সারা বিশ্বের মানুষের কাছে চা আর কফি—এ দুটোই খুব জনপ্রিয় পানীয়। দিনের শুরুতেই সকাল বেলা অনেকের এটা পান না করলে চলেই না। যদিও দুটোই পান করলে শরীর চাঙ্গা করে আর আর স্বাস্থ্যেরও কিছু উপকার করে। এমনকি কোন কোন দেশের সংস্কৃতিতে মিশে আছে।
কিন্তু দিনের শুরুতে কোনটা ভালো?
এর সঠিক উত্তর আসলে নির্ভর করে আপনি ক্যাফেইন কতটা সহ্য করতে পারেন। আপনি স্বাস্থ্য নিয়ে কী ভাবেন আর কোনটা খেতে আপনার ভালো লাগে।মূলত চা তৈরি হয় গাছের পাতাকে বিভিন্নভাবে প্রক্রিয়াজাত করে। চায়ের বিভিন্ন প্রকারভেদও রয়েছে তেমনি এগুলোর প্রস্তুত প্রক্রিয়াও আলাদা। এই যেমন- লাল চা, গ্রিন টি, ব্লাক টি ও দুধ চা ইত্যাদি।এটাতে থাকে এক ধরনের উপকারী উপাদান, যা শরীরের ভেতরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এতে এমন এক অ্যামিনো অ্যাসিডও থাকে, যা মনকে শান্ত রেখে মনোযোগ বাড়ায়।আর কফি তৈরি হয় ভাজা কফি দানা গুঁড়ো করে পানিতে ফুটিয়ে। কফিতে ক্যাফেইনের পরিমাণ বেশি থাকে, যা শরীরকে দ্রুত চনমনে ও সতর্ক করে। কফিতে আরও কিছু উপকারী উপাদান থাকে, যা মস্তিষ্কের জন্য ভালো এবং শরীরের প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে।
চায়ের উপকারিতা:
•রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে
•শরীরের প্রদাহ কমায়
•ইনসুলিনের কাজ ভালো করে এবং রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে
•স্মৃতি ভালো রাখতে ও মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে
•শরীরকে ক্ষতিকর উপাদান থেকে রক্ষা করে
চায়ের প্রতিটি ধরন আলাদা উপকার দেয়। যেমন, গ্রিন টি ওজন কমাতে এবং মস্তিষ্কের জন্য ভালো। ওলোং ও হোয়াইট টি শরীরের জন্য উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। আর হারবাল টিতে ক্যাফেইন নেই, তবে এতে থাকা উপাদান অনুযায়ী বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুবিধা পাওয়া যায়।
কফির উপকারিতা:
•হৃদরোগ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে
•মস্তিষ্ককে সুরক্ষা দেয় এবং পারকিনসন রোগের ঝুঁকি কমায়
•সাময়িকভাবে রক্তে শর্করা কমাতে পারে
•শরীরের প্রদাহ কমায়
•ডোপামিন বাড়ায়, ফলে মেজাজ ভালো থাকে ও মনোযোগ বাড়ে
বেশি খেলে কী সমস্যা হতে পারে?
অতিরিক্ত কফি খেলে—উদ্বেগ, হাত কাঁপা, ঘুমের সমস্যা, হজমের অসুবিধা বা হৃদস্পন্দন বেড়ে যেতে পারে। আর অতিরিক্ত চা—বিশেষ করে বেশি ক্যাফেইনযুক্ত চা—একই ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে, তবে সাধারণত তুলনামূলক কম মাত্রায়। ক্যাফেইনের প্রতি মানুষের সংবেদনশীলতা ভিন্ন, তাই শরীর কীভাবে প্রতিক্রিয়া করছে তা লক্ষ্য করা জরুরি।
বানানোর ধরন কি গুরুত্বপূর্ণ?
অবশ্যই। প্রচলিতভাবে চা বানালে এর উপকারী পলিফেনল বেশি থাকে। তবে দুধ দিয়ে বানানো চা কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শোষণে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, কারণ দুধের প্রোটিন পলিফেনলের সাথে বিক্রিয়া করে।
কফি কীভাবে ভাজা হয়েছে, দানার গুঁড়ো কতটা মোটা বা পাতলা—এসবের ওপর ক্যাফেইন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বদলায়। আবার কোন পদ্ধতিতে বানানো হচ্ছে (এসপ্রেসো, ফ্রেঞ্চ প্রেস, ড্রিপ)—তাও এর পুষ্টিগুণ প্রভাবিত করে।
শেষ কথা সবাই’র জন্য একটাই উত্তর নেই। আপনি যদি দ্রুত শক্তি ও তীক্ষ্ণ মনোযোগ চান, কফি ভালো। আর যদি তুলনামূলক নরম, স্থির শক্তি চান এবং একটু শান্তভাবও রাখতে চান, তবে চা বুদ্ধিমানের পছন্দ। দিনের শুরুতে কোন পানীয় আপনার জন্য ভালো হবে—তা নির্ভর করে আপনার শরীর, জীবনধারা এবং স্বাস্থ্যের লক্ষ্যের ওপর; কোনো ট্রেন্ডের ওপর নয়।
কিন্তু দিনের শুরুতে কোনটা ভালো?
এর সঠিক উত্তর আসলে নির্ভর করে আপনি ক্যাফেইন কতটা সহ্য করতে পারেন। আপনি স্বাস্থ্য নিয়ে কী ভাবেন আর কোনটা খেতে আপনার ভালো লাগে।মূলত চা তৈরি হয় গাছের পাতাকে বিভিন্নভাবে প্রক্রিয়াজাত করে। চায়ের বিভিন্ন প্রকারভেদও রয়েছে তেমনি এগুলোর প্রস্তুত প্রক্রিয়াও আলাদা। এই যেমন- লাল চা, গ্রিন টি, ব্লাক টি ও দুধ চা ইত্যাদি।এটাতে থাকে এক ধরনের উপকারী উপাদান, যা শরীরের ভেতরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এতে এমন এক অ্যামিনো অ্যাসিডও থাকে, যা মনকে শান্ত রেখে মনোযোগ বাড়ায়।আর কফি তৈরি হয় ভাজা কফি দানা গুঁড়ো করে পানিতে ফুটিয়ে। কফিতে ক্যাফেইনের পরিমাণ বেশি থাকে, যা শরীরকে দ্রুত চনমনে ও সতর্ক করে। কফিতে আরও কিছু উপকারী উপাদান থাকে, যা মস্তিষ্কের জন্য ভালো এবং শরীরের প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে।
চায়ের উপকারিতা:
•রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে
•শরীরের প্রদাহ কমায়
•ইনসুলিনের কাজ ভালো করে এবং রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে
•স্মৃতি ভালো রাখতে ও মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে
•শরীরকে ক্ষতিকর উপাদান থেকে রক্ষা করে
চায়ের প্রতিটি ধরন আলাদা উপকার দেয়। যেমন, গ্রিন টি ওজন কমাতে এবং মস্তিষ্কের জন্য ভালো। ওলোং ও হোয়াইট টি শরীরের জন্য উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। আর হারবাল টিতে ক্যাফেইন নেই, তবে এতে থাকা উপাদান অনুযায়ী বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুবিধা পাওয়া যায়।
কফির উপকারিতা:
•হৃদরোগ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে
•মস্তিষ্ককে সুরক্ষা দেয় এবং পারকিনসন রোগের ঝুঁকি কমায়
•সাময়িকভাবে রক্তে শর্করা কমাতে পারে
•শরীরের প্রদাহ কমায়
•ডোপামিন বাড়ায়, ফলে মেজাজ ভালো থাকে ও মনোযোগ বাড়ে
বেশি খেলে কী সমস্যা হতে পারে?
অতিরিক্ত কফি খেলে—উদ্বেগ, হাত কাঁপা, ঘুমের সমস্যা, হজমের অসুবিধা বা হৃদস্পন্দন বেড়ে যেতে পারে। আর অতিরিক্ত চা—বিশেষ করে বেশি ক্যাফেইনযুক্ত চা—একই ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে, তবে সাধারণত তুলনামূলক কম মাত্রায়। ক্যাফেইনের প্রতি মানুষের সংবেদনশীলতা ভিন্ন, তাই শরীর কীভাবে প্রতিক্রিয়া করছে তা লক্ষ্য করা জরুরি।
বানানোর ধরন কি গুরুত্বপূর্ণ?
অবশ্যই। প্রচলিতভাবে চা বানালে এর উপকারী পলিফেনল বেশি থাকে। তবে দুধ দিয়ে বানানো চা কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শোষণে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, কারণ দুধের প্রোটিন পলিফেনলের সাথে বিক্রিয়া করে।
কফি কীভাবে ভাজা হয়েছে, দানার গুঁড়ো কতটা মোটা বা পাতলা—এসবের ওপর ক্যাফেইন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বদলায়। আবার কোন পদ্ধতিতে বানানো হচ্ছে (এসপ্রেসো, ফ্রেঞ্চ প্রেস, ড্রিপ)—তাও এর পুষ্টিগুণ প্রভাবিত করে।
শেষ কথা সবাই’র জন্য একটাই উত্তর নেই। আপনি যদি দ্রুত শক্তি ও তীক্ষ্ণ মনোযোগ চান, কফি ভালো। আর যদি তুলনামূলক নরম, স্থির শক্তি চান এবং একটু শান্তভাবও রাখতে চান, তবে চা বুদ্ধিমানের পছন্দ। দিনের শুরুতে কোন পানীয় আপনার জন্য ভালো হবে—তা নির্ভর করে আপনার শরীর, জীবনধারা এবং স্বাস্থ্যের লক্ষ্যের ওপর; কোনো ট্রেন্ডের ওপর নয়।