ঢাকা , বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫ , ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিসিবির পরিচালক হলেন গায়ক আসিফ আকবর ৫৪ ঘণ্টা সাপভর্তি কুয়োয়, ‘অলৌকিকভাবে’ প্রাণে বেঁচে ফিরলেন নারী খুলনার দৌলতপুরে ঘুমন্ত অবস্থায় যুবককে গুলি করে হত্যা পে-স্কেল নিয়ে সুখবর দিলেন অর্থ উপদেষ্টা নভেম্বর মাস থেকে টিসিবির পণ্য তালিকায় যোগ হবে পাঁচ পণ্য ৩৫ বছর বয়সী নারীকে ৭৫-এর বৃদ্ধের বিয়ে, সকালেই মৃত্যু যুদ্ধাপরাধের দায়ে কঙ্গোর সাবেক প্রেসিডেন্ট কাবিলার মৃত্যুদণ্ড কি-বোর্ডে অক্ষরগুলো এলোমেলো থাকে কেন? যে রহস্য জানেন না অনেকেই একই আঙিনায় মসজিদ-মন্দির, দেড় শতাব্দী ধরে নির্বিঘ্নে চলছে ধর্ম চর্চা ঢাকায় ২০৬ মিলিমিটার বৃষ্টি, আজও বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস লন্ডনে মহাত্মা গান্ধীর ভাস্কর্য ভাঙচুর, লেখা হলো গান্ধী ও মোদি সন্ত্রাসী গাজা নিয়ে ট্রাম্পের বৃহৎ পরিকল্পনার বিষয়ে যে বার্তা দিলো স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী আত্মঘাতী হামলায় পাকিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, হতাহত অন্তত ২৫ পাসপোর্ট ফেরত পাচ্ছেন না মেঘনা আলম ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতিতে বিভাজন চায় না বিএনপি : সালাহউদ্দিন পাহাড়ি-বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান পার্বত্য উপদেষ্টার স্ত্রী পরিচয়ে বাড়িতে এনে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা, যুবক পলাতক সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের ডাকসু নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপানো নিয়ে যা বললেন উপাচার্য দুর্গাপূজা উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিজিবির সর্তকতা

অশ্রুবন্যা গাজায় মানবতার আহ্বান

  • আপলোড সময় : ০৭-০৪-২০২৫ ০৬:২৯:৫৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৭-০৪-২০২৫ ০৬:২৯:৫৯ অপরাহ্ন
অশ্রুবন্যা গাজায় মানবতার আহ্বান
অত্যাচার আর পশুত্ব যেন থামছেই না। ইয়াহুদীগোষ্ঠী এ লড়াইয়ে হায়নার হিংস্রতায় অবতীর্ণ হয়েছে। জীবন রক্ষার অধিকার নামের ফাঁকা বুলির ফাঁকে গুড়িয়ে দিয়েছে ফিলিস্তিনের পূর্ণ অবকাঠামো।শহিদ করেছে হাজার হাজার সাধারণ মানুষকে; যাদের বিরাট সংখ্যক নারী ও শিশু। পশ্চিমাদের কথিত মানবতায় আজ খরা লেগেছে। নিজেদের আত্মস্বীকৃত পিচাশ বন্ধুদের বাঁচাতে মুখে কুলুখ এঁটে বসেছে তারা। শুধু তাই নয়, মানবতাবিরোধী এই অপরাধে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে বিশ্বশান্তির 'অগ্রদূত' রাগব-বোয়ালরা। 

 

জাতিসংঘ নামক অভিনয় সংগঠনের শান্তিমিশনের তৈল যেন ফুরিয়ে গিয়েছে! দুর্ভিক্ষ লেগেছে সৈন্য-সেনার! দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় ধরে চলমান এ যুদ্ধে তারা শুধু নিজেদের পশুত্বের প্রকাশ ঘটিয়েছে।ফিলিস্তিন এখন অপেক্ষায় আছে একজন সালাহুদ্দিন আইয়ুবির, যিনি ইসরায়েলের দম্ভ ভেঙে চুরমার করে দিবেন। এগিয়ে আসবেন মুসলমানদের প্রথম কিবলার হেফাজতে। কিন্তু এখনো কি জন্ম হয়েছে সে স্বর্ণপ্রসবা মা'র, যার উদরে জন্ম নিবে এ যুগের বীর সালাহুদ্দিন! আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি, শীঘ্রই তিনি আমাদের জন্য একজন সালাহুদ্দিন আইয়ুবির ব্যবস্থা করেন। আর লাশের মিছিল দেখতে চাই না। শুনতে চাই না সন্তান হারানো মায়ের আর্তচিৎকার। মা-বাবাহীন ভাই-বোন একজন অপরজনের লাশ কাঁধে অজানায় ছুটে চলে 'আল্লাহ' বলে চিৎকার করুক; তা আর দেখতে চাই না।
 


আমরা আমাদের করণীয় ভুলে যাই বারবার। কিছুদিন তাল মিলিয়ে চলে বয়কট বা মিছিল-মিটিং, আবার ভুলে যাই! বয়কটের জোয়ারে কিছুদিন ভেসে কেমন যেন থমকে গিয়েছি। কিন্তু বাস্তবে এমনটা হওয়া উচিত নয়। আমাদের ভাইদের স্বার্থ রক্ষায় সর্বদা এই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। পণ্য বয়কটের এ যুদ্ধে আমরা সবাই অটল থাকি। বয়কটের প্রভাব সুদূরপ্রসারী। বিগত দিনের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, পণ্য বয়কটের কারণে এসব হায়নাদের কিছুটা হলেও টনক নড়েছে। অনেক সময় মাপ চেয়েছে করজোড়ে। তাই যেসব পণ্যের গায়ে ফিলিস্তিনি মুসলিম ভাইদের রক্ত মাখা, সেসব পণ্য নিজে বয়কট করি, অন্যদেরকেও উদ্বুদ্ধ করি। ইয়াহুদীবাদ, নিপাত যাক।গত মাসে গাজায় তীব্র বিমান ও স্থল হামলা চালানোর মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি ভেঙে দেয় ইসরাইল। গাজায় নতুন করে চালানো অভিযানে ১,০০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং লক্ষ লক্ষ লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।



অন্যদিকে, গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫০,৭০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ১,১৫,৩০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। গাজায় ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদে হওয়া মরক্কোর বিক্ষোভ মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। একই দাবিতে তিউনিসিয়া, ইয়েমেন এবং মরক্কোর অর্থনৈতিক কেন্দ্র কাসাব্লাঙ্কায় ফিলিস্তিনপন্থি সমাবেশ হয়।কয়েকমাস আগে গাজার পুনর্গঠনের জন্য ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের প্রস্তাব দেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের এই প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা হয় বিশ্বজুড়ে। আরব দেশগুলো এই পরিকল্পনার নিন্দা জানায় এবং অধিকার গোষ্ঠীগুলো এটিকে জাতিগত ‘নির্মূল’ বলে অভিহিত করে।
 


এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারীদের উপর মার্কিন দমন-পীড়নেরও নিন্দা জানান মরক্কোর বিক্ষোভকারীরা।অনেক বিক্ষোভকারী ট্রাম্পের এই অবস্থানকে তার পূর্বসূরি, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অধীনের নীতির ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখেন।বিক্ষোভকারী মোহাম্মদ তৌসি বলেন, ‘ট্রাম্প এই যুদ্ধকে শুধু আরও খারাপ অবস্থায় নিয়ে গেছেন।’ এক বার্তা সংস্থাকে এ কথা বলেন তৌসি। যিনি তার পরিবারের সাথে ক্যাসাব্লাংকা থেকে বিক্ষোভে যোগ দিতে এসেছিলেন।‘বাইডেন কিছু জিনিস লুকিয়েছিলেন, কিন্তু ট্রাম্প সব দেখিয়ে দিয়েছেন। তারা ভিন্ন ভিন্নভাবে একই পলিসি তুলে ধরেছেন। সেসবের সারবস্তু ভিন্ন নয়।’ বলেন তিনি। এদিকে, মরক্কোর সাবেক রক্ষণশীল প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা আবদেলহাক এল আরাবি বলেন, ‘যুদ্ধ যত দীর্ঘ হচ্ছে, জনসাধারণের ক্ষোভ ততই বাড়ছে।


 
অন্যদিকে, তামেসনার ৬২ বছর বয়সী বাসিন্দা বলেন, ‘এটি কোনো যুদ্ধ নয় - গাজাকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলা হচ্ছে।’ ২০২০ সালে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে মরক্কো। মরক্কোর এই সিদ্ধান্তে অনেক বিক্ষোভকারী এখনও ক্ষুব্ধ বলে জানান। এই পদক্ষেপটি সেই সময়ে চরম বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। 
 
সূত্র: আল জাজিরা

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিসিবির পরিচালক হলেন গায়ক আসিফ আকবর

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিসিবির পরিচালক হলেন গায়ক আসিফ আকবর