবলিকানরা অর্থনীতিকে যেভাবে পরিচালনা করছে তা নিয়ে জনগণের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
রোববার শেষ হওয়া বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও জরিপ সংস্থা ইপসোসের এক জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, প্রথম ১০০ দিনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন জরিপে অংশ নেওয়াদের ৪২ শতাংশ আর ৫৩ শতাংশ সমর্থন জানাননি। ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর জরিপে তার প্রতি ৪৭ শতাংশ জনসমর্থন প্রকাশ পেয়েছিল।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অগ্রিম জিডিপির (গ্রস ডোমেস্টিক প্রডাক্ট) তথ্যে প্রথম প্রান্তিকে অর্থনীতি হ্রাস পাওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।তবে কিছু মার্কিন অর্থনীতিবিদ জোরদার ভোক্তা ব্যয় ও বেসরকারি বিনিয়োগকে শিগগিরই প্রবৃদ্ধি ফিরে আসার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন।
রয়টার্স লিখেছে, জিডিপির তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর ট্রাম্প ও তার সহযোগিরা এর ব্যাখ্যা দিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। তারা একযোগে বলছিলেন, পূর্ববর্তী বাইডেন প্রশাসনের নীতির জন্য এটি খারাপ হয়েছে আর ট্রাম্পের প্রচেষ্টার জন্য ভালোও হচ্ছে।বুধবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “আপনারা সম্ভবত আজ কিছু সংখ্যা দেখেছেন আর আমাকে শুরুতেই বলতে হবে যে এটা বাইডেন।তিনি তার ডেমোক্র্যাটিক পূর্বসূরীর কথা উল্লেখ করলেও বিস্তারিত আর কিছু বলেননি।
এরপর তিনি বলেন, এই সংখ্যাটি আমদানি, মজুদ ও সরকারি ব্যয়ের ‘বিকৃতির’ কারণে হয়েছে যা জিডিপি গণনার অংশ। এ সময় তিনি ব্যবসায়িক বিনিয়োগ বৃদ্ধির কথা তুলে ধরে আশাবাদও ব্যক্ত করেন। শুল্ক সম্পর্কিত ব্যয়ের কারণে বিনিয়োগের এই বৃদ্ধি ঘটছে বলে মত কিছু অর্থনীতিবিদের।মার্কিন মন্ত্রিসভার দীর্ঘ দুই ঘণ্টার এক বৈঠক চলাকালে ট্রাম্প বলেন, “আমরা হস্তান্তর করে দেওয়া সত্ত্বেও কিছু সংখ্যা ছিল যেগুলো আমরা ঘুরিয়ে দিয়েছিলাম আর আমরা সত্যিই সেগুলো ঘুরিয়ে দিচ্ছিলাম।”মন্ত্রিসভার এই বৈঠকটি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
এর আগে ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো অর্থনীতির সঙ্কোচন নিয়ে বলেন, এটি হ্রাস পেয়েছে কারণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে বিদেশ থেকে পণ্য কিনছে।তার এই বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে জানানো ট্রাম্পের আরেক দাবির সঙ্গে বিরোধ করে। ট্রাম্প বলেছিলেন, শেয়ার বাজারের দরপতনের ক্ষেত্রে শুল্কের কোনো ভূমিকা নেই।
ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম ১০০ দিন পার করেছেন। এ সময়টিতেই যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির সঙ্কোচন নিয়ে এসব বিভিন্ন ব্যাখ্যা দেওয়া হল। জনমত জরিপগুলোতে দেখা গেছে, রিপাবলিকানরা অর্থনীতিকে যেভাবে পরিচালনা করছে তা নিয়ে জনগণের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
রোববার শেষ হওয়া বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও জরিপ সংস্থা ইপসোসের এক জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, প্রথম ১০০ দিনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন জরিপে অংশ নেওয়াদের ৪২ শতাংশ আর ৫৩ শতাংশ সমর্থন জানাননি। ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর জরিপে তার প্রতি ৪৭ শতাংশ জনসমর্থন প্রকাশ পেয়েছিল।