
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মেহদি হাসান (২৭) নামে এক যুবককে হত্যা করেছে জান্নাত আক্তার (১৮) নামে এক নববধূ। পুলিশের দাবি, দাম্পত্য কলহের জেরে স্বামীকে বালিশ চাপা ও গলাটিপে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে ওই নববধূ।
শুক্রবার দিবাগত গভীররাতে আখাউড়া পৌরশহরের মসজিদপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।তবে নিহত মেহদি হাসানের পরিবারের দাবি, পরকীয়ার জেরেই স্বামীকে পরিকল্পিত হত্যা করেছে নববিবাহিতা স্ত্রী জান্নাত আক্তার। এ ঘটনায় নববধূ জান্নাত আক্তারকে গ্রেফতার করেছে আখাউড়া থানা পুলিশ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে (শুক্রবার) মেহদি হাসানের সঙ্গে আখাউড়া পৌরশহরের শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা জান্নাত আক্তারের পারিবারিকভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর কয়েকদিন ধরেই তাদের মধ্যে মনোমালিন্য ও বাগবিতণ্ডার ঘটনাও ঘটে।পুলিশের হেফাজতে থাকা নববধূ জান্নাত আক্তার জানান, অসুস্থতার কথা বলে শুক্রবার বিকেলে স্বামীকে দিয়েই ফার্মেসি থেকে ঘুমের ওষুধ আনান তিনি। রাতে মেহদি বাসায় ফিরলে কোমলপানীযর সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেন। এরপর অচেতন হলে গলাটিপে ও মুখে বালিশ চাপা দিয়ে ধরলে স্বামীর মৃত্যু হয়।
তবে মেহদীর বড় ভাই আবু কালাম ও মা বকুল আক্তারের দাবি, পরকীয়ার জেরেই নববধূ জান্নাত তার প্রেমিককে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে মেহদিকে হত্যা করেছে। এ হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি জানিয়েছেন তারা।
আখাউড়া থানার ওসি মোহাম্মদ ছমিউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি যমুনা নিউজকে বলেন, গ্রেফতারের পর জান্নাত আক্তার তার দোষ স্বীকার করেছেন। তার স্বামী মেহেদি হাসান বিয়ের পর শারীরিক নির্যাতন করতো। নির্যাতন থেকে বাঁচতে তাকে দিয়েই কৌশলে ফার্মেসি থেকে ঘুমের ওষুধ নিয়ে আসেন জান্নাত। পরে কোমলপানীয়র সঙ্গে মিশিয়ে খাইয়ে অচেতন করে বালিশ চাপা ও গলাটিপে তাকে হত্যা করেন। জান্নাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলেও ওসি জানিয়েছেন।