রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে গেলে সেটিকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় হাইপোগ্লাইসেমিয়া বলা হয়। এটি সাধারণত ডায়াবেটিসের ওষুধ বা ইনসুলিন নেওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত, তবে ডায়াবেটিস না থাকলেও বিভিন্ন কারণে রক্তে চিনি কমে যেতে পারে। চলুন, জেনে নিই কারণ, লক্ষণ ও করণীয় দেওয়া হলো।
রক্তে শর্করা কমে যাওয়ার কারণ
ওষুধ :কিছু ওষুধ রক্তে চিনি কমাতে পারে, যেমন— উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ, ব্যথানাশক, কিছু অ্যান্টিবায়োটিক, ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন, মানসিক স্বাস্থ্যের ওষুধ, ইনহিবিটর জাতীয় ওষুধ।
অ্যালকোহল:খালি পেটে বা অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করলে রক্তে শর্করা দ্রুত কমে যেতে পারে।
ইনসুলিনের অতিরিক্ত উৎপাদন:অগ্ন্যাশয়ের কিছু সমস্যা বা টিউমারের কারণে শরীর বেশি ইনসুলিন তৈরি করলে রক্তে চিনি কমে যায়। গ্যাস্ট্রিক বাইপাস সার্জারির পরও এমনটা হতে পারে।
না খাওয়া বা অতিরিক্ত ব্যায়াম :খাবার না খাওয়া বা খুব বেশি ব্যায়াম করলে শরীরে শক্তির ঘাটতি হয়, ফলে গ্লুকোজ কমে যায়।
হরমোনের ঘাটতি :পিটুইটারি বা অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির সমস্যা (যেমন— অ্যাডিসন রোগ বা হাইপোথাইরয়েডিজম) থাকলে শরীরে প্রয়োজনীয় হরমোন তৈরি কমে গিয়ে রক্তে শর্করা কমতে পারে।
অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী রোগ :লিভার, কিডনি বা হৃদযন্ত্রের রোগ, এমনকি সেপসিস (তীব্র সংক্রমণ) থাকলেও রক্তে চিনি কমে যেতে পারে।
প্রতিক্রিয়াশীল হাইপোগ্লাইসেমিয়া :উচ্চ কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খাওয়ার পর শরীরে বেশি ইনসুলিন নিঃসৃত হলে কয়েক ঘণ্টা পর রক্তে শর্করা হঠাৎ কমে যেতে পারে।
রক্তে শর্করা কমে গেলে যে লক্ষণগুলো দেখা যায় : অতিরিক্ত ঘাম, ক্ষুধা, ঝাপসা দেখা, হাত কাঁপা, মাথা ঘোরা বা দুর্বল লাগা, দ্রুত হৃৎস্পন্দন, অস্থিরতা বা খিটখিটে মেজাজ, গুরুতর অবস্থায় খিঁচুনি, জ্ঞান হারানো বা কোমা পর্যন্ত হতে পারে।
করণীয় ও চিকিৎসাদ্রুত কিছু চিনিযুক্ত খাবার বা পানীয় খান, যেমন এক গ্লাস ফলের রস। পরে প্রোটিন ও জটিল কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার, যেমন ক্র্যাকার ও পনির খান। কারো জ্ঞান হারালে তৎক্ষণাৎ জরুরি সাহায্য (যেমন ৯৯৯-এ ফোন করা বা গ্লুকাগন ইনজেকশন দেওয়া) প্রয়োজন।
প্রতিরোধের উপায় নিয়মিত সময়ে খাবার খান, খালি পেটে দীর্ঘক্ষণ থাকবেন না।
ব্যায়ামের আগে বা পরে হালকা কিছু খেয়ে নিন।
খালি পেটে অ্যালকোহল পান করবেন না।
যেসব ওষুধ আপনি খাচ্ছেন, সেগুলো ঠিকভাবে ও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিন।
শরীরচর্চা শুরু করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
কখন ডাক্তার দেখাবেন
যদি ঘন ঘন মাথা ঘোরা, দুর্বল লাগা বা ঘাম হয়, তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করুন। চেতনা হারানো বা খিঁচুনি দেখা দিলে দেরি না করে জরুরি চিকিৎসা নিন।
রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়া সব সময় ভয় পাওয়ার বিষয় নয়, তবে এর কারণ বুঝে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। সঠিক খাবার, নিয়মিত জীবনযাপন ও চিকিৎসকের পরামর্শ মানলেই ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।
সূত্র : হেলথ
রক্তে শর্করা কমে যাওয়ার কারণ
ওষুধ :কিছু ওষুধ রক্তে চিনি কমাতে পারে, যেমন— উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ, ব্যথানাশক, কিছু অ্যান্টিবায়োটিক, ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন, মানসিক স্বাস্থ্যের ওষুধ, ইনহিবিটর জাতীয় ওষুধ।
অ্যালকোহল:খালি পেটে বা অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করলে রক্তে শর্করা দ্রুত কমে যেতে পারে।
ইনসুলিনের অতিরিক্ত উৎপাদন:অগ্ন্যাশয়ের কিছু সমস্যা বা টিউমারের কারণে শরীর বেশি ইনসুলিন তৈরি করলে রক্তে চিনি কমে যায়। গ্যাস্ট্রিক বাইপাস সার্জারির পরও এমনটা হতে পারে।
না খাওয়া বা অতিরিক্ত ব্যায়াম :খাবার না খাওয়া বা খুব বেশি ব্যায়াম করলে শরীরে শক্তির ঘাটতি হয়, ফলে গ্লুকোজ কমে যায়।
হরমোনের ঘাটতি :পিটুইটারি বা অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির সমস্যা (যেমন— অ্যাডিসন রোগ বা হাইপোথাইরয়েডিজম) থাকলে শরীরে প্রয়োজনীয় হরমোন তৈরি কমে গিয়ে রক্তে শর্করা কমতে পারে।
অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী রোগ :লিভার, কিডনি বা হৃদযন্ত্রের রোগ, এমনকি সেপসিস (তীব্র সংক্রমণ) থাকলেও রক্তে চিনি কমে যেতে পারে।
প্রতিক্রিয়াশীল হাইপোগ্লাইসেমিয়া :উচ্চ কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খাওয়ার পর শরীরে বেশি ইনসুলিন নিঃসৃত হলে কয়েক ঘণ্টা পর রক্তে শর্করা হঠাৎ কমে যেতে পারে।
রক্তে শর্করা কমে গেলে যে লক্ষণগুলো দেখা যায় : অতিরিক্ত ঘাম, ক্ষুধা, ঝাপসা দেখা, হাত কাঁপা, মাথা ঘোরা বা দুর্বল লাগা, দ্রুত হৃৎস্পন্দন, অস্থিরতা বা খিটখিটে মেজাজ, গুরুতর অবস্থায় খিঁচুনি, জ্ঞান হারানো বা কোমা পর্যন্ত হতে পারে।
করণীয় ও চিকিৎসাদ্রুত কিছু চিনিযুক্ত খাবার বা পানীয় খান, যেমন এক গ্লাস ফলের রস। পরে প্রোটিন ও জটিল কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার, যেমন ক্র্যাকার ও পনির খান। কারো জ্ঞান হারালে তৎক্ষণাৎ জরুরি সাহায্য (যেমন ৯৯৯-এ ফোন করা বা গ্লুকাগন ইনজেকশন দেওয়া) প্রয়োজন।
প্রতিরোধের উপায় নিয়মিত সময়ে খাবার খান, খালি পেটে দীর্ঘক্ষণ থাকবেন না।
ব্যায়ামের আগে বা পরে হালকা কিছু খেয়ে নিন।
খালি পেটে অ্যালকোহল পান করবেন না।
যেসব ওষুধ আপনি খাচ্ছেন, সেগুলো ঠিকভাবে ও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিন।
শরীরচর্চা শুরু করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
কখন ডাক্তার দেখাবেন
যদি ঘন ঘন মাথা ঘোরা, দুর্বল লাগা বা ঘাম হয়, তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করুন। চেতনা হারানো বা খিঁচুনি দেখা দিলে দেরি না করে জরুরি চিকিৎসা নিন।
রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়া সব সময় ভয় পাওয়ার বিষয় নয়, তবে এর কারণ বুঝে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। সঠিক খাবার, নিয়মিত জীবনযাপন ও চিকিৎসকের পরামর্শ মানলেই ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।
সূত্র : হেলথ