চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আরবি বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী ওমর ফারুক সুমনের (২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরের খুলশী এলাকার মামার বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রাত সাড়ে আটটার দিকে খুলশীর ৫ নম্বর লেনের ১৭ নম্বর বাসায় সিলিং ফ্যানের হুকের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল থেকে মর্মস্পর্শী দুটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ।পুলিশ ও পরিবারের সদস্যদের সূত্রে জানা যায়, সুমন তার মামার বাসায় বড় ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন। দুই দিন আগে মামার পরিবার তুরস্কে বেড়াতে যান।
বৃহস্পতিবার (গতকাল) সকাল ৮টার দিকে বড় ভাই কাজে বেরিয়ে গেলে সুমন বাসায় একাই ছিলেন। বিকেল ৪টার দিকে সুমন বড় ভাইকে মোবাইলে ফোন করে জানতে চান, তিনি কখন বাসায় ফিরবেন। বড় ভাই জানান, ফিরতে দেরি হবে। এরপর আর সুমন কোনো ফোন রিসিভ করেননি।
বাড়ি থেকে মা একাধিকবার ফোন করেও সুমনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় বড় ভাইকে দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করতে বলেন। কলিংবেলে সাড়া না পেয়ে বড় ভাই দ্রুত বাসায় ফিরে দরজা খুলে দেখেন, সুমন ফাঁসিতে ঝুলছেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দড়ি কেটে মরদেহ নিচে নামায়।
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া দুটি চিরকুটে সুমনের মানসিক অবস্থার কিছুটা ইঙ্গিত মেলে। এর মধ্যে একটিতে তিনি লিখেছেন- ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারো প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’
আরেকটি চিরকুটে সুমন লেখেন- ‘আমার সব অভিযোগ নিজের প্রতি। তাই আমার ব্যাপারে জানার চেষ্টা না করাটাই ভালো হবে।’খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে মনে হলেও সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রাত সাড়ে আটটার দিকে খুলশীর ৫ নম্বর লেনের ১৭ নম্বর বাসায় সিলিং ফ্যানের হুকের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল থেকে মর্মস্পর্শী দুটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ।পুলিশ ও পরিবারের সদস্যদের সূত্রে জানা যায়, সুমন তার মামার বাসায় বড় ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন। দুই দিন আগে মামার পরিবার তুরস্কে বেড়াতে যান।
বৃহস্পতিবার (গতকাল) সকাল ৮টার দিকে বড় ভাই কাজে বেরিয়ে গেলে সুমন বাসায় একাই ছিলেন। বিকেল ৪টার দিকে সুমন বড় ভাইকে মোবাইলে ফোন করে জানতে চান, তিনি কখন বাসায় ফিরবেন। বড় ভাই জানান, ফিরতে দেরি হবে। এরপর আর সুমন কোনো ফোন রিসিভ করেননি।
বাড়ি থেকে মা একাধিকবার ফোন করেও সুমনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় বড় ভাইকে দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করতে বলেন। কলিংবেলে সাড়া না পেয়ে বড় ভাই দ্রুত বাসায় ফিরে দরজা খুলে দেখেন, সুমন ফাঁসিতে ঝুলছেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দড়ি কেটে মরদেহ নিচে নামায়।
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া দুটি চিরকুটে সুমনের মানসিক অবস্থার কিছুটা ইঙ্গিত মেলে। এর মধ্যে একটিতে তিনি লিখেছেন- ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারো প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’
আরেকটি চিরকুটে সুমন লেখেন- ‘আমার সব অভিযোগ নিজের প্রতি। তাই আমার ব্যাপারে জানার চেষ্টা না করাটাই ভালো হবে।’খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে মনে হলেও সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।