
সাপভর্তি কোনো কুয়োয় পড়ে গেলে বেঁচে থাকা কি আদৌ সম্ভব? অবিশ্বাস্য মনে হলেও দক্ষিণ-পূর্ব চীনে ঘটেছে এমনই এক ঘটনা। সেখানে এক নারী টানা দুই দিনেরও বেশি সময় সাপভরা কুয়োয় আটকে থেকেও অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে গেছেন।মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ উর্দু।প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের ফুজিয়ান প্রদেশের কোয়ানঝৌ এলাকার জঙ্গলে হাঁটতে বের হয়েছিলেন ৪৮ বছরের এক নারী। তার নাম চেন। হাঁটার একপর্যায়ে তিনি দুর্ঘটনাবশত একটি পরিত্যক্ত কুয়োয় পড়ে যান। পরিবার সেদিন সন্ধ্যাতেই তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি টের পায়।একপর্যায়ে খোঁজাখুঁজিতে ব্যর্থ হয়ে স্থানীয় রেসকিউ টিমের কাছে খবর দেওয়া হয়। এরপর ইমার্জেন্সি রেসকিউ সেন্টারের ১০ সদস্যের একটি দল থার্মাল ইমেজিং ড্রোন নিয়ে তল্লাশিতে নামে।
দলটির প্রধান দো শিয়াওহ্যাং জানান, তারা দুর্বল কণ্ঠে সাহায্যের আহ্বান শুনে কুয়োটির খোঁজ পান। ঘন ঝোপঝাড়ের আড়ালে থাকা ওই কুয়োয় উদ্ধারকারীরা দেখতে পান, শরীরের একাংশ পানিতে ডুবে থাকা চেন কুয়োর দেয়াল শক্ত করে আঁকড়ে ধরে আছেন।মোট ৫৪ ঘণ্টা তিনি সেখানেই আটকে ছিলেন। কুয়োয় বেশ কয়েকটি সাপও ছিল। পরে হাসপাতাল নেওয়ার পর তিনি জানালেন বেঁচে থাকার অভিজ্ঞতা।চেন বলেন, ‘কুয়োর ভেতর ছিল সম্পূর্ণ অন্ধকার। চারদিকে মশার ঝাঁক, আর কয়েকটি সাপও ছিল পানির ভেতরে। মশার কামড়ে শরীর ভরে গিয়েছিল। একবার এক সাপ আমার হাতে কামড়েও দেয়, তবে সৌভাগ্যক্রমে সেটি বিষাক্ত ছিল না।’
তিনি আরও জানান, একাধিকবার ভেঙে পড়লেও বাবা-মা ও মেয়ের কথা ভেবে আবার সাহস ফিরে পান। সাঁতার জানার কারণে তিনি ভেসে থাকতে পেরেছেন। কুয়োর ভেতরে থাকা পাথর উপড়ে পায়ের ভর রাখার জায়গা তৈরি করেছিলেন, যাতে শরীরের উপরের অংশ পানি থেকে ওপরে থাকে। অবশেষে উদ্ধারকারী দল ঝোপঝাড় সরিয়ে তাকে কুয়ো থেকে টেনে তোলেন এবং হাসপাতালে ভর্তি করেন।
চিকিৎসকেরা জানান, চেনের দুটি পাঁজরের হাড় ভেঙে গেছে এবং ফুসফুসে আঘাত লেগেছে। তবে সবচেয়ে গুরুতর ছিল হাতে সাপের কামড়ের ক্ষত। বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল হলেও পুরোপুরি সুস্থ হতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে।
দলটির প্রধান দো শিয়াওহ্যাং জানান, তারা দুর্বল কণ্ঠে সাহায্যের আহ্বান শুনে কুয়োটির খোঁজ পান। ঘন ঝোপঝাড়ের আড়ালে থাকা ওই কুয়োয় উদ্ধারকারীরা দেখতে পান, শরীরের একাংশ পানিতে ডুবে থাকা চেন কুয়োর দেয়াল শক্ত করে আঁকড়ে ধরে আছেন।মোট ৫৪ ঘণ্টা তিনি সেখানেই আটকে ছিলেন। কুয়োয় বেশ কয়েকটি সাপও ছিল। পরে হাসপাতাল নেওয়ার পর তিনি জানালেন বেঁচে থাকার অভিজ্ঞতা।চেন বলেন, ‘কুয়োর ভেতর ছিল সম্পূর্ণ অন্ধকার। চারদিকে মশার ঝাঁক, আর কয়েকটি সাপও ছিল পানির ভেতরে। মশার কামড়ে শরীর ভরে গিয়েছিল। একবার এক সাপ আমার হাতে কামড়েও দেয়, তবে সৌভাগ্যক্রমে সেটি বিষাক্ত ছিল না।’
তিনি আরও জানান, একাধিকবার ভেঙে পড়লেও বাবা-মা ও মেয়ের কথা ভেবে আবার সাহস ফিরে পান। সাঁতার জানার কারণে তিনি ভেসে থাকতে পেরেছেন। কুয়োর ভেতরে থাকা পাথর উপড়ে পায়ের ভর রাখার জায়গা তৈরি করেছিলেন, যাতে শরীরের উপরের অংশ পানি থেকে ওপরে থাকে। অবশেষে উদ্ধারকারী দল ঝোপঝাড় সরিয়ে তাকে কুয়ো থেকে টেনে তোলেন এবং হাসপাতালে ভর্তি করেন।
চিকিৎসকেরা জানান, চেনের দুটি পাঁজরের হাড় ভেঙে গেছে এবং ফুসফুসে আঘাত লেগেছে। তবে সবচেয়ে গুরুতর ছিল হাতে সাপের কামড়ের ক্ষত। বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল হলেও পুরোপুরি সুস্থ হতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে।