বিজয় দিবসের দুপুর। চারপাশে মানুষ আর পতাকা। উঠছে মুহুর্মুহু স্লোগান। এসব ভিড় থেকে খানিকটা দূরে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের পাতারহাট সরকারি আরসি কলেজের প্যারেড গ্রাউন্ডসংলগ্ন পুকুরে তখন অন্য এক দৃশ্য।
কোনো মঞ্চ নেই; নেই মাইক। শুধু জল, আকাশ আর এক তরুণের পদচারণা। সাতবার পুকুর ঘুরে দেশের সাত বীরশ্রেষ্ঠকে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
তরুণটির নাম মাহমুদুর রহমান বনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। মেহেন্দিগঞ্জের চরহোগলা গ্রামের সন্তান। বিজয় দিবসে তার এই প্রদক্ষিণ ছিল প্রতীকী। প্রতিটি চক্কর যেন একটি করে নাম, একটি করে আত্মত্যাগের স্মৃতি।
জল ছুঁয়ে যাওয়া পায়ের শব্দে মিশে ছিল ১৯৭১-এর গল্প। এই ব্যতিক্রম উদ্যোগ আসে ২০১৭ ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থীর ভাবনা থেকে। তারা চেয়েছিলেন চেনা আনুষ্ঠানিকতার বাইরে কিছু করতে। সেই ভাবনাকে শরীরের শ্রমে রূপ দেন মাহমুদুর রহমান। নীরব এই কর্মসূচি দেখতে দেখতে অনেকেই থমকে দাঁড়ান।
কেউ ছবি তোলেন, কেউ চুপচাপ তাকিয়ে থাকেন। মাহমুদুর রহমানের জীবনপথে শারীরিক চ্যালেঞ্জ নতুন নয়। পাহাড়ের চূড়া তাঁর কাছে অচেনা নয়, দীর্ঘ দৌড় কিংবা পানির গভীরতাও নয়। ২০২১ সালে তিনি উঠেছেন দেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ তাজিংডংয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সাঁতারে প্রতিনিধিত্ব করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় পর্যায়ে। হাফ ম্যারাথনেও দৌড়েছেন হাজারো প্রতিযোগীর ভিড়ে।
কিন্তু বিজয় দিবসের এই প্রদক্ষিণ ছিল ভিন্ন কিছু। এখানে কোনো মেডেল নেই, কোনো সময় মাপা হয়নি। ছিল শুধু একাগ্রতা আর স্মরণ। তার শরীর ঘুরেছে পুকুরের চারপাশে, আর মন ফিরে গেছে যুদ্ধের সময়ে।
স্থানীয়দের অনেকেই বলছেন, এই নীরবতা তাদের বেশি নাড়া দিয়েছে। ফুল আর বক্তৃতার বাইরে গিয়েও যে শ্রদ্ধা জানানো যায়, সেটা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই তরুণ। কেউ কেউ একে বলছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার এক শান্ত, শিল্পিত প্রকাশ।
জলের বুকে বৃত্ত কেটে কেটে শেষ হয় প্রদক্ষিণ। জল আবার স্থির হয়ে আসে। কিন্তু সাত বীরশ্রেষ্ঠকে ঘিরে তৈরি হওয়া সেই বৃত্ত দেখা না গেলেও অনুভবে থেকে যায়।
কোনো মঞ্চ নেই; নেই মাইক। শুধু জল, আকাশ আর এক তরুণের পদচারণা। সাতবার পুকুর ঘুরে দেশের সাত বীরশ্রেষ্ঠকে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
তরুণটির নাম মাহমুদুর রহমান বনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। মেহেন্দিগঞ্জের চরহোগলা গ্রামের সন্তান। বিজয় দিবসে তার এই প্রদক্ষিণ ছিল প্রতীকী। প্রতিটি চক্কর যেন একটি করে নাম, একটি করে আত্মত্যাগের স্মৃতি।
জল ছুঁয়ে যাওয়া পায়ের শব্দে মিশে ছিল ১৯৭১-এর গল্প। এই ব্যতিক্রম উদ্যোগ আসে ২০১৭ ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থীর ভাবনা থেকে। তারা চেয়েছিলেন চেনা আনুষ্ঠানিকতার বাইরে কিছু করতে। সেই ভাবনাকে শরীরের শ্রমে রূপ দেন মাহমুদুর রহমান। নীরব এই কর্মসূচি দেখতে দেখতে অনেকেই থমকে দাঁড়ান।
কেউ ছবি তোলেন, কেউ চুপচাপ তাকিয়ে থাকেন। মাহমুদুর রহমানের জীবনপথে শারীরিক চ্যালেঞ্জ নতুন নয়। পাহাড়ের চূড়া তাঁর কাছে অচেনা নয়, দীর্ঘ দৌড় কিংবা পানির গভীরতাও নয়। ২০২১ সালে তিনি উঠেছেন দেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ তাজিংডংয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সাঁতারে প্রতিনিধিত্ব করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় পর্যায়ে। হাফ ম্যারাথনেও দৌড়েছেন হাজারো প্রতিযোগীর ভিড়ে।
কিন্তু বিজয় দিবসের এই প্রদক্ষিণ ছিল ভিন্ন কিছু। এখানে কোনো মেডেল নেই, কোনো সময় মাপা হয়নি। ছিল শুধু একাগ্রতা আর স্মরণ। তার শরীর ঘুরেছে পুকুরের চারপাশে, আর মন ফিরে গেছে যুদ্ধের সময়ে।
স্থানীয়দের অনেকেই বলছেন, এই নীরবতা তাদের বেশি নাড়া দিয়েছে। ফুল আর বক্তৃতার বাইরে গিয়েও যে শ্রদ্ধা জানানো যায়, সেটা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই তরুণ। কেউ কেউ একে বলছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার এক শান্ত, শিল্পিত প্রকাশ।
জলের বুকে বৃত্ত কেটে কেটে শেষ হয় প্রদক্ষিণ। জল আবার স্থির হয়ে আসে। কিন্তু সাত বীরশ্রেষ্ঠকে ঘিরে তৈরি হওয়া সেই বৃত্ত দেখা না গেলেও অনুভবে থেকে যায়।