
আজ সারা দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস। এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষ সমতা’- নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে নানা কর্মসূচি।এই দিনে উঠে এসেছে বাংলাদেশের প্রযুক্তি ব্যবহারে নারী-পুরুষের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্যের চিত্র। আন্তর্জাতিক সংস্থা জিএসএমএ প্রকাশিত ২০২৫ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে পুরুষের হার ৪০ শতাংশ, নারীদের মাত্র ২৪ শতাংশ। এর মানে, লিঙ্গবৈষম্যের হার ১৬ শতাংশ। স্মার্টফোন মালিকানাতেও এই বৈষম্য প্রকট- পুরুষের হার ৪০ শতাংশ, নারীর ২২ শতাংশ।
বিশ্বের মোট পুরুষের ৭৮ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও নারীদের মধ্যে এ হার ৬৬ শতাংশ। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে নারীদের অংশগ্রহণ ১৫ শতাংশ কম। দক্ষিণ এশিয়ায় এই বৈষম্যের হার ৩১ শতাংশ।
প্রযুক্তিতে সমান অংশগ্রহণের বার্তা প্রধান উপদেষ্টারদিবসটি উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ডিজিটাল রূপান্তরের সব ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান সুযোগ ও অধিকার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’তিনি আরও জানান, ডিজিটাল রূপান্তরে সমতা প্রতিষ্ঠা করা বৈষম্যমুক্ত আধুনিক সমাজ গঠনের পূর্বশর্ত।
দিবসের মূল অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিটিআরসি কার্যালয়ে। আয়োজন রয়েছে সেমিনার, মেলা, ডাক টিকিট অবমুক্তি, হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা ও সম্মাননা প্রদান। প্রযুক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে ‘হার পাওয়ার’ প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপ শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। নারী আইসিটি প্রশিক্ষণার্থীদের সার্টিফিকেট দেওয়ার মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে। মোবাইল টাওয়ার ফাইবারাইজেশন ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ফাইবার নেটওয়ার্ক বিস্তারের পরিকল্পনা রয়েছে।
ইতিহাসে আজকের দিন
১৮৬৫ সালের ১৭ মে, ফ্রান্সের প্যারিসে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬৯ সাল থেকে পালিত হচ্ছে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস। ২০০৬ সালে, জাতিসংঘ দিবসটিকে ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দেয়।
বিশ্বের মোট পুরুষের ৭৮ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও নারীদের মধ্যে এ হার ৬৬ শতাংশ। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে নারীদের অংশগ্রহণ ১৫ শতাংশ কম। দক্ষিণ এশিয়ায় এই বৈষম্যের হার ৩১ শতাংশ।
প্রযুক্তিতে সমান অংশগ্রহণের বার্তা প্রধান উপদেষ্টারদিবসটি উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ডিজিটাল রূপান্তরের সব ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান সুযোগ ও অধিকার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’তিনি আরও জানান, ডিজিটাল রূপান্তরে সমতা প্রতিষ্ঠা করা বৈষম্যমুক্ত আধুনিক সমাজ গঠনের পূর্বশর্ত।
দিবসের মূল অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিটিআরসি কার্যালয়ে। আয়োজন রয়েছে সেমিনার, মেলা, ডাক টিকিট অবমুক্তি, হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা ও সম্মাননা প্রদান। প্রযুক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে ‘হার পাওয়ার’ প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপ শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। নারী আইসিটি প্রশিক্ষণার্থীদের সার্টিফিকেট দেওয়ার মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে। মোবাইল টাওয়ার ফাইবারাইজেশন ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ফাইবার নেটওয়ার্ক বিস্তারের পরিকল্পনা রয়েছে।
ইতিহাসে আজকের দিন
১৮৬৫ সালের ১৭ মে, ফ্রান্সের প্যারিসে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬৯ সাল থেকে পালিত হচ্ছে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস। ২০০৬ সালে, জাতিসংঘ দিবসটিকে ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দেয়।