
ইরানের ওপর ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার ঠিক কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্র গোপনে ইসরায়েলে প্রায় ৩০০টি অত্যাধুনিক হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে। একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য, যা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের দ্বৈত অবস্থানকে সামনে এনেছে—একদিকে তারা ইরানের পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনার কথা বললেও অন্যদিকে এমন সামরিক সহায়তা প্রদান করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল আগেই বড় পরিসরে অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুত করতে শুরু করেছিল। তারই অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই বিপুল পরিমাণ হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানো হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই মার্কিন কর্মকর্তা জানান, ইরানে হামলার পরিকল্পনার বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন আগে থেকেই অবগত ছিল।
এ বিষয়ে এতদিন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য প্রকাশ না হলেও, রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই দুই মার্কিন কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন, ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতেও মার্কিন সেনাবাহিনী ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে।
হেলফায়ার হলো লেজারনিয়ন্ত্রিত আকাশ থেকে মাটিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র। যদিও এটি পারমাণবিক স্থাপনায় বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য নয়, তবুও নির্ভুল লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য এটি বিশেষভাবে কার্যকর।
ইসরায়েলের হামলায় ১০০টির বেশি যুদ্ধবিমান অংশ নেয় এবং তারা কমান্ড সেন্টার ও ইরানের শীর্ষ সামরিক ও পরমাণু কর্মকর্তাদের নিশানা করে। হামলায় নিহতদের মধ্যে ছিলেন আইআরজিসির প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি, সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি এবং সর্বোচ্চ নেতা খামেনির ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা আলি শামখানি।
দুই মার্কিন কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, ট্রাম্প প্রশাসন বহু মাস ধরেই ইসরায়েলের এই অভিযানের প্রস্তুতির বিষয়ে জানত এবং আলোচনার সময়ও অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। যেহেতু সরবরাহটি আগে থেকেই ৭৪০ কোটি ডলারের অস্ত্র চুক্তির আওতায় অনুমোদিত ছিল, তাই আলাদাভাবে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হয়নি। এই ঘটনার পর মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও কূটনৈতিক ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল আগেই বড় পরিসরে অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুত করতে শুরু করেছিল। তারই অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই বিপুল পরিমাণ হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানো হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই মার্কিন কর্মকর্তা জানান, ইরানে হামলার পরিকল্পনার বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন আগে থেকেই অবগত ছিল।
এ বিষয়ে এতদিন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য প্রকাশ না হলেও, রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই দুই মার্কিন কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন, ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতেও মার্কিন সেনাবাহিনী ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে।
হেলফায়ার হলো লেজারনিয়ন্ত্রিত আকাশ থেকে মাটিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র। যদিও এটি পারমাণবিক স্থাপনায় বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য নয়, তবুও নির্ভুল লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য এটি বিশেষভাবে কার্যকর।
ইসরায়েলের হামলায় ১০০টির বেশি যুদ্ধবিমান অংশ নেয় এবং তারা কমান্ড সেন্টার ও ইরানের শীর্ষ সামরিক ও পরমাণু কর্মকর্তাদের নিশানা করে। হামলায় নিহতদের মধ্যে ছিলেন আইআরজিসির প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি, সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি এবং সর্বোচ্চ নেতা খামেনির ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা আলি শামখানি।
দুই মার্কিন কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, ট্রাম্প প্রশাসন বহু মাস ধরেই ইসরায়েলের এই অভিযানের প্রস্তুতির বিষয়ে জানত এবং আলোচনার সময়ও অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। যেহেতু সরবরাহটি আগে থেকেই ৭৪০ কোটি ডলারের অস্ত্র চুক্তির আওতায় অনুমোদিত ছিল, তাই আলাদাভাবে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হয়নি। এই ঘটনার পর মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও কূটনৈতিক ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।