দেশে সারাবছরে খেজুরের চাহিদা প্রায় ১ লাখ থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টন। এর মধ্যে শুধু রমজানেই লাগে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টন। এসব খেজুর সৌদি আরব, আরব আমিরাত, তিউনিসিয়া, মিশর, জর্ডান, ইরাক, ইরান ও পাকিস্তান থেকে আমদানি করা হয়। তাই আসন্ন রমজানে খেজুরের দাম সহনশীল রাখতে পণ্যটির ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে। খবর ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রের।জানা গেছে, দেশে গত দেড় বছরের বেশি সময় উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। গত অক্টোবরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে ছিল। এই বাস্তবতায় নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে শুল্ক কমানোসহ বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু তাতে প্রভাব মিলছে না। এ বিষয়ে খোদ অর্থ উপদেষ্টা জানিয়েছেন, বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার পরও নিত্যপণ্যের দাম কমছে না। বাজারে এতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে, মানুষ বলছে দাম কমছে না। অথচ এনবিআর অনেক সুবিধা দিয়েছে। ট্যাক্স কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, তার পরও নিত্যপণ্যের দাম কমে না। মানুষ অধৈর্য হয়ে গেছে, এটাই স্বাভাবিক।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আসন্ন রমজানে যাতে রোজাদারদের কষ্ট না হয়, সেজন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনশীল রাখতে চায় সরকার। এ সময় চিনি, খেজুর, ছোলাসহ অন্যান্য ডালের চাহিদা বেশি থাকে। এসব পণ্যের দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রাখতে উদ্যোগ নিচ্ছে মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে রমজানে খেজুরের দাম সহনশীল রাখতে পণ্যটির ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। কমিশনের সুপারিশ, খেজুরের আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে ১৫ শতাংশ এবং অগ্রিম কর ১০ থেকে ৩ শতাংশ করা হোক। রোজা উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে শুল্ককর ও শুল্কায়ন যৌক্তিকীকরণ নিয়ে সম্প্রতি ট্যারিফ কমিশনের করা এক প্রতিবেদনে এই সুপারিশ করা হয়।
কমিশন আরও বলেছে, খেজুর আমদানির সমুদয় আগাম কর (৫ শতাংশ) ৩১ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত সময়ের জন্য অব্যাহতি দেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া শুল্কস্টেশন কর্তৃক নির্বাহী আদেশে খেজুর আমদানিতে বিদ্যমান শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রকৃত বিনিময়মূল্যকে ভিত্তি এবং টিসিবি কর্তৃক সম্প্রতি এলসি মূল্য বিবেচনায় নিয়ে শুল্ক স্টেশনগুলোকে শুল্কায়নের নির্দেশনা দিতে পারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ বিষয়ে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সংগঠন ও অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করা যেতে পারে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ট্যারিফ কমিশন শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব দিয়েছে। সেই সঙ্গে আমদানিকারকের নাম, ঠিকানা ও ইটিআইএন, বিআইএন লিপিবদ্ধ করার বাধ্যবাধকতা শিথিল করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এতে খেজুরের দাম উল্লেখযোগ্যহারে কমে আসবে।জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সব ধরনের খেজুর আমদানিতে সিডি ২৫ শতাংশ, ভ্যাট ১৫ শতাংশ, এআইটি ১০ শতাংশ, আরডি ৩ শতাংশ ও এটি ৫ শতাংশসহ মোট শুল্কের পরিমাণ ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। খেজুর আমদানিতে উচ্চহারে অগ্রিম আয়কর (১০ শতাংশ) ও আগাম কর (৫ শতাংশ) বাস্তবতার নিরিখে যৌক্তিক নয় বলে মনে করে ট্যারিফ কমিশন। উচ্চহারের বাড়তি করের কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে।
এদিকে খেজুরের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সভা করেছে ট্যারিফ কমিশন। ওই সভায় কর ছাড়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে এনবিআর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এ ছাড়া খেজুরের গুণগত মান এবং আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য বিবেচনায় শুল্কায়নযোগ্য মূল্য পুনরায় নির্ধারণে সিদ্ধান্ত হয়, যা এনবিআর বাস্তবায়ন করবে। খেজুর আমদানির জন্য এলসি খোলায় শতভাগ এলসি মার্জিনের শর্ত শিথিলে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যবস্থা নেবে। এ ছাড়া খেজুরের বাজারমূল্য ও সরবরাহ স্থিতিশীলকরণে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আসন্ন রমজানে যাতে রোজাদারদের কষ্ট না হয়, সেজন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনশীল রাখতে চায় সরকার। এ সময় চিনি, খেজুর, ছোলাসহ অন্যান্য ডালের চাহিদা বেশি থাকে। এসব পণ্যের দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রাখতে উদ্যোগ নিচ্ছে মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে রমজানে খেজুরের দাম সহনশীল রাখতে পণ্যটির ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। কমিশনের সুপারিশ, খেজুরের আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে ১৫ শতাংশ এবং অগ্রিম কর ১০ থেকে ৩ শতাংশ করা হোক। রোজা উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে শুল্ককর ও শুল্কায়ন যৌক্তিকীকরণ নিয়ে সম্প্রতি ট্যারিফ কমিশনের করা এক প্রতিবেদনে এই সুপারিশ করা হয়।
কমিশন আরও বলেছে, খেজুর আমদানির সমুদয় আগাম কর (৫ শতাংশ) ৩১ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত সময়ের জন্য অব্যাহতি দেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া শুল্কস্টেশন কর্তৃক নির্বাহী আদেশে খেজুর আমদানিতে বিদ্যমান শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রকৃত বিনিময়মূল্যকে ভিত্তি এবং টিসিবি কর্তৃক সম্প্রতি এলসি মূল্য বিবেচনায় নিয়ে শুল্ক স্টেশনগুলোকে শুল্কায়নের নির্দেশনা দিতে পারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ বিষয়ে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সংগঠন ও অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করা যেতে পারে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ট্যারিফ কমিশন শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব দিয়েছে। সেই সঙ্গে আমদানিকারকের নাম, ঠিকানা ও ইটিআইএন, বিআইএন লিপিবদ্ধ করার বাধ্যবাধকতা শিথিল করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এতে খেজুরের দাম উল্লেখযোগ্যহারে কমে আসবে।জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সব ধরনের খেজুর আমদানিতে সিডি ২৫ শতাংশ, ভ্যাট ১৫ শতাংশ, এআইটি ১০ শতাংশ, আরডি ৩ শতাংশ ও এটি ৫ শতাংশসহ মোট শুল্কের পরিমাণ ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। খেজুর আমদানিতে উচ্চহারে অগ্রিম আয়কর (১০ শতাংশ) ও আগাম কর (৫ শতাংশ) বাস্তবতার নিরিখে যৌক্তিক নয় বলে মনে করে ট্যারিফ কমিশন। উচ্চহারের বাড়তি করের কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে।
এদিকে খেজুরের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সভা করেছে ট্যারিফ কমিশন। ওই সভায় কর ছাড়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে এনবিআর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এ ছাড়া খেজুরের গুণগত মান এবং আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য বিবেচনায় শুল্কায়নযোগ্য মূল্য পুনরায় নির্ধারণে সিদ্ধান্ত হয়, যা এনবিআর বাস্তবায়ন করবে। খেজুর আমদানির জন্য এলসি খোলায় শতভাগ এলসি মার্জিনের শর্ত শিথিলে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যবস্থা নেবে। এ ছাড়া খেজুরের বাজারমূল্য ও সরবরাহ স্থিতিশীলকরণে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করবে।