
কানাডার সংসদে আজ (মঙ্গলবার) একটি ঐতিহাসিক ভাষণ দিতে যাচ্ছেন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস। কানাডায় তার রাজত্বকালের প্রথম সফরে তিনি এই ভাষণের মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ‘৫১তম রাষ্ট্র’ সম্পর্কিত মন্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করে কানাডার সার্বভৌমত্বের প্রতি এক দৃঢ় বার্তা দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সোমবার রাজা চার্লস ও রানি ক্যামিলা অটোয়ায় পৌঁছালে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাদের অভ্যর্থনা জানানো হয়। এরপর রাজা প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে রিডো হলে বৈঠক করেন। কার্নি সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে ট্রাম্পবিরোধী অবস্থানের ভিত্তিতে নির্বাচিত হন এবং এই সফরকে “সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের শক্তি ও কানাডার স্বাধীন পরিচয়ের প্রতীক” বলে উল্লেখ করেন।
প্রায় পাঁচ দশক পর প্রথমবারের মতো একজন রাজার ‘সিংহাসন থেকে ভাষণ’ হতে যাচ্ছে এটি, যেখানে রাজা মূলত কানাডা সরকারের পরামর্শে প্রস্তুতকৃত একটি বক্তব্য পাঠ করবেন। আশা করা হচ্ছে, রাজার এই বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের একাংশে থাকা ‘কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ করার’ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে কানাডার অবস্থান স্পষ্ট করে তুলবে।
প্রধানমন্ত্রী কার্নির ভাষ্য অনুযায়ী, ফরাসি ও ইংরেজি ভাষায় প্রদত্ত এ ভাষণ “আমাদের সময়ের গুরুত্ব ও চ্যালেঞ্জের প্রতিফলন ঘটাবে”। সূত্র মতে, ভাষণে একটি বার্তাও থাকবে: “কানাডা বিক্রির জন্য নয়”।
রাজা চার্লস সোমবার বিকেলে আদিবাসী ও ফার্স্ট নেশনস সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন, যেখানে অ্যাসেম্বলি অব ফার্স্ট নেশনসের প্রধান সিন্ডি উডহাউস উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া তিনি অটোয়ার একটি বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং স্থানীয় জনগণের সঙ্গে উষ্ণ সংযোগ স্থাপন করেন।
‘সার্বভৌমত্ব গুরুত্বপূর্ণ এবং তিনিই এর প্রতীক’—রিডো হলে এক দর্শনার্থীর এই মন্তব্যই যেন সারাংশ হয়ে উঠেছে কানাডার এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের। অন্য একজন, অন্টারিও থেকে আসা তেরেসা ম্যাকনাইট বলেন, “কানাডা হুমকি ও ভয় অনুভব করছে। তার এখানে আসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
সফরের অংশ হিসেবে রাজা চার্লস কমিউনিটি ইভেন্টেও অংশ নিচ্ছেন, যেমন একটি স্ট্রিট হকি ম্যাচে পাক ছুড়ে খেলা উদ্বোধন এবং স্থানীয় মাপল সিরাপ গ্রহণ।
তবে, সবকিছু ছাপিয়ে রাজার আজকের ভাষণই এই সফরের মূল ফোকাস। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক পরিস্থিতির এক জটিল প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে এটি হতে যাচ্ছে এক প্রতীকী ও কার্যকর বার্তা—কানাডা স্বাধীন, সার্বভৌম এবং দৃঢ়ভাবে নিজের অবস্থানে।
সোমবার রাজা চার্লস ও রানি ক্যামিলা অটোয়ায় পৌঁছালে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাদের অভ্যর্থনা জানানো হয়। এরপর রাজা প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে রিডো হলে বৈঠক করেন। কার্নি সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে ট্রাম্পবিরোধী অবস্থানের ভিত্তিতে নির্বাচিত হন এবং এই সফরকে “সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের শক্তি ও কানাডার স্বাধীন পরিচয়ের প্রতীক” বলে উল্লেখ করেন।
প্রায় পাঁচ দশক পর প্রথমবারের মতো একজন রাজার ‘সিংহাসন থেকে ভাষণ’ হতে যাচ্ছে এটি, যেখানে রাজা মূলত কানাডা সরকারের পরামর্শে প্রস্তুতকৃত একটি বক্তব্য পাঠ করবেন। আশা করা হচ্ছে, রাজার এই বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের একাংশে থাকা ‘কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ করার’ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে কানাডার অবস্থান স্পষ্ট করে তুলবে।
প্রধানমন্ত্রী কার্নির ভাষ্য অনুযায়ী, ফরাসি ও ইংরেজি ভাষায় প্রদত্ত এ ভাষণ “আমাদের সময়ের গুরুত্ব ও চ্যালেঞ্জের প্রতিফলন ঘটাবে”। সূত্র মতে, ভাষণে একটি বার্তাও থাকবে: “কানাডা বিক্রির জন্য নয়”।
রাজা চার্লস সোমবার বিকেলে আদিবাসী ও ফার্স্ট নেশনস সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন, যেখানে অ্যাসেম্বলি অব ফার্স্ট নেশনসের প্রধান সিন্ডি উডহাউস উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া তিনি অটোয়ার একটি বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং স্থানীয় জনগণের সঙ্গে উষ্ণ সংযোগ স্থাপন করেন।
‘সার্বভৌমত্ব গুরুত্বপূর্ণ এবং তিনিই এর প্রতীক’—রিডো হলে এক দর্শনার্থীর এই মন্তব্যই যেন সারাংশ হয়ে উঠেছে কানাডার এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের। অন্য একজন, অন্টারিও থেকে আসা তেরেসা ম্যাকনাইট বলেন, “কানাডা হুমকি ও ভয় অনুভব করছে। তার এখানে আসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
সফরের অংশ হিসেবে রাজা চার্লস কমিউনিটি ইভেন্টেও অংশ নিচ্ছেন, যেমন একটি স্ট্রিট হকি ম্যাচে পাক ছুড়ে খেলা উদ্বোধন এবং স্থানীয় মাপল সিরাপ গ্রহণ।
তবে, সবকিছু ছাপিয়ে রাজার আজকের ভাষণই এই সফরের মূল ফোকাস। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক পরিস্থিতির এক জটিল প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে এটি হতে যাচ্ছে এক প্রতীকী ও কার্যকর বার্তা—কানাডা স্বাধীন, সার্বভৌম এবং দৃঢ়ভাবে নিজের অবস্থানে।