
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের শ্বশুরবাড়ি কুমিল্লার চান্দিনায় সংঘবদ্ধ হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। লুটপাটের পর ঘরবাড়ি ঘেরাও করে রাখে হামলাকারীরা। পুলিশি সহায়তার জন্য ৯৯৯-এ ফোন করলে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে।
ঘটনাটি ঘটে সোমবার (৫ মে) দিবাগত রাত ১২টার পর চান্দিনা উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের মীরাখোলা মুন্সি বাড়িতে। হামলার সময় মন্ত্রীর স্ত্রী হনুফা আক্তারের ভাই আলাউদ্দিন মুন্সি ও নাছির উদ্দিন মুন্সির ঘরে ঢুকে ভাঙচুর-লুটপাট করা হয়। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, হামলাটি করেছে এলডিপি সমর্থিত ৭০-৮০ জনের একটি দল।
হামলাকারীদের মধ্যে আটক চারজন হলেন—মীরাখোলা গ্রামের রনি (১৮), মো. রহিম (৪০), মোখলেছুর রহমান (৬৫), এবং আব্দুল করিম (৪০)।
ভুক্তভোগী আলাউদ্দিন মুন্সি জানান, "এক বছর আগে কামাল নামের এক শ্রমিককে মুরগির খামার থেকে বিদায় দেওয়া হয়। সে হঠাৎ দাবি করে ৫ লাখ টাকা পাবে। বিকেলে আলোচনা করলেও, রাত ১২টার পর অতর্কিতে আমাদের ওপর আক্রমণ চালানো হয়। ভাঙচুর এতটাই ভয়াবহ ছিল যে পানির গ্লাসও টিকে নেই। আমি ও ভাই পালিয়ে প্রাণ বাঁচাই। ৯৯৯-এ ফোন দিলে যৌথ বাহিনী এসে উদ্ধার করে।"
তার স্ত্রী পারভীন বেগম বলেন, “চারটি আলমারি ভেঙে ৩৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়। ভেঙে ফেলে টিভি, এসি, ফ্রিজ, সিসি ক্যামেরা, আসবাব। শিশুরা ভয়ে খাটের নিচে লুকায়, দুইজন জ্ঞান হারায়।”
অভিযুক্ত কামাল পাল্টা অভিযোগে বলেন, "আওয়ামী লীগ সরকারের মদদে আলাউদ্দিন ও নাছির উদ্দিন মানুষকে মারধর করতো, সরকারি রাস্তা পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়। তাই এলাকাবাসীর ক্ষোভে এই ঘটনা ঘটেছে।"
এদিকে চান্দিনা উপজেলা এলডিপি সভাপতি একেএম সামছুল হক মাস্টার জানান, “এ ঘটনায় আমাদের কেউ জড়িত না। অভিযোগ মিথ্যা। যদি প্রমাণ হয়, আমরা দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেব।”
চান্দিনা থানার ওসি জাবেদ উল ইসলাম বলেন, “তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এর আগে ৫ এপ্রিল মুজিবুল হকের নিজ গ্রাম চৌদ্দগ্রামের বসুয়ারা বাড়িতেও হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর এই মীরাখোলা গ্রামেই মন্ত্রী হনুফা আক্তারকে বিয়ে করেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে তিনি স্ত্রী-সন্তানসহ আত্মগোপনে আছেন।
ঘটনাটি ঘটে সোমবার (৫ মে) দিবাগত রাত ১২টার পর চান্দিনা উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের মীরাখোলা মুন্সি বাড়িতে। হামলার সময় মন্ত্রীর স্ত্রী হনুফা আক্তারের ভাই আলাউদ্দিন মুন্সি ও নাছির উদ্দিন মুন্সির ঘরে ঢুকে ভাঙচুর-লুটপাট করা হয়। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, হামলাটি করেছে এলডিপি সমর্থিত ৭০-৮০ জনের একটি দল।
হামলাকারীদের মধ্যে আটক চারজন হলেন—মীরাখোলা গ্রামের রনি (১৮), মো. রহিম (৪০), মোখলেছুর রহমান (৬৫), এবং আব্দুল করিম (৪০)।
ভুক্তভোগী আলাউদ্দিন মুন্সি জানান, "এক বছর আগে কামাল নামের এক শ্রমিককে মুরগির খামার থেকে বিদায় দেওয়া হয়। সে হঠাৎ দাবি করে ৫ লাখ টাকা পাবে। বিকেলে আলোচনা করলেও, রাত ১২টার পর অতর্কিতে আমাদের ওপর আক্রমণ চালানো হয়। ভাঙচুর এতটাই ভয়াবহ ছিল যে পানির গ্লাসও টিকে নেই। আমি ও ভাই পালিয়ে প্রাণ বাঁচাই। ৯৯৯-এ ফোন দিলে যৌথ বাহিনী এসে উদ্ধার করে।"
তার স্ত্রী পারভীন বেগম বলেন, “চারটি আলমারি ভেঙে ৩৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়। ভেঙে ফেলে টিভি, এসি, ফ্রিজ, সিসি ক্যামেরা, আসবাব। শিশুরা ভয়ে খাটের নিচে লুকায়, দুইজন জ্ঞান হারায়।”
অভিযুক্ত কামাল পাল্টা অভিযোগে বলেন, "আওয়ামী লীগ সরকারের মদদে আলাউদ্দিন ও নাছির উদ্দিন মানুষকে মারধর করতো, সরকারি রাস্তা পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়। তাই এলাকাবাসীর ক্ষোভে এই ঘটনা ঘটেছে।"
এদিকে চান্দিনা উপজেলা এলডিপি সভাপতি একেএম সামছুল হক মাস্টার জানান, “এ ঘটনায় আমাদের কেউ জড়িত না। অভিযোগ মিথ্যা। যদি প্রমাণ হয়, আমরা দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেব।”
চান্দিনা থানার ওসি জাবেদ উল ইসলাম বলেন, “তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এর আগে ৫ এপ্রিল মুজিবুল হকের নিজ গ্রাম চৌদ্দগ্রামের বসুয়ারা বাড়িতেও হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর এই মীরাখোলা গ্রামেই মন্ত্রী হনুফা আক্তারকে বিয়ে করেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে তিনি স্ত্রী-সন্তানসহ আত্মগোপনে আছেন।