মঙ্গল অভিযানে নাসার দুই মহাকাশযান

আপলোড সময় : ১৪-১১-২০২৫ ০২:১০:২৫ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৪-১১-২০২৫ ০২:১০:২৫ অপরাহ্ন
ব্লু অরিজিন তাদের নিউ গ্লেন রকেটের দ্বিতীয় উড্ডয়ন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে রকেটটি নাসার দুটি মঙ্গলযান মহাকাশে উড্ডয়ন করে।বার্তাসংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩২১ ফুট লম্বা নিউ গ্লেন রকেট বিকেলে আকাশে উড্ডয়নের পর নাসার ‘এস্কেপেড’ নামের যমজ কক্ষপথযান যাত্রা শুরু করে। খারাপ আবহাওয়া এবং তীব্র সৌরঝড়ের কারণে চার দিন বিলম্বের পর অবশেষে এটি উৎক্ষেপণ সম্ভব হয়।মহাকাশযান উড্ডয়নের অন্যতম বড় সাফল্য হলো বুস্টার পুনরুদ্ধার। উপরের ধাপ ও মহাকাশযান আলাদা হওয়ার পর বুস্টারটি ৬০০ কিমি দূরে সমুদ্রে থাকা একটি বার্জে সোজাভাবে নেমে এসেছে। এটি ব্লু অরিজিনের প্রথম সফল বুস্টার ল্যান্ডিং—যা ব্যয় কমানো ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য রকেট প্রযুক্তিতে বড় মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।




ল্যান্ডিং দেখে উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। নাসা কর্মকর্তাদের পাশাপাশি স্পেসএক্স প্রধান ইলন মাস্কও অভিনন্দন জানান।এপি জানিয়েছে, দুটি একই ধরনের কক্ষপথযান প্রথমে পৃথিবীর কাছে প্রায় ১০ লাখ মাইল দূরে অবস্থান করবে। আগামী বছর পৃথিবী-মঙ্গল সঠিকভাবে সারিবদ্ধ হলে তারা গ্রাভিটি অ্যাসিস্ট নিয়ে ২০২৭ সালে মঙ্গলে পৌঁছাবে।




উড্ডয়ন করা এ মহাকাশযান মঙ্গলের ওপরের বায়ুমণ্ডল, বিচ্ছিন্ন চৌম্বক ক্ষেত্র এবং সৌর বায়ুর সঙ্গে মঙ্গলের মিথস্ক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করবে। এতে মঙ্গল কীভাবে অতীতের উষ্ণ-আর্দ্র অবস্থা থেকে আজকের শুষ্ক-ধূলিময় গ্রহে পরিণত হলো সে সম্পর্কে নতুন তথ্য মিলবে। পাশাপাশি ভবিষ্যৎ নভোচারীদের বিকিরণ সুরক্ষা বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ ধারণা পাওয়া যাবে।




প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বিজ্ঞানী রব লিলিস জানান, দুটি স্পেসক্রাফট একই সময়ে কাজ করবে—যা আমাদের এক নজিরবিহীন ‘স্টেরিও ভিউ’ দেবে। ৮০ মিলিয়ন ডলারের নিচে ব্যয় শেষে প্রকল্পটি পরিচালনা করছে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলে।


অফিস :

MyTv Bhaban, 155, 150/3, Hatirjheel, Dhaka-1219

Phone. ☎ +880255128896 ; Fax. +880255128899

Email. admin@mytvbd.tv