ইতালিতে নারী হত্যার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র আইন পাস

আপলোড সময় : ২৬-১১-২০২৫ ০৩:৩৫:১৩ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২৬-১১-২০২৫ ০৩:৩৫:১৩ অপরাহ্ন
ইতালিতে ‘ফেমিসাইড’ বা নারী হত্যার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র একটি আইন পাস করতে দেশটির পার্লামেন্ট সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে ভোট দিয়েছেন। এই আইনে নারী হওয়ার কারণে কাউকে বিদ্বেষমূলকভাবে নিশানা করে হত্যা করার অপরাধে ‘যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের’ বিধান রাখা হয়েছে। 



মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর), আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবসে ইতালির পার্লামেন্টে ফেমিসাইড-সংক্রান্ত বিলটি পাস হয়। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বে নারী হত্যাকে স্বতন্ত্র অপরাধ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হাতে গোনা কয়েকটি দেশের তালিকায় যুক্ত হলো ইতালি।



ফেমিসাইড নিয়ে স্বতন্ত্র আইন করার ধারণাটি ইতালিতে আগেও আলোচনা হয়েছিল। তবে ২০২২ সালে জিউলিয়া চেকেত্তিন নামের এক নারী তার সাবেক প্রেমিকের হাতে হত্যার শিকার হওয়ার পর এ-সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের দাবি জোরালো হয়ে ওঠে। ২০২২ সালের নভেম্বরের শেষ দিকে ২২ বছর বয়সী জিউলিয়াকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন ফিলিপ্পো তুরেত্তা। তুরেত্তা ধরা না পড়া পর্যন্ত ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হয়। 


এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে জিউলিয়ার বোন এলেনার একটি মন্তব্য বেশ আলোড়ন তোলে। তিনি বলেছিলেন, খুনি কোনো দানব নয়; বরং একটি গভীর পিতৃতান্ত্রিক সমাজে বেড়ে ওঠা হৃষ্টপুষ্ট সন্তান। তার এসব কথাই ইতালিজুড়ে হাজারো মানুষকে রাস্তায় নামিয়ে আনে এবং তারা পরিবর্তনের দাবি তোলে।


ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বিলটি উত্থাপন করেছিলেন। তার নেতৃত্বাধীন কট্টর-ডানপন্থী সরকারের পাশাপাশি বিরোধীদলীয় পার্লামেন্ট সদস্যরাও আইনটিকে সমর্থন জানিয়েছেন। পার্লামেন্ট সদস্যদের অনেকে লাল রিবন বা লাল জ্যাকেট পরে নারীর প্রতি সহিংসতার শিকারদের স্মরণ করেছেন। এখন থেকে ইতালিতে কোনো নারীকে তার ‘লৈঙ্গিক পরিচয়ের কারণে’ হত্যার শিকার করা হলে, সেটিকে ফেমিসাইড হিসেবে বিবেচনা করা হবে। 



একটি বিশেষজ্ঞ কমিশন সম্প্রতি নারীদের হত্যার ২১১টি ঘটনা বিশ্লেষণ করে এই ফেমিসাইড আইনের খসড়া তৈরি করেছে। ওই বিশেষজ্ঞদের একজন বিচারক পাওলা দা নিকোলা। তার মতে, প্রচণ্ড ভালোবাসা বা প্রবল ঈর্ষা থেকে এ ধরনের হত্যার ঘটনা ঘটছে বলাটা একধরনের বিকৃতি। তিনি আরও বলেন, “এই আইন প্রণয়ণের অর্থ দাঁড়াবে যে আমরাই ইউরোপে প্রথম অপরাধীদের প্রকৃত উদ্দেশ্য চিহ্নিত করেছি। আর তা হলো ক্ষমতা ও আধিপত্য।” এর আগে সাইপ্রাস, মাল্টা ও ক্রোয়েশিয়া তাদের ফৌজদারি বিধিতে ফেমিসাইডের একটি আইনি সংজ্ঞাকে অন্তর্ভুক্ত করেছে।



সূত্র: বিবিসি


Chairman & Managing Director : Nasir Uddin

Director News & Broadcast : Zeker Uddin Samrat

 __________________________________________________________

MyTv Bhaban, 155, 150/3, Hatirjheel, Dhaka-1219

Phone. ☎ +880255128896 ; Fax. +880255128899

Email. news@mytvbd.tv