শান্তির কণ্ঠস্বর ফিলিস্তিনি শিশু 'ইয়াকিন' যোগ দিল শহীদি মিছিলে

আপলোড সময় : ২৫-০৫-২০২৫ ১১:৫৫:১৪ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ২৫-০৫-২০২৫ ১১:৫৫:১৪ পূর্বাহ্ন
গাজা যুদ্ধের অন্ধকারের মাঝেও একটি কণ্ঠস্বর ন্যায়ের জন্য ডাক দিত—সেটি ছিল 'ইয়াকিন খাদর হামাদ'-এর কণ্ঠ। এই শিশু অল্প বয়সেই গাজায় প্রতিরোধ ও আশার প্রতীকে পরিণত হয়েছিল। ইসরাইলের বেপরোয়া বোমাবর্ষণে এই কণ্ঠস্বরটি চিরতরে স্তব্ধ হয়ে গেল। স্থানীয় ফিলিস্তিনি সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে যে, সাহসী ফিলিস্তিনি শিশু ইয়াকিন গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় এক ইসরাইলি বিমান হামলায় শহীদ হয়েছে। 






বয়স কম হলেও ইয়াকিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পরিচিত মুখ ছিল। গাজার শিশুদের অধিকারের জন্য তার কণ্ঠ ছিল সোচ্চার; তাদের সীমাহীন দুর্ভোগের কথা বিশ্বকে জানান দিত এবং সকলকে প্রতিবাদে শরীক হতে বলত। কিন্তু আজ, সে নিজেই এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞের এক নতুন শিকারে পরিণত হলো। 





ছোট্ট এই ফিলিস্তিনি শিশুর শাহাদাতের খবর দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং নেটিজেনদের মধ্যে শোক ও ক্রোধের সৃষ্টি করে। অনেকেই এই হত্যাকাণ্ডকে ইসরাইলি সরকারের সেই ধারাবাহিক গণহত্যার অংশ হিসেবে দেখছেন, যা মাসের পর মাস ধরে গাজার নিরপরাধ শিশুদের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। 





২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা তার ইতিহাসের সবচেয়ে রক্তাক্ত অধ্যায়ের সাক্ষী। একাধিক মানবাধিকার সংস্থার রিপোর্টে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে শিশুদের টার্গেট করছে। জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বারবার এই নৃশংসতার নিন্দা জানিয়েছে। কিন্তু এসব নিন্দা কখনোই গাজার নিরস্ত্র শিশুদের হত্যা থামাতে পারেনি।




'ইয়াকিন হামাদ' আজ সেই হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শিশুর দলে যোগ দিল যাদের স্বপ্ন যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে গেছে। সে এখন আর তার সমবয়সীদের জন্য চিৎকার করে ডাক দিতে পারবে না, কিন্তু তার নাম এখন প্রতিরোধের প্রতীকে পরিণত হলো।


অফিস :

MyTv Bhaban, 155, 150/3, Hatirjheel, Dhaka-1219

Phone. ☎ +880255128896 ; Fax. +880255128899

Email. admin@mytvbd.tv