ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা এলাকায় ‘বাবরি মসজিদ’ নামে একটি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) পূর্বঘোষিত এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার। ১৯৯২ সালের আজকের এই দিনেই ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় ঐতিহ্যবাহী বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়। এ ঘটনায় ৩৩ বছর পরে একই নামে মুর্শিদাবাদে মসজিদ তৈরির ঘোষণা দেন হুমায়ুন কবীর। এই মসজিদ স্থাপনের অনুষ্ঠান ঘিরে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির আশঙ্কা থাকায় কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে কঠোরভাবে আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার ও সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে জনস্বার্থে করা এক মামলার (পিআইএল) রায়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পলের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয়, আদালত এই মুহূর্তে অনুষ্ঠানে হস্তক্ষেপ করতে রাজি নয়। তবে সরকার যেন এলাকায় ‘কঠোরভাবে’ আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখে এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। একই সঙ্গে পুলিশকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে, অনুষ্ঠান ঘিরে যেন কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি না হয়।
রাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী, পরিস্থিতি সামাল দিতে ওই এলাকায় ১৯ কোম্পানি সিআইএসএফ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (র্যাফ) ইউনিট এবং স্থানীয় পুলিশ রেজিনগর ও আশপাশের এলাকাগুলোতে নজরদারি চালাচ্ছে। পার্শ্ববর্তী জাতীয় সড়ক-১২ সুরক্ষার জন্য বিএসএফের দুটি কোম্পানিকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি নিরাপত্তা কর্মী মাঠে মোতায়েন থাকবে বলে জানা গেছে।গতকাল শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের জানান, প্রায় ৩০ হাজার প্যাকেট বিরিয়ানি প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ, অরাজনৈতিক এবং শুধু ধর্মীয় পাঠের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।
হুমায়ুন কবির আরও বলেন, ‘এখানে কোনো বক্তৃতা থাকবে না, কোনো দলীয় পতাকা থাকবে না, কোনো রাজনীতি থাকবে না। দুই ঘণ্টা কোরআন পাঠ করা হবে। এটি নতুন কিছু নয়।’ বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর কাছ থেকে এই অনুষ্ঠানে সমর্থন পেয়েছেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার হুমায়ুন কবিরকে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।এরপর শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখিও হন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেস এই ঘটনা থেকে নিজেদের দূরে রাখছে। দলটির মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এটিকে নির্বাচনি বছরের আগে দলকে ‘বদনাম’ করার জন্য রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের ‘ষড়যন্ত্র’ বলে অভিযোগ করেছেন।
অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা নিরাপত্তা টহল জোরদার হওয়ায় কৌতূহল ও উদ্বেগের মিশ্র অনুভূতিতে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। কর্তৃপক্ষ সবাইকে গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকার এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে জনস্বার্থে করা এক মামলার (পিআইএল) রায়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পলের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয়, আদালত এই মুহূর্তে অনুষ্ঠানে হস্তক্ষেপ করতে রাজি নয়। তবে সরকার যেন এলাকায় ‘কঠোরভাবে’ আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখে এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। একই সঙ্গে পুলিশকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে, অনুষ্ঠান ঘিরে যেন কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি না হয়।
রাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী, পরিস্থিতি সামাল দিতে ওই এলাকায় ১৯ কোম্পানি সিআইএসএফ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (র্যাফ) ইউনিট এবং স্থানীয় পুলিশ রেজিনগর ও আশপাশের এলাকাগুলোতে নজরদারি চালাচ্ছে। পার্শ্ববর্তী জাতীয় সড়ক-১২ সুরক্ষার জন্য বিএসএফের দুটি কোম্পানিকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি নিরাপত্তা কর্মী মাঠে মোতায়েন থাকবে বলে জানা গেছে।গতকাল শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের জানান, প্রায় ৩০ হাজার প্যাকেট বিরিয়ানি প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ, অরাজনৈতিক এবং শুধু ধর্মীয় পাঠের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।
হুমায়ুন কবির আরও বলেন, ‘এখানে কোনো বক্তৃতা থাকবে না, কোনো দলীয় পতাকা থাকবে না, কোনো রাজনীতি থাকবে না। দুই ঘণ্টা কোরআন পাঠ করা হবে। এটি নতুন কিছু নয়।’ বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর কাছ থেকে এই অনুষ্ঠানে সমর্থন পেয়েছেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার হুমায়ুন কবিরকে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।এরপর শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখিও হন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেস এই ঘটনা থেকে নিজেদের দূরে রাখছে। দলটির মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এটিকে নির্বাচনি বছরের আগে দলকে ‘বদনাম’ করার জন্য রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের ‘ষড়যন্ত্র’ বলে অভিযোগ করেছেন।
অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা নিরাপত্তা টহল জোরদার হওয়ায় কৌতূহল ও উদ্বেগের মিশ্র অনুভূতিতে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। কর্তৃপক্ষ সবাইকে গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকার এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন।